ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফরিদপুরে ৩ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর অসদাচরণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// বিশেষ প্রতিনিধি //
তদারকি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার জমাদ্দার ডাঙ্গীতে নির্মানাধীন সেতুর কাজের মাটি ধ্বসে তিন শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । এদিকে এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর স্মরণাপন্ন হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসদাচারণ করেন এবং এ নিয়ে সাংবাদিকদের জানার বাধ্যবাধকতা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। যদিও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক বলেছেন প্রাথমিকভাবে প্রকৌশলীদের তদারকির অভাব স্পষ্ট হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত  কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসও দেন তিনি।
চার কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে জমাদ্দার ডাঙ্গী সেতুর নির্মান কাজ চলমান ছিল। বুধবার দুপুরে ওই সেতুর বেজ ঢালাই কাজের রডের স্ট্রাকচার তৈরির কাজ করেছিলেন শ্রমিকরা। এসময় উপর থেকে বিশাল মাটির চাপ ভেঙ্গে পড়ে তাদের উপর। এত ঘটনা স্থলেই নিহত হন তিন শ্রমিক। আশংকাজনক অবস্থায় আরো একজনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
স্থানীয়দের দাবী, তদারকি  কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।  তারা জানান, অপরিকল্পিতভাব মাটি খনন করায় আগে থেকেই ঝুঁকিতে ছিল। এ নিয়ে কেউ কিছু বললে দেয়া হয় হুমকিও। তারা আরো জানান, এখনো ঝুঁকিতে রয়েছ একটি ভবন ও পল্লী বিদ্যুতের একটি খুটিও, যা যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলেও জানান তারা।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাহিদুজ্জামান খানের স্মরণাপন হলে ক্ষুব্দ হয় পড়েন তিনি। উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সাথে অসদাচারণ করেন তিনি। তিনি বলেন, এসব বিষয় সাংবাদিকদের কোন বাধ্যবাধকতা নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেন। এ সময় সেখানে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা  প্রশাসক মো ইয়াসিন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
যদিও এ হতাহতের ঘটনায় প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবের বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো কামরুল আহ্সান তালুকদার। তিনি জানান, এ বিষয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে বুধবার সন্ধায় নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়ছে। তবে হত দরিদ্র শ্রমিক পরিবারগুলার পক্ষে কেউ এ বিষয়ে পুলিশী অভিযোগ এখনো করেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরে ৩ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর অসদাচরণ

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
// বিশেষ প্রতিনিধি //
তদারকি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার জমাদ্দার ডাঙ্গীতে নির্মানাধীন সেতুর কাজের মাটি ধ্বসে তিন শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । এদিকে এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর স্মরণাপন্ন হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসদাচারণ করেন এবং এ নিয়ে সাংবাদিকদের জানার বাধ্যবাধকতা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। যদিও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক বলেছেন প্রাথমিকভাবে প্রকৌশলীদের তদারকির অভাব স্পষ্ট হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত  কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসও দেন তিনি।
চার কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে জমাদ্দার ডাঙ্গী সেতুর নির্মান কাজ চলমান ছিল। বুধবার দুপুরে ওই সেতুর বেজ ঢালাই কাজের রডের স্ট্রাকচার তৈরির কাজ করেছিলেন শ্রমিকরা। এসময় উপর থেকে বিশাল মাটির চাপ ভেঙ্গে পড়ে তাদের উপর। এত ঘটনা স্থলেই নিহত হন তিন শ্রমিক। আশংকাজনক অবস্থায় আরো একজনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
স্থানীয়দের দাবী, তদারকি  কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।  তারা জানান, অপরিকল্পিতভাব মাটি খনন করায় আগে থেকেই ঝুঁকিতে ছিল। এ নিয়ে কেউ কিছু বললে দেয়া হয় হুমকিও। তারা আরো জানান, এখনো ঝুঁকিতে রয়েছ একটি ভবন ও পল্লী বিদ্যুতের একটি খুটিও, যা যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলেও জানান তারা।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাহিদুজ্জামান খানের স্মরণাপন হলে ক্ষুব্দ হয় পড়েন তিনি। উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সাথে অসদাচারণ করেন তিনি। তিনি বলেন, এসব বিষয় সাংবাদিকদের কোন বাধ্যবাধকতা নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেন। এ সময় সেখানে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা  প্রশাসক মো ইয়াসিন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
যদিও এ হতাহতের ঘটনায় প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবের বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো কামরুল আহ্সান তালুকদার। তিনি জানান, এ বিষয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে বুধবার সন্ধায় নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়ছে। তবে হত দরিদ্র শ্রমিক পরিবারগুলার পক্ষে কেউ এ বিষয়ে পুলিশী অভিযোগ এখনো করেনি।