ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নামের তালিকা রাস্তার মোড়ে টাঙানোর দাবী রবি উপাচার্যের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহাজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

বাংলার মহানায়ককে যারা সপরিবারে হত্যা করেছে এবং সেইসব ঘাতকদেরকে যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করে ঘৃণা প্রকাশের জন্য তাদের নামের তালিকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া উচিৎ।’

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে এক আলোচনা সভায় রবি উপাচার্য এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর বাঙালি যে আনন্দ লাভ করেছিল,  অবিসংবাদিত নেতাকে ফিরে পাওয়ার পর সে আনন্দ পূর্ণতা লাভ করে। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হলেও আমাদের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল। কারণ, বাঙালি জাতির শৃঙ্খলমুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশ নামক কাব্য যিনি রচনা করেছিলেন, ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি তখনও কাছে পায়নি। পাকিস্তানের একটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের অব্যাহত চাপে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হলে তিনি লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছান।’

বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী ও গবেষকদের মতামতের ভিত্তিতে উপাচার্য বলেন, ১৬ ডিসেম্বর জাতি বিজয় অর্জন করলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বিজয় সূচিত হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর  স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী  শেখ হাসিনা, তাঁকে সর্বোতভাব সহায়তা করা আমাদের কর্তব্য।

 মঙ্গলবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। প্রশাসন ভবন থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের  অংশগ্রহণে বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, নাটকসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় রবি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান-নাচসহ  একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়।

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নামের তালিকা রাস্তার মোড়ে টাঙানোর দাবী রবি উপাচার্যের

আপডেট সময় : ০২:৪৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

শাহাজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

বাংলার মহানায়ককে যারা সপরিবারে হত্যা করেছে এবং সেইসব ঘাতকদেরকে যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করে ঘৃণা প্রকাশের জন্য তাদের নামের তালিকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া উচিৎ।’

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে এক আলোচনা সভায় রবি উপাচার্য এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর বাঙালি যে আনন্দ লাভ করেছিল,  অবিসংবাদিত নেতাকে ফিরে পাওয়ার পর সে আনন্দ পূর্ণতা লাভ করে। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হলেও আমাদের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল। কারণ, বাঙালি জাতির শৃঙ্খলমুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশ নামক কাব্য যিনি রচনা করেছিলেন, ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি তখনও কাছে পায়নি। পাকিস্তানের একটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের অব্যাহত চাপে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হলে তিনি লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছান।’

বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী ও গবেষকদের মতামতের ভিত্তিতে উপাচার্য বলেন, ১৬ ডিসেম্বর জাতি বিজয় অর্জন করলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বিজয় সূচিত হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর  স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী  শেখ হাসিনা, তাঁকে সর্বোতভাব সহায়তা করা আমাদের কর্তব্য।

 মঙ্গলবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। প্রশাসন ভবন থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের  অংশগ্রহণে বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, নাটকসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় রবি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান-নাচসহ  একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়।

বা/খ: জই