ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের ৯৬ বাঁক যেনো মৃত্যুফাঁদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ শামছুর রহমান শিশির :

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের প্রায় ৯৬টি বাঁক যাত্রীদের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ মহাসড়কের সাথে সংযোগ সড়কগুলোতে নেই কোন গতিরোধক। আবার অনেক স্থানে মহাসড়কের দুইপাশে ও মাঝখানে সাদা বর্ডার উঠে যাওয়ায় রাতের বেলায় যানবাহন পরিচালনায় চালকদের পড়তে হয় মহাবিপাকে। এছাড়া এ মহাসড়কে সগর্বে অহরহ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ফিটনেসবিহীন নছিমন-করিমন।এছাড়াও বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের অসংখ্য বাসষ্ট্যান্ড ও মিনি বাসষ্ট্যান্ডে এলোমেলোভাবে সেখানে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাটা মাইক্রো, সিএনজি টেম্পু, অবৈধ ফিটনেস বিহীন নছিমন-করিমন দাঁড় করিয়ে রাখায় প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা ঘটার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রাণহানীর ঘটনা। পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকেই। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদানীসতায় এ মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেস বিহীন অসংখ্য যানবাহন ও অবৈধ নছিমন করিমন। তাদের বেপরোয়া দৌরাত্বে আর আনাড়ি অদক্ষ চালকদের পরিচালনায় ওইসব ফিটনেস বিহীন অসংখ্য যানবাহন ও অবৈধ নছিমন করিমন এ মহাসড়কে দ্রুতগতিতে চলাচল করায় ঘটে চলছে নানা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।দেখার কেউ নেই। ফলে প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ও মালামাল আনানেওয়া করতে হচ্ছে। মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে চলছে মাছবাজার, খড়, ইটসহ বিভিন্ন পন্যের রমরমা ব্যাবসা। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে যানবাহন পরিচালনায় কিছুকিছু স্থানে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারন করে দেওয়া হলেও বাস্তবে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। চালকেরা তাদের ইচ্ছেমতো গতিতে যানবাহন পরিচালনা করায় প্রতিয়িনত ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।এতে একদিকে যেমন প্রাণহানীর ঘটনা বেড়েই চলেছে অন্যদিকে যানবাহন মালিক ও যাত্রীদের যানমালের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে।

বিজ্ঞমহলের মতে , ছোট বড় সংযোগ সড়কগুলোতে মহাসড়কে ওঠার আগে স্পীডবেকার বা গতিরোধক ব্যাবস্থা থাকলে সড়ক দুর্ঘটনার হার রেকর্ড পরিমানে হৃাস পাবে।

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছে, বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের পাটগারী এলাকার দুইটি চাপা ও অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ ব্রীজে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। সাঁথিয়া উপজেলার সরিষা নামক স্থানে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁক। এখানে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এ মহাসড়কের বেড়া সিএনবি বাসষ্ট্যান্ড এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে মহাসড়ক দখল করে বসে নানা পন্যসামগ্রীর বাজার। এছাড়া এ স্থানে অবৈধ নসিমন করিমন অপরিকল্পিতভাবে চলাচল করায় তীব্র যানযটসহ নিয়মিত নানা দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বেড়া থেকে একটু দক্ষিণে দুইটি অত্যন্ত চাপা ব্রীজে নানা দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

চালকদের ভাষ্যমতে, এর কারণ হিসাবে একপাশে একটু ভাঙ্গা ও অপরপাশে একটু দাবা (নীচু)। এ মহাসড়কের চাকলা নামক স্থানের বড় বীজের আগে ও পরে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দুইটি বাঁক। এ বাঁক দুটি এ মহাসড়কের সবচাইতে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ মরণফাঁদ। এ দুটি বাঁক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ধীরগতিতে চালিয়ে যাওয়াই অত্যন্ত দূরহ হলেও এখানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন চোখে পড়েনা। এখানে প্রায় প্রতিদিনই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পাবনার কাশিনাথপুর পাবার একটু আগে রয়েছে একটি বাঁক। এখানে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। কাশিনাথপুর থেকে নগরবাড়ি যাবার পথে যাতিয়ার মোড় এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁক।

এদিকে, শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী দক্ষিণ পাড়ে মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে ২টি সড়ক। এ সড়ক দুটি দিয়ে একটি চয়রার দিকে ও অন্যটি ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর দিকে যাতায়াত করে হাজার হাজার যাত্রী। এখানে সবসময় নছিমন করিমনের যানযট লেগেই থাকে। এ সড়ক দুটি মহাসড়কে ওঠার পথে নেই কোন গতিরোধক। বাঘাবাড়ী বরাল ব্রীজ পাড় হয়ে উত্তর পাড়ে এ মহাসড়কের সাথে চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে মিল্কভিটা থেকে একটি, উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী থেকে একটি, বিপিসির পদ্মা মেঘনা যমুনার বিপনন কেন্দ্র থেকে একটি ও বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকা থেকে একটিসহ মোট চারটি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। নুকালী কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় দুইটি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। নুকালী ব্রীজটি মহাসড়কের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেক উচু ও চাপা হওয়ায় এখানে মাঝে মাঝেই ঘটে নানা দুর্ঘটনা। বাইদ্যা মাদলা এলাকায় একটি সড়ক এ মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দিলরুবা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহন পার্কিংয়ের স্থান দখল করে বসে পাইকারী মাছের হাট। এস্থানে নছিমন করিমন রিক্সা ভ্যান এলোমেলোভাবে রাখায় এ স্থান দিয়ে চলাচলকারী দ্রুতগামী ঢাকার কোচ চলাচলে বিঘ্ন ও নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে।বৃদ্ধি পায় যাত্রী দুর্ভোগ। এ বাসষ্ট্যান্ড থেকে বিসিক বাসষ্ট্যান্ড পাবার মাঝামাঝি এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। বিসিক বাসষ্ট্যান্ড পাবার একটু আগে রয়েছে ১টি তীব্র ঝুুঁকিপূর্ণ বাঁক। বিসিক বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শাহজাদপুর পৌরশহর থেকে ১টি সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। এ বাসষ্ট্যান্ডে সব ধরনের যানবাহন এলোমেলোভাবে পার্কিং করায় প্রায় সব সময়ই যানজট লেগেই থাকে। স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা’র বাসভবনের সামনে চাইলত্যাতলা থেকে ১টি সড়ক মহাসড়কে সংযুক্ত হয়েছে। বিসিক বাসষ্ট্যান্ড ও পাড়কোলা বাজারের মাঝামাঝি এলাকায় রয়েছে তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাড় হবার সময় সামনের কোন যানবাহন দেখা না যাওয়ায় প্রায় প্রায়ই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে। পাড়কোলা বাজার এলাকা পাবার আগে মহাসড়কের পূর্ব অংশের কিছু কিছু স্থানে মাটি সড়ে গেছে। ফলে এখানে ওভারটেকিং করার সময় যানবাহন বাধ্যতামূলক মহাসড়কে রাখায় প্রায়ই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিগত সময়ে এখানে বাসের সাথে নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন শ্রমিকের করুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যুগনীদহ এলাকার ব্রীজের একটু আগে মহাসড়কের পিচ উঠে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সরিষাকোল বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে আলিফ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের সামনে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। মহাসড়কে ওঠার পথে এসব সড়কে নেই কোন গতিরোধক। এ বাসষ্ট্যান্ড এলাকা অবৈধ নছিমন করিমনের দখলে থাকায় এ স্থান দিয়ে দ্রুতগামীর যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।তালগাছী বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ১টি তীব্র বাঁক। তালগাছী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নছিমন করিমন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ স্থানে ২টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। তালগাছী করতোয়া কলেজ এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। গাড়াদহ পুরান বাজার পাবার আগে ১টি এবং বাজার পার হবার পর রয়েছে ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এ স্থানে ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। গাড়াদহ জোড়া বীজ পার হবার পর রয়েছে ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। উল্লাপাড়ার বালসাবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড নছিমন করিমন ও রিক্সাভ্যানের দখলে থাকায় এখানে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এ পয়েন্টে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এ স্থান পার হয়ে কিছুটা দুরে রয়েছে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক, এর প্রায় ৫০০ মিটার দুরে বেলকুচি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। এখানে রয়েছে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক।এ বাঁকে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয় পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক, এর কিছুটা সামনে রয়েছে আরও ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। উল্লাপাড়া আরএস ষ্টেশন এলাকায় ষ্টেশন থেকে ১টি ও বিপরীত দিক থেকে ১টি সড়ক ও রেলপথ পাড়ি দিয়ে আরও ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। এ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাক ও নছিমন করিমন এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আরএস ষ্টেশান থেকে কাউয়াক পর্যন্ত রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। কাউয়াক এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। শ্যামলীপাড়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। ওই ২টি সংযোগ সড়কে নেই কোন গতিরোধক। শ্যামলীপাড়া পার হয়ে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এর পরে শ্রীকোলা মোড়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাসষ্ট্যান্ড। এখানে ২টি সড়ক একদিকে যেমন মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে অন্যদিকে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক থাকায় প্রায় প্রায়ই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। শ্রীকোলা পাড় হয়ে কিছুদুর পর রয়েছে আরও একটি ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক যেখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এর প্রায় ৮শ’ মিটার পরে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এর প্রায় ১কিলো পরে রয়েছে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ মরনফাঁদ নামের ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। ব্রীজটি পাড়ি দিয়ে রয়েছে আরও ১টি অত্যন্ত তীব্র মরনফাঁদ নামের বাঁক। এ বাঁকের দুপাশে স’মিলের হর্তাকর্তারা মহাসড়কের জায়গা দলখ করে ইচ্ছেমতো বড় বড় গাছের গুড়ি রাখায় একটি যানবাহন অন্যটিকে সাইড দিতে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। পূর্ব বোয়ালিয়া পার হবার পর রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। বোয়ালিয়া বাজার বাসষ্ট্যান্ডে নছিমন করিমনসহ নানা যানবাহন ইচ্ছেমতো যত্রতত্র দাড় করিয়ে রাখায় যাত্রীদের পোহাতে হয় অবর্ননীয় দুর্ভোগ। এ বাজার পাড় হয়ে প্রায় ৭০০ মিটার সামনে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। সিরাজগঞ্জ রোড় এলাকায় পৌঁছাতে কিছুদুর পর পর রয়েছে আরও ৩তি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। সিরাজগঞ্জ রোড এলাকার উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন এলোমেলোভাবে পাকিং করায় এখানে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকার পাশাপাশি যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সিরাজগঞ্জ রোড পাড় হয়ে হাটিকুমড়ুল মন্দির এলাকা থেকে ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। সাহেববাজার পাবার পরে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। সমবায় ড্রাইভার ফিলিং ষ্টেশান এলাকায় রয়েছে ২টি তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এসব বাকে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। ঘুড়কা বেলতলা এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। এরপর জোড়া ব্রীজ এলাকা দ্রুতগামী যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে মনে করেন চালকেরা। এ জোড়া ব্রীজ পাড়ি দিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার পর রয়েছে মারাত্বক ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। সামনে ভূঁইয়াগাতী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নছিমন করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনের ভীড় লেগেই থাকে। এখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। ওই ২টি সড়কের সংযোগস্থল বা তার কিছুটা আগে নেই কোন স্পীডবেকার। হাইওয়ে ভিলা হোটেল পাবার ১কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক ও এর পরে রয়েছে আরও ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। সেইসাথে এ এলাকায় মহাসড়কের সাথে ১টি সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। চান্দাইকোনা পাবনা বাজার এলাকায় মহাসড়কের সাথে ২টি সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। এখানে লছিমন করিমনের দাপটে চলাচলই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার পার হবার পর পর রয়েছে ২টি তীব্র বাঁকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এখানে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্য দিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এখানে ১টি সড়ক মহাসড়কে সংযুক্ত হয়েছে। এর ৬-৭’শ মিটার পরে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১টি বাঁক। ফুট ভিলেজ রেস্তোরার পাবার একটু আগে রয়েছে অত্যন্ত চাপা একটি সেতু। ফুড ভিলেজ রেস্তোরা পাড়ি দিয়ে কিছুদুর পর পর রয়েছে আরও ঝুঁকিপূর্ণ ৫ টি বাঁক। ঘোগা বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। ওই বাঁকের পর রয়েছে অত্যন্ত চাপা একটি সেতু।এ এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ঘোগা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়ই রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। ফলে এখানে প্রায় প্রায়ই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এর প্রায় ৭০০ মিটার পরে রয়েছে আরও ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। মোমিন ফিলিং ষ্টেশান পাবার প্রায় ১কিলোমিটার আগে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি মরণফাদ খ্যাত বাঁক। মোমিন ফিলিং ষ্টেশানের সামনে রয়েছে আরও ১টি তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। ছোনকা বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ বাসষ্ট্যান্ডে এলোমেলোভাবে অসংখ্য ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় অনেক সময় দ্রুতগতির ঢাকাগামী কোচের চলাচল মারাত্বকভাবে বিঘিœত হয়। অনেক সময় ঘটে অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এর সামনে শিশু একাডেমি পাড় হবার পর রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। মির্জাপুর বাজার বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক এবং ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। মির্জাপুর বাজার পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১টি বাঁক। তৌহিদ ফিলিং ষ্টেশান পাবার আগে রয়েছে মারাত্বক এবং তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। রহমতপুর বাজার এলাকা পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ এলাকায় যে ৩টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে মহাসড়কে সংযোগস্থলে বা এর একটু আগে নেই কোন স্পীড বেকার। ফলে অনেক সময় দ্রুতগতির যানবাহন মহাসড়কে প্রবেশ করার পথে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রুরাল মেশিনারিজ এর সামনে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। শেরপুর বাসষ্ট্যান্ডের অবস্থা আরও নাজুক। এ বাসষ্ট্যান্ড ইজিবাইক, সিএনজি টেম্পুসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হ-য-ব-র-ল অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ধুনট মোড়ে ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। শেরপুর উপজেলা গেট এলাকায় ২টি সড়ক মহসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। উলিপুর অফিসার পাড়া সংলগ্ন এলাকায় ৭টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দশমাইল বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ৪টি বাঁক রয়েছে এবং ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৩০ থেকে ৫০কিলোমিটার উলে­খ থাকলেও চালকেরা তাদের ইচ্ছামতো ঘন্টায় ৮০/৯০ এমনকি ১শ’ কিলোমিটারের উপরের বেশী গতিতে যানবাহন চালনা করে। ফলে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফারহান ফিলিং ষ্টেশন পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। নয়মাইল বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে একটি মোবাইল ফোন কোম্পানীর টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। এ বাসষ্ট্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ স্থানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে যখন তখন ওই সড়কগুলো দিয়ে দ্রুতগতিতে মহাসড়কে প্রবেশ করায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বাসষ্ট্যান্ড পার হবার পর রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। শাহজাহানপুর বি-ব্লক পাবার আগে পরপর রয়েছে ২টি ঝূঁকিপূর্ণ বাঁক। মাঝিড়া বাজার বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ  ১টি বাঁক। এখানে ৩টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এখানে যানবাহন ওভারটেকিং নিষিদ্ধ হলেও ওই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে চালকেরা একের পর এক যানবাহন ওভারটেকিং করে থাকে। ফলে এ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা নিত্য দিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। ইন্ট্রাকো সিএনজি ফিলিং ষ্টেশান পাবার আগে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক ও পার হবার পর ঝূঁকিপূর্ণ আরেকটি ১টি বাঁক রয়েছে। সাজাপুর পাবার আগে আকাবাঁকা ২টি তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। নর্দান সিএনজি ষ্টেশান পাবার আগে ও ওই ষ্টেশানের সামনে রয়েছে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। বেতগাড়ী এলাকায় ৩টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে । বনানী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো মহাসড়ক দখল করে দাড়িয়ে থাকায় সৃষ্ট হয় যানযট। যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে ভূগতে হয়। বনানী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া শহর থেকে ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। নিটল টাটা সার্ভিস সেন্টার পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ এলাকায় ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। গোমকো সিএনজি ফিলিং ষ্টেশান পার হয়ে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক । প্যারাডাইস হোটেল পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। বগুড়া ৩ মাথা এলাকা অত্যন্ত যানজট এলাকা হওয়ায় যাত্রীভোগান্তী চরমে পৌঁছে। রেলগেট পার হবার আগে ও পরে ২টি করে মোট ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। বগুড়া চারমাথা ও এনার্জী সিএনজি ষ্টেশান পাবার আগে ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। ঝোপগাড়ী সিএনজি পাম্প পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। বারপুর বাজার পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। নওদাপাড়া টিএমএসএস সিএনজি গ্যাসোলিন ষ্টেশান পাবার একটু আগে রয়েছে তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বাঘোপাড়া বাজার পাবার আগে রয়েছে আরেকটি ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। গোকুল এলাকাসহ এখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। উত্তরণ ফিলিং ষ্টেশান এলাকায় ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক ও ৩টি সড়ক ওই মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। মহাস্থানগড় যাদুঘর এলাকা থেকে একটি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। চন্ডিহারা শিবগঞ্জ পাম্প পাবার আগে ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে তন্মদ্ধে ২টি বাঁকে প্রায়শই দুর্ঘটনা লেগেই আছে। কাগাইল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নছিমন করিমন যত্রতত্র পার্কিং ও দাপিয়ে বেড়ানোয় দুর্ঘটনার শংকা বেড়েই চলেছে। মোকামতলা বাজার পাবার আগে ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ বাজার এলাকায় সিএনজি টেম্পু,লছিমন করিমন সগর্বে দাপিয়ে বেড়ানোয় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে মারাত্বভাবে বিঘ্ন ঘটে। অনেক সময় দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া যায়। এ স্থান থেকে ১টি সড়ক জয়পুরহাট জেলার দিকে গেছে। এছাড়া মোকামতলা কোল্ডস্টোর এলাকায় অসংখ্য ট্রাক এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া কাশিপুর মোড়, পাকুড়তলা বাসষ্ট্যান্ড, শিবগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড ও রহবল বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে প্রায় ৬টি ছোটবড় সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এসব সংযোগ ছাড়াও ছোট ছোট সংযোগ সড়কের সংখ্যা আরও বেশী বলে জানা গেছে।

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের বড়বড় বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াও মিনি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যেখানে সেখানে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাটা মাইক্রো, সিএনজি টেম্পু, অবৈধ ফিটনেস বিহীন নছিমন-করিমন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এছাড়া এসব বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াও যেখানে সেখানে হঠাৎ করেই মহাসড়কের সাথে সংযোগ সড়ক থেকে মহাসড়কে দ্রুতগতিতে যানবাহন ওঠানামা করায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা আশংকাজন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের ১৩ জেলার ঢাকা কোচসহ সকল প্রকার দ্রুতগামী যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। ওইসব বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় সকল সময়ই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যত্রতত্র যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় প্রায় বেশিরভাগ সময় যানযট লেগেই থাকে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী সাধারনকে। মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চালকদের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও অবৈধ নছিমন করিমনের অদক্ষ চালকরা অনেক সময় তাদের ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থ হয়। তখনই ঘটে থাকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, প্রতিদিন এ মহাসড়কের কোথাও না কোথাও সড়ক দূর্ঘটনা লেগেই আছে। বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ লছিমন-করিমন, ভটভটি, হিউম্যান হলার, কাটা-মাইক্রো, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের কোনরূপ বিআরটিএ’র রেজিষ্ট্রেশান, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তার পরও অবাধে সড়ক-মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওইসব যানবাহনের সংখ্যা দিনদিন বদ্ধি পাওয়ায় সকল যানবাহন চলাচলে মারাত্বকভাবে বিঘ্ন ঘটায় দুর্ঘটনার মাত্রাও আশংকাজনক হাবে বেড়ে চলেছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে নামে মাত্র অভিযান চালালেও পরদিন থেকেই আবার ওইসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন মহাসড়ক সগর্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ মহাসড়কে অবৈধ নছিমন করিমনের দাপটে যাতায়াত করাই দুরহ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এ মহাসড়কের বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমাফিক যানবাহন দাড় করিয়ে রাখায় ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার যাত্রীদের চলাচল ও মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের প্রায় ৯৬টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের অনেক স্থানেই দিক নির্দেশনামূলক সাংকেতিক চিহ্ন না থাকায়, নির্ধারিত গতিবেগের চেয়ে অধিক গতিতে যানবাহন পরিচালনায় কোনরুপ মনিটরিং না থাকায় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে শতশত সংযুক্ত সড়কের সংযোগস্থলে স্পীডবেকার বা গতিরোধক তৈরি করে দেওয়া ও এ মহাসড়কের যেসব স্থানে বর্ডার মুছে গেছে বা নেই ওইসব স্থানে মহাসড়কের দুইপাশে এবং মাঝখানে সাদা বর্ডার দেওয়া হলে একদিকে যেমন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার হার রেকর্ড পরিমান কমে যাবে, অন্যদিকে এ জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চরের লাখ লাখ লোকের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বহুলাংশে হ্রাস পাবে। ফলে অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারলে উত্তরাঞ্চলবাসীসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবহন মালিক ও যাত্রী সাধারনের জীবনের ঝুঁকি হ্রাস পাবার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির হাত থেকেও রেহাই পাবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের ৯৬ বাঁক যেনো মৃত্যুফাঁদ

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

মোঃ শামছুর রহমান শিশির :

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের প্রায় ৯৬টি বাঁক যাত্রীদের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ মহাসড়কের সাথে সংযোগ সড়কগুলোতে নেই কোন গতিরোধক। আবার অনেক স্থানে মহাসড়কের দুইপাশে ও মাঝখানে সাদা বর্ডার উঠে যাওয়ায় রাতের বেলায় যানবাহন পরিচালনায় চালকদের পড়তে হয় মহাবিপাকে। এছাড়া এ মহাসড়কে সগর্বে অহরহ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ফিটনেসবিহীন নছিমন-করিমন।এছাড়াও বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের অসংখ্য বাসষ্ট্যান্ড ও মিনি বাসষ্ট্যান্ডে এলোমেলোভাবে সেখানে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাটা মাইক্রো, সিএনজি টেম্পু, অবৈধ ফিটনেস বিহীন নছিমন-করিমন দাঁড় করিয়ে রাখায় প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা ঘটার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রাণহানীর ঘটনা। পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকেই। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদানীসতায় এ মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেস বিহীন অসংখ্য যানবাহন ও অবৈধ নছিমন করিমন। তাদের বেপরোয়া দৌরাত্বে আর আনাড়ি অদক্ষ চালকদের পরিচালনায় ওইসব ফিটনেস বিহীন অসংখ্য যানবাহন ও অবৈধ নছিমন করিমন এ মহাসড়কে দ্রুতগতিতে চলাচল করায় ঘটে চলছে নানা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।দেখার কেউ নেই। ফলে প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ও মালামাল আনানেওয়া করতে হচ্ছে। মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে চলছে মাছবাজার, খড়, ইটসহ বিভিন্ন পন্যের রমরমা ব্যাবসা। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে যানবাহন পরিচালনায় কিছুকিছু স্থানে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারন করে দেওয়া হলেও বাস্তবে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। চালকেরা তাদের ইচ্ছেমতো গতিতে যানবাহন পরিচালনা করায় প্রতিয়িনত ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।এতে একদিকে যেমন প্রাণহানীর ঘটনা বেড়েই চলেছে অন্যদিকে যানবাহন মালিক ও যাত্রীদের যানমালের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে।

বিজ্ঞমহলের মতে , ছোট বড় সংযোগ সড়কগুলোতে মহাসড়কে ওঠার আগে স্পীডবেকার বা গতিরোধক ব্যাবস্থা থাকলে সড়ক দুর্ঘটনার হার রেকর্ড পরিমানে হৃাস পাবে।

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছে, বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের পাটগারী এলাকার দুইটি চাপা ও অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ ব্রীজে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। সাঁথিয়া উপজেলার সরিষা নামক স্থানে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁক। এখানে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এ মহাসড়কের বেড়া সিএনবি বাসষ্ট্যান্ড এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে মহাসড়ক দখল করে বসে নানা পন্যসামগ্রীর বাজার। এছাড়া এ স্থানে অবৈধ নসিমন করিমন অপরিকল্পিতভাবে চলাচল করায় তীব্র যানযটসহ নিয়মিত নানা দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বেড়া থেকে একটু দক্ষিণে দুইটি অত্যন্ত চাপা ব্রীজে নানা দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

চালকদের ভাষ্যমতে, এর কারণ হিসাবে একপাশে একটু ভাঙ্গা ও অপরপাশে একটু দাবা (নীচু)। এ মহাসড়কের চাকলা নামক স্থানের বড় বীজের আগে ও পরে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দুইটি বাঁক। এ বাঁক দুটি এ মহাসড়কের সবচাইতে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ মরণফাঁদ। এ দুটি বাঁক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ধীরগতিতে চালিয়ে যাওয়াই অত্যন্ত দূরহ হলেও এখানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন চোখে পড়েনা। এখানে প্রায় প্রতিদিনই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পাবনার কাশিনাথপুর পাবার একটু আগে রয়েছে একটি বাঁক। এখানে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। কাশিনাথপুর থেকে নগরবাড়ি যাবার পথে যাতিয়ার মোড় এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁক।

এদিকে, শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী দক্ষিণ পাড়ে মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে ২টি সড়ক। এ সড়ক দুটি দিয়ে একটি চয়রার দিকে ও অন্যটি ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর দিকে যাতায়াত করে হাজার হাজার যাত্রী। এখানে সবসময় নছিমন করিমনের যানযট লেগেই থাকে। এ সড়ক দুটি মহাসড়কে ওঠার পথে নেই কোন গতিরোধক। বাঘাবাড়ী বরাল ব্রীজ পাড় হয়ে উত্তর পাড়ে এ মহাসড়কের সাথে চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে মিল্কভিটা থেকে একটি, উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী থেকে একটি, বিপিসির পদ্মা মেঘনা যমুনার বিপনন কেন্দ্র থেকে একটি ও বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকা থেকে একটিসহ মোট চারটি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। নুকালী কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় দুইটি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। নুকালী ব্রীজটি মহাসড়কের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেক উচু ও চাপা হওয়ায় এখানে মাঝে মাঝেই ঘটে নানা দুর্ঘটনা। বাইদ্যা মাদলা এলাকায় একটি সড়ক এ মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দিলরুবা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহন পার্কিংয়ের স্থান দখল করে বসে পাইকারী মাছের হাট। এস্থানে নছিমন করিমন রিক্সা ভ্যান এলোমেলোভাবে রাখায় এ স্থান দিয়ে চলাচলকারী দ্রুতগামী ঢাকার কোচ চলাচলে বিঘ্ন ও নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে।বৃদ্ধি পায় যাত্রী দুর্ভোগ। এ বাসষ্ট্যান্ড থেকে বিসিক বাসষ্ট্যান্ড পাবার মাঝামাঝি এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। বিসিক বাসষ্ট্যান্ড পাবার একটু আগে রয়েছে ১টি তীব্র ঝুুঁকিপূর্ণ বাঁক। বিসিক বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শাহজাদপুর পৌরশহর থেকে ১টি সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। এ বাসষ্ট্যান্ডে সব ধরনের যানবাহন এলোমেলোভাবে পার্কিং করায় প্রায় সব সময়ই যানজট লেগেই থাকে। স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা’র বাসভবনের সামনে চাইলত্যাতলা থেকে ১টি সড়ক মহাসড়কে সংযুক্ত হয়েছে। বিসিক বাসষ্ট্যান্ড ও পাড়কোলা বাজারের মাঝামাঝি এলাকায় রয়েছে তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাড় হবার সময় সামনের কোন যানবাহন দেখা না যাওয়ায় প্রায় প্রায়ই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে। পাড়কোলা বাজার এলাকা পাবার আগে মহাসড়কের পূর্ব অংশের কিছু কিছু স্থানে মাটি সড়ে গেছে। ফলে এখানে ওভারটেকিং করার সময় যানবাহন বাধ্যতামূলক মহাসড়কে রাখায় প্রায়ই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিগত সময়ে এখানে বাসের সাথে নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন শ্রমিকের করুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যুগনীদহ এলাকার ব্রীজের একটু আগে মহাসড়কের পিচ উঠে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সরিষাকোল বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে আলিফ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের সামনে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। মহাসড়কে ওঠার পথে এসব সড়কে নেই কোন গতিরোধক। এ বাসষ্ট্যান্ড এলাকা অবৈধ নছিমন করিমনের দখলে থাকায় এ স্থান দিয়ে দ্রুতগামীর যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।তালগাছী বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ১টি তীব্র বাঁক। তালগাছী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নছিমন করিমন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ স্থানে ২টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। তালগাছী করতোয়া কলেজ এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। গাড়াদহ পুরান বাজার পাবার আগে ১টি এবং বাজার পার হবার পর রয়েছে ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এ স্থানে ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। গাড়াদহ জোড়া বীজ পার হবার পর রয়েছে ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। উল্লাপাড়ার বালসাবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড নছিমন করিমন ও রিক্সাভ্যানের দখলে থাকায় এখানে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এ পয়েন্টে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এ স্থান পার হয়ে কিছুটা দুরে রয়েছে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক, এর প্রায় ৫০০ মিটার দুরে বেলকুচি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। এখানে রয়েছে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক।এ বাঁকে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয় পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক, এর কিছুটা সামনে রয়েছে আরও ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। উল্লাপাড়া আরএস ষ্টেশন এলাকায় ষ্টেশন থেকে ১টি ও বিপরীত দিক থেকে ১টি সড়ক ও রেলপথ পাড়ি দিয়ে আরও ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। এ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাক ও নছিমন করিমন এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আরএস ষ্টেশান থেকে কাউয়াক পর্যন্ত রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। কাউয়াক এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। শ্যামলীপাড়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। ওই ২টি সংযোগ সড়কে নেই কোন গতিরোধক। শ্যামলীপাড়া পার হয়ে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এর পরে শ্রীকোলা মোড়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাসষ্ট্যান্ড। এখানে ২টি সড়ক একদিকে যেমন মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে অন্যদিকে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক থাকায় প্রায় প্রায়ই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। শ্রীকোলা পাড় হয়ে কিছুদুর পর রয়েছে আরও একটি ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক যেখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এর প্রায় ৮শ’ মিটার পরে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এর প্রায় ১কিলো পরে রয়েছে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ মরনফাঁদ নামের ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। ব্রীজটি পাড়ি দিয়ে রয়েছে আরও ১টি অত্যন্ত তীব্র মরনফাঁদ নামের বাঁক। এ বাঁকের দুপাশে স’মিলের হর্তাকর্তারা মহাসড়কের জায়গা দলখ করে ইচ্ছেমতো বড় বড় গাছের গুড়ি রাখায় একটি যানবাহন অন্যটিকে সাইড দিতে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। পূর্ব বোয়ালিয়া পার হবার পর রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। বোয়ালিয়া বাজার বাসষ্ট্যান্ডে নছিমন করিমনসহ নানা যানবাহন ইচ্ছেমতো যত্রতত্র দাড় করিয়ে রাখায় যাত্রীদের পোহাতে হয় অবর্ননীয় দুর্ভোগ। এ বাজার পাড় হয়ে প্রায় ৭০০ মিটার সামনে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। সিরাজগঞ্জ রোড় এলাকায় পৌঁছাতে কিছুদুর পর পর রয়েছে আরও ৩তি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। সিরাজগঞ্জ রোড এলাকার উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন এলোমেলোভাবে পাকিং করায় এখানে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকার পাশাপাশি যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সিরাজগঞ্জ রোড পাড় হয়ে হাটিকুমড়ুল মন্দির এলাকা থেকে ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। সাহেববাজার পাবার পরে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। সমবায় ড্রাইভার ফিলিং ষ্টেশান এলাকায় রয়েছে ২টি তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এসব বাকে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। ঘুড়কা বেলতলা এলাকায় ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। এরপর জোড়া ব্রীজ এলাকা দ্রুতগামী যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে মনে করেন চালকেরা। এ জোড়া ব্রীজ পাড়ি দিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার পর রয়েছে মারাত্বক ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। সামনে ভূঁইয়াগাতী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নছিমন করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনের ভীড় লেগেই থাকে। এখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। ওই ২টি সড়কের সংযোগস্থল বা তার কিছুটা আগে নেই কোন স্পীডবেকার। হাইওয়ে ভিলা হোটেল পাবার ১কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক ও এর পরে রয়েছে আরও ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। সেইসাথে এ এলাকায় মহাসড়কের সাথে ১টি সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। চান্দাইকোনা পাবনা বাজার এলাকায় মহাসড়কের সাথে ২টি সড়ক সংযুক্ত হয়েছে। এখানে লছিমন করিমনের দাপটে চলাচলই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার পার হবার পর পর রয়েছে ২টি তীব্র বাঁকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এখানে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্য দিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এখানে ১টি সড়ক মহাসড়কে সংযুক্ত হয়েছে। এর ৬-৭’শ মিটার পরে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১টি বাঁক। ফুট ভিলেজ রেস্তোরার পাবার একটু আগে রয়েছে অত্যন্ত চাপা একটি সেতু। ফুড ভিলেজ রেস্তোরা পাড়ি দিয়ে কিছুদুর পর পর রয়েছে আরও ঝুঁকিপূর্ণ ৫ টি বাঁক। ঘোগা বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। ওই বাঁকের পর রয়েছে অত্যন্ত চাপা একটি সেতু।এ এলাকায় ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ঘোগা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়ই রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। ফলে এখানে প্রায় প্রায়ই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এর প্রায় ৭০০ মিটার পরে রয়েছে আরও ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। মোমিন ফিলিং ষ্টেশান পাবার প্রায় ১কিলোমিটার আগে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১টি মরণফাদ খ্যাত বাঁক। মোমিন ফিলিং ষ্টেশানের সামনে রয়েছে আরও ১টি তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। ছোনকা বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ বাসষ্ট্যান্ডে এলোমেলোভাবে অসংখ্য ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় অনেক সময় দ্রুতগতির ঢাকাগামী কোচের চলাচল মারাত্বকভাবে বিঘিœত হয়। অনেক সময় ঘটে অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এর সামনে শিশু একাডেমি পাড় হবার পর রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। মির্জাপুর বাজার বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক এবং ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। মির্জাপুর বাজার পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১টি বাঁক। তৌহিদ ফিলিং ষ্টেশান পাবার আগে রয়েছে মারাত্বক এবং তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। রহমতপুর বাজার এলাকা পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ এলাকায় যে ৩টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে মহাসড়কে সংযোগস্থলে বা এর একটু আগে নেই কোন স্পীড বেকার। ফলে অনেক সময় দ্রুতগতির যানবাহন মহাসড়কে প্রবেশ করার পথে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রুরাল মেশিনারিজ এর সামনে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। শেরপুর বাসষ্ট্যান্ডের অবস্থা আরও নাজুক। এ বাসষ্ট্যান্ড ইজিবাইক, সিএনজি টেম্পুসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হ-য-ব-র-ল অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ধুনট মোড়ে ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। শেরপুর উপজেলা গেট এলাকায় ২টি সড়ক মহসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। উলিপুর অফিসার পাড়া সংলগ্ন এলাকায় ৭টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দশমাইল বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ৪টি বাঁক রয়েছে এবং ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৩০ থেকে ৫০কিলোমিটার উলে­খ থাকলেও চালকেরা তাদের ইচ্ছামতো ঘন্টায় ৮০/৯০ এমনকি ১শ’ কিলোমিটারের উপরের বেশী গতিতে যানবাহন চালনা করে। ফলে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফারহান ফিলিং ষ্টেশন পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে ১টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। নয়মাইল বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে একটি মোবাইল ফোন কোম্পানীর টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। এ বাসষ্ট্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ স্থানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে যখন তখন ওই সড়কগুলো দিয়ে দ্রুতগতিতে মহাসড়কে প্রবেশ করায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বাসষ্ট্যান্ড পার হবার পর রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। শাহজাহানপুর বি-ব্লক পাবার আগে পরপর রয়েছে ২টি ঝূঁকিপূর্ণ বাঁক। মাঝিড়া বাজার বাসষ্ট্যান্ড পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ  ১টি বাঁক। এখানে ৩টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এখানে যানবাহন ওভারটেকিং নিষিদ্ধ হলেও ওই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে চালকেরা একের পর এক যানবাহন ওভারটেকিং করে থাকে। ফলে এ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা নিত্য দিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। ইন্ট্রাকো সিএনজি ফিলিং ষ্টেশান পাবার আগে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক ও পার হবার পর ঝূঁকিপূর্ণ আরেকটি ১টি বাঁক রয়েছে। সাজাপুর পাবার আগে আকাবাঁকা ২টি তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। নর্দান সিএনজি ষ্টেশান পাবার আগে ও ওই ষ্টেশানের সামনে রয়েছে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক। বেতগাড়ী এলাকায় ৩টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে । বনানী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো মহাসড়ক দখল করে দাড়িয়ে থাকায় সৃষ্ট হয় যানযট। যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে ভূগতে হয়। বনানী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া শহর থেকে ১টি সড়ক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। নিটল টাটা সার্ভিস সেন্টার পাবার আগে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ এলাকায় ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। গোমকো সিএনজি ফিলিং ষ্টেশান পার হয়ে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক । প্যারাডাইস হোটেল পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। বগুড়া ৩ মাথা এলাকা অত্যন্ত যানজট এলাকা হওয়ায় যাত্রীভোগান্তী চরমে পৌঁছে। রেলগেট পার হবার আগে ও পরে ২টি করে মোট ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। বগুড়া চারমাথা ও এনার্জী সিএনজি ষ্টেশান পাবার আগে ৪টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। ঝোপগাড়ী সিএনজি পাম্প পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। বারপুর বাজার পাবার আগে রয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। নওদাপাড়া টিএমএসএস সিএনজি গ্যাসোলিন ষ্টেশান পাবার একটু আগে রয়েছে তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এখানে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বাঘোপাড়া বাজার পাবার আগে রয়েছে আরেকটি ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। গোকুল এলাকাসহ এখানে ২টি সড়ক মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। উত্তরণ ফিলিং ষ্টেশান এলাকায় ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক ও ৩টি সড়ক ওই মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। মহাস্থানগড় যাদুঘর এলাকা থেকে একটি সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। চন্ডিহারা শিবগঞ্জ পাম্প পাবার আগে ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে তন্মদ্ধে ২টি বাঁকে প্রায়শই দুর্ঘটনা লেগেই আছে। কাগাইল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নছিমন করিমন যত্রতত্র পার্কিং ও দাপিয়ে বেড়ানোয় দুর্ঘটনার শংকা বেড়েই চলেছে। মোকামতলা বাজার পাবার আগে ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ বাজার এলাকায় সিএনজি টেম্পু,লছিমন করিমন সগর্বে দাপিয়ে বেড়ানোয় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে মারাত্বভাবে বিঘ্ন ঘটে। অনেক সময় দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া যায়। এ স্থান থেকে ১টি সড়ক জয়পুরহাট জেলার দিকে গেছে। এছাড়া মোকামতলা কোল্ডস্টোর এলাকায় অসংখ্য ট্রাক এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া কাশিপুর মোড়, পাকুড়তলা বাসষ্ট্যান্ড, শিবগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড ও রহবল বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে প্রায় ৬টি ছোটবড় সড়ক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এসব সংযোগ ছাড়াও ছোট ছোট সংযোগ সড়কের সংখ্যা আরও বেশী বলে জানা গেছে।

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের বড়বড় বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াও মিনি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যেখানে সেখানে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাটা মাইক্রো, সিএনজি টেম্পু, অবৈধ ফিটনেস বিহীন নছিমন-করিমন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এছাড়া এসব বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াও যেখানে সেখানে হঠাৎ করেই মহাসড়কের সাথে সংযোগ সড়ক থেকে মহাসড়কে দ্রুতগতিতে যানবাহন ওঠানামা করায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা আশংকাজন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের ১৩ জেলার ঢাকা কোচসহ সকল প্রকার দ্রুতগামী যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। ওইসব বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় সকল সময়ই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যত্রতত্র যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় প্রায় বেশিরভাগ সময় যানযট লেগেই থাকে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী সাধারনকে। মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চালকদের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও অবৈধ নছিমন করিমনের অদক্ষ চালকরা অনেক সময় তাদের ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থ হয়। তখনই ঘটে থাকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, প্রতিদিন এ মহাসড়কের কোথাও না কোথাও সড়ক দূর্ঘটনা লেগেই আছে। বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ লছিমন-করিমন, ভটভটি, হিউম্যান হলার, কাটা-মাইক্রো, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের কোনরূপ বিআরটিএ’র রেজিষ্ট্রেশান, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তার পরও অবাধে সড়ক-মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওইসব যানবাহনের সংখ্যা দিনদিন বদ্ধি পাওয়ায় সকল যানবাহন চলাচলে মারাত্বকভাবে বিঘ্ন ঘটায় দুর্ঘটনার মাত্রাও আশংকাজনক হাবে বেড়ে চলেছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে নামে মাত্র অভিযান চালালেও পরদিন থেকেই আবার ওইসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন মহাসড়ক সগর্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ মহাসড়কে অবৈধ নছিমন করিমনের দাপটে যাতায়াত করাই দুরহ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এ মহাসড়কের বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমাফিক যানবাহন দাড় করিয়ে রাখায় ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার যাত্রীদের চলাচল ও মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের প্রায় ৯৬টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের অনেক স্থানেই দিক নির্দেশনামূলক সাংকেতিক চিহ্ন না থাকায়, নির্ধারিত গতিবেগের চেয়ে অধিক গতিতে যানবাহন পরিচালনায় কোনরুপ মনিটরিং না থাকায় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে শতশত সংযুক্ত সড়কের সংযোগস্থলে স্পীডবেকার বা গতিরোধক তৈরি করে দেওয়া ও এ মহাসড়কের যেসব স্থানে বর্ডার মুছে গেছে বা নেই ওইসব স্থানে মহাসড়কের দুইপাশে এবং মাঝখানে সাদা বর্ডার দেওয়া হলে একদিকে যেমন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার হার রেকর্ড পরিমান কমে যাবে, অন্যদিকে এ জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চরের লাখ লাখ লোকের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বহুলাংশে হ্রাস পাবে। ফলে অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারলে উত্তরাঞ্চলবাসীসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবহন মালিক ও যাত্রী সাধারনের জীবনের ঝুঁকি হ্রাস পাবার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির হাত থেকেও রেহাই পাবে।