ফরিদপুরে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি : মানুষের কত কষ্ট
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2023/08/cropped-Bangla_khobor_logo-02-removebg-preview.png)
- আপডেট সময় : ১২:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
- / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
// বিশেষ প্রতিনিধি //
ফরিদপুরে অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য অধিদপ্তর ওএসের মাধ্যমে সপ্তাহে পাঁচ দিন জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল ও আটা বিক্রয় করবে। চাল প্রতি কেজি এিশ টাকা ও আটা প্রতি কেজি চব্বিশ টাকা দরে। ফরিদপুর পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসর পণ্য দিয়ে থাকে।
সোমবার ভোর বেলা দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র (Nid Card) নিয়ে শতশত মহিলা ও পুরুষা লাইনে দাড়িয়ে ঠেলাঠেলি করছে কে কার আগে (nid) কার্ডটি জমা দিবে।
এ দৃশ্য টি ধারণ করা হয়েছে ফরিদপুর শহরের প্রান কেন্দ্র টেপাখোলা বাজারে। এই ওএমএসের ডিলার হচ্ছেন জলিল মীর। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চাল ও আটা দিয়ে আসছে। কিন্তু এ রকম ভীড় সবসময়ই থাকতো আজকে সিস্টেম হচ্ছে অন্য রকম বলে জানান জলিল মীর ও খাদ্য বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত এক কর্মকর্তা। তারা জানান, নতুন নিয়ম হলো এখন থেকে ( nid) কার্ড সাথে থাকত হবে অন্যথায় চাল ও আটা দেওেয়া যাবে না।
কথা হয় চাউল ও আটা নিতে আসা হাজের বেগম, শিউলি বেগম, সামসু, মিলনসহ একাধিক ব্যাক্তিদের সাথে।
তারা বলেন, পাঁচ কেজি করে আটা ও চাল নিতে এসে বিড়ম্বনায় পরতে হয়। খুব ভোরে এসে লাইনে দাড়াতে হয় কিন্তু
চাল আটা দেয়া শুরু করে সকাল ৯ টার সময় । কোন কোন দিনে বাড়ি যেতে দুপুর হয়ে যায়।
যে দিন চাল নিতে আসা হয় সে দিন আর কোন কাজে যেতে পারি না। তার আরো অভিযোগ করে বলেন, অনেক সময় ডিলার চাল ও আটা কম দেয় ( তিন কেজি করে)।
এ বিষয়ে ডিলার জলিল মীর জানান, খাদ্য অধিদপ্তর যত জন ব্যক্তিকে চাল আটা দিতে বলে, বেশির ভাগ সময় তার চেয়ে বেশি চলে আসে। তাই বাধ্য হয়ে কম করে দিয়ে সবাইকে দিয়ে থাকি।
সব সময় গরীবের ভোগান্তির অন্ত নাই। তার প্রমান এই চাল আটা নিতে আসা অসহায় হতদরিদ্রদের দীর্ঘ লাইন ও দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তী।