ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফিরে এল ১৪ শতাব্দীর ভয়াবহ রোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে বিরল এক রোগ, যা ১৪ শতাব্দীতে ৫ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। এই রোগটির নাম বুবোনিক প্লেগ। মার্কিন প্রশাসন জানায়, ওরেগনে মানব শরীরে বুবোনিক প্লেগ শনাক্ত করা হয়েছে। বিড়াল থেকেই এ রোগটি সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্ল্যাক ডেথ নামের এই মহামারি মধ্যযুগে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল। এই রোগটি উন্নত দেশগুলোতে শনাক্ত হওয়া অস্বাভাবিক। এখন এর চিকিৎসা বের হলেও এটি এখনও বিপজ্জনক রয়ে গেছে।

জানা গেছে, ওরেগনে বুবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, ওই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ডেসচুটস কাউন্টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. রিচার্ড ফসেট বলেন, ‘পোষা প্রাণীদের সংস্পর্শে আসা সব বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।’

মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুবোনিক প্লেগ সংক্রমণের আট দিন পর দেহে উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত প্লেগে আক্রান্ত পশু বা মাছি থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়। বুবোনিক প্লেগের অন্যতম উপসর্গ হল জ্বর, শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শরীরে শিহরণ ও পেশিতে ব্যথা হওয়া। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে বুবোনিক প্লেগ সেপ্টিসেমিক প্লেগেও পরিণত হতে পারে, যা শরীরের ধমনীকে সংক্রমিত করে। এছাড়া নিউমোনিক প্লেগও হয়, যেখানে ফুসফুস সংক্রমিত হয়। উভয় সংক্রমণই অত্যন্ত গুরুতর।

এর আগে ২০১৫ সালে সবশেষ বুবোনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিরে এল ১৪ শতাব্দীর ভয়াবহ রোগ

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে বিরল এক রোগ, যা ১৪ শতাব্দীতে ৫ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। এই রোগটির নাম বুবোনিক প্লেগ। মার্কিন প্রশাসন জানায়, ওরেগনে মানব শরীরে বুবোনিক প্লেগ শনাক্ত করা হয়েছে। বিড়াল থেকেই এ রোগটি সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্ল্যাক ডেথ নামের এই মহামারি মধ্যযুগে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল। এই রোগটি উন্নত দেশগুলোতে শনাক্ত হওয়া অস্বাভাবিক। এখন এর চিকিৎসা বের হলেও এটি এখনও বিপজ্জনক রয়ে গেছে।

জানা গেছে, ওরেগনে বুবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, ওই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ডেসচুটস কাউন্টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. রিচার্ড ফসেট বলেন, ‘পোষা প্রাণীদের সংস্পর্শে আসা সব বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।’

মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুবোনিক প্লেগ সংক্রমণের আট দিন পর দেহে উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত প্লেগে আক্রান্ত পশু বা মাছি থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়। বুবোনিক প্লেগের অন্যতম উপসর্গ হল জ্বর, শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শরীরে শিহরণ ও পেশিতে ব্যথা হওয়া। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে বুবোনিক প্লেগ সেপ্টিসেমিক প্লেগেও পরিণত হতে পারে, যা শরীরের ধমনীকে সংক্রমিত করে। এছাড়া নিউমোনিক প্লেগও হয়, যেখানে ফুসফুস সংক্রমিত হয়। উভয় সংক্রমণই অত্যন্ত গুরুতর।

এর আগে ২০১৫ সালে সবশেষ বুবোনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।