ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় সুলাওয়েসে দ্বীপে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পটি এতই শক্তিশালী ছিল যে, পার্শ্ববর্তী দেশ ফিলিপাইনেও এটির কম্পন অনুভূত হয়েছে ব্যাপকভাবে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৬ মিনিটে দেশটিতে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। এর প্রভাব এতটাই শক্তিশালী ছিল যে প্রতিবেশী দেশ ফিলিপাইনেও সেটি অনুভূত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ইন্দোনেশীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মেলোনগুয়ান শহর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৪ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভূপ্রকৃতিবিদ্যা সংস্থা।

স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল কম্পন। এ সময় প্রচণ্ডভাবে কাঁপতে থাকা বিভিন্ন ভবন থেকে প্রাণভয়ে পড়িমরি করে ছুটে বের হচ্ছিল লোকজন।

তবে কম্পনের মাত্রা ব্যাপক থাকলেও কোনো ভবন ভেঙে পড়া বা হতাহতের কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে সুলাওয়েসি প্রাদেশিক পুলিশ।

সুলাওয়েসি দ্বীপ থেকে কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরেই ফিলিপাইনের মালুকু দ্বীপ। মালুকুর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন বুধবারের ভূমিকম্পের কম্পন ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে মালুকুসহ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলেও। ভূমিকম্পের কারণে সম্ভাব্য প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রশান্ত মহাসাগরের ‘আগ্নেয় মেখলা’ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া-ফিলিপাইনে ভূমিকম্প একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গত সপ্তাহেও ইন্দোনেশিয়ার তানিমবার দ্বীপে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। অবশ্য তাতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সিয়ানজুরে আঘাত হানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানায় এতে প্রাণ হারান অন্তত ২৭১ জন। আহত হন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।

২০১৮ সালের পর থেকে ইন্দোনেশিয়ায় এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প। ওই বছর পালু শহরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার প্রলয়ংকরী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যার জেরে সুনামি ও ভয়াবহ ভূমিধস দেখা দেয়। সেদিন প্রাণ হারান চার হাজারের বেশি মানুষ।

২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

আপডেট সময় : ০৪:৫১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় সুলাওয়েসে দ্বীপে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পটি এতই শক্তিশালী ছিল যে, পার্শ্ববর্তী দেশ ফিলিপাইনেও এটির কম্পন অনুভূত হয়েছে ব্যাপকভাবে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৬ মিনিটে দেশটিতে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। এর প্রভাব এতটাই শক্তিশালী ছিল যে প্রতিবেশী দেশ ফিলিপাইনেও সেটি অনুভূত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ইন্দোনেশীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মেলোনগুয়ান শহর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৪ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভূপ্রকৃতিবিদ্যা সংস্থা।

স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল কম্পন। এ সময় প্রচণ্ডভাবে কাঁপতে থাকা বিভিন্ন ভবন থেকে প্রাণভয়ে পড়িমরি করে ছুটে বের হচ্ছিল লোকজন।

তবে কম্পনের মাত্রা ব্যাপক থাকলেও কোনো ভবন ভেঙে পড়া বা হতাহতের কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে সুলাওয়েসি প্রাদেশিক পুলিশ।

সুলাওয়েসি দ্বীপ থেকে কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরেই ফিলিপাইনের মালুকু দ্বীপ। মালুকুর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন বুধবারের ভূমিকম্পের কম্পন ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে মালুকুসহ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলেও। ভূমিকম্পের কারণে সম্ভাব্য প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রশান্ত মহাসাগরের ‘আগ্নেয় মেখলা’ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া-ফিলিপাইনে ভূমিকম্প একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গত সপ্তাহেও ইন্দোনেশিয়ার তানিমবার দ্বীপে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। অবশ্য তাতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সিয়ানজুরে আঘাত হানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানায় এতে প্রাণ হারান অন্তত ২৭১ জন। আহত হন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।

২০১৮ সালের পর থেকে ইন্দোনেশিয়ায় এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প। ওই বছর পালু শহরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার প্রলয়ংকরী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যার জেরে সুনামি ও ভয়াবহ ভূমিধস দেখা দেয়। সেদিন প্রাণ হারান চার হাজারের বেশি মানুষ।

২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।