ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রেমের টানে সিলেটে ছুটে এলেন জার্মান তরুণী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট  ব্যুরো অফিস

‘মন আছে বলে ভালোবাসার খুব প্রয়োজন, স্বপ্ন আছে বলে ভালোবাসার এত আয়োজন।’ মানুষ ভালোবাসার পাগল, একটুখানি ভালোবাসার জন্য অনেক কিছু করতে পারে। যেমনটি করে দেখিয়েছেন জার্মান তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষিকা মারিয়া।

পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে সুদূর জার্মানি থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে ছুটে এসেছেন তিনি। মারিয়ার সঙ্গে পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আব্রাহাম হাসান নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দিতে ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন মারিয়া।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজকীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুসলিম রীতি অনুসারে আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

জার্মান থেকে এসে সরাসরি প্রেমিক সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে আব্রাহাম হাসান নাঈমের বাড়িতে ওঠেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার। প্রথমদিকে আব্রাহামকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন মারিয়া। তাতে রাজি হননি আব্রাহাম। একপর্যায়ে গত ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুসলিম রীতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাজকীয় এ বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরো গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করা হয়। অন্তত ১০ হাজারের বেশি লোকজনকে আপ্যায়ন করানো হয়।

বিয়ের এ অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক আলোচনা পুরো বিশ্বনাথজুড়ে। আর জার্মানি তরুণীকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন লোকজন।

নাঈমের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন বলেন, মারিয়া জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি পিএইচডিও করছেন। আর নাইমও পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।

এদিকে, নিজের দাম্পত্য জীবনের জন্য সবার শুভকামনা চেয়েছেন নাঈম-মারিয়া দম্পতি।

নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মারিয়া বলেন, প্রথমবার বাংলাদেশে এসে আমি খুব আপ্লুত। যদিও জার্মানের সঙ্গে এদেশের অনেক তফাৎ। তারপরও আমি এখানে এসে খুব খুশি। দারুণ অনুভূতি, সবাই আমার দেখভাল করছে। এখানের পরিবেশও অসাধারণ, এটা আমার পছন্দ হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেমের টানে সিলেটে ছুটে এলেন জার্মান তরুণী

আপডেট সময় : ০২:১৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

সিলেট  ব্যুরো অফিস

‘মন আছে বলে ভালোবাসার খুব প্রয়োজন, স্বপ্ন আছে বলে ভালোবাসার এত আয়োজন।’ মানুষ ভালোবাসার পাগল, একটুখানি ভালোবাসার জন্য অনেক কিছু করতে পারে। যেমনটি করে দেখিয়েছেন জার্মান তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষিকা মারিয়া।

পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে সুদূর জার্মানি থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে ছুটে এসেছেন তিনি। মারিয়ার সঙ্গে পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আব্রাহাম হাসান নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দিতে ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন মারিয়া।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজকীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুসলিম রীতি অনুসারে আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

জার্মান থেকে এসে সরাসরি প্রেমিক সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে আব্রাহাম হাসান নাঈমের বাড়িতে ওঠেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার। প্রথমদিকে আব্রাহামকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন মারিয়া। তাতে রাজি হননি আব্রাহাম। একপর্যায়ে গত ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুসলিম রীতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাজকীয় এ বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরো গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করা হয়। অন্তত ১০ হাজারের বেশি লোকজনকে আপ্যায়ন করানো হয়।

বিয়ের এ অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক আলোচনা পুরো বিশ্বনাথজুড়ে। আর জার্মানি তরুণীকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন লোকজন।

নাঈমের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন বলেন, মারিয়া জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি পিএইচডিও করছেন। আর নাইমও পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।

এদিকে, নিজের দাম্পত্য জীবনের জন্য সবার শুভকামনা চেয়েছেন নাঈম-মারিয়া দম্পতি।

নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মারিয়া বলেন, প্রথমবার বাংলাদেশে এসে আমি খুব আপ্লুত। যদিও জার্মানের সঙ্গে এদেশের অনেক তফাৎ। তারপরও আমি এখানে এসে খুব খুশি। দারুণ অনুভূতি, সবাই আমার দেখভাল করছে। এখানের পরিবেশও অসাধারণ, এটা আমার পছন্দ হয়েছে।