ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পুলিশ সদস্য স্বামীদের সাহস-অনুপ্রেরণা দেন স্ত্রীরা : শিক্ষামন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কর্মক্ষেত্রে সহধর্মিণীরা তাদের পুলিশ সদস্য স্বামীদের শক্তি-সাহস ও অনুপ্রেরণা দেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে পুনাকের বার্ষিক সমাবেশ ও আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের সহধর্মিণীরা শুধু তাদের স্বামীদের সহযোগিতা ও সাহস দেন না। বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) মাধ্যমে তারা নানাবিধ কাজও করেন। সমাজের নানা ধরনের কাজে অংশ নেন। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করছে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন তাদের সহধর্মিণীরা। পুনাক সদস্যরা সেই অনুপ্রেরণার কাজটি করছেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে তার ঘর। সেখানে শান্তি, অনুপ্রেরণা থাকলে মানুষ বাইরে তার কাজের জায়গায় সাফল্য লাভ করে। কাজেই ওই সাফল্যের স্ত্রীরা বড় অংশীদার।

বাংলাদেশ আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে পুলিশ সদস্যদেরও অবদান রয়েছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ সব জায়গায় এগিয়ে যাচ্ছে। সেই অগ্রযাত্রায় শান্তি-শৃঙ্খলায় কাজ করছে পুনাক সদস্যদের পরিবারের মানুষ। সারাদেশে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে যাচ্ছে। আর সে কাজটি করতে পারছেন মূলত পুলিশ সদস্যরা। মানুষের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার জায়গা সেটি তার ঘর। ঘরে শান্তি ও অনুপ্রেরণা থাকলেই বাইরের কাজে সাফল্য আসে।

দীপু মনি বলেন, অনেক নারীকে ‘কি করেন’ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি কিছুই করি না। তার মানে তিনি সবচেয়ে বড়, জরুরি ও সবচেয়ে কঠিন কাজ সারা দিন করেন। সেটা হচ্ছে ঘর, সংসার সামলানো। আজ নারীদের জয় সর্বত্র। নারীরা আজ সব জায়গায় কাজ করছেন। নারীরা এগিয়ে গেছে। একটি সমাজ বা রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে হলে নারীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, কোনো একটি সমাজ, রাষ্ট্রকে এগিয়ে যেতে হলে সেখানে নারী পুরুষের সমান অংশীদার লাগে। সমান অংশগ্রহণ লাগে। অর্ধেক মানুষকে পেছনে ফেলে একটা সমাজ কখনো তার যে সম্ভাবনা আছে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে পারে না।

পুনাকের নানা কার্যক্রমের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুনাক নানা ধরনের সামাজিক কাজ করছে। জনসচেতনতার জন্য কাজ করছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। এতে অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী মিসেস লুৎফুল তাহমিনা খান, পুনাকের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আমিন, পুনাকের সহ-সভাপতি মুনমুন আহসান, শারমিন আক্তার খান, মাহমুদা দিদার, দিলরুবা খুরশীদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশ সদস্য স্বামীদের সাহস-অনুপ্রেরণা দেন স্ত্রীরা : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কর্মক্ষেত্রে সহধর্মিণীরা তাদের পুলিশ সদস্য স্বামীদের শক্তি-সাহস ও অনুপ্রেরণা দেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে পুনাকের বার্ষিক সমাবেশ ও আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের সহধর্মিণীরা শুধু তাদের স্বামীদের সহযোগিতা ও সাহস দেন না। বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) মাধ্যমে তারা নানাবিধ কাজও করেন। সমাজের নানা ধরনের কাজে অংশ নেন। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করছে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন তাদের সহধর্মিণীরা। পুনাক সদস্যরা সেই অনুপ্রেরণার কাজটি করছেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে তার ঘর। সেখানে শান্তি, অনুপ্রেরণা থাকলে মানুষ বাইরে তার কাজের জায়গায় সাফল্য লাভ করে। কাজেই ওই সাফল্যের স্ত্রীরা বড় অংশীদার।

বাংলাদেশ আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে পুলিশ সদস্যদেরও অবদান রয়েছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ সব জায়গায় এগিয়ে যাচ্ছে। সেই অগ্রযাত্রায় শান্তি-শৃঙ্খলায় কাজ করছে পুনাক সদস্যদের পরিবারের মানুষ। সারাদেশে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে যাচ্ছে। আর সে কাজটি করতে পারছেন মূলত পুলিশ সদস্যরা। মানুষের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার জায়গা সেটি তার ঘর। ঘরে শান্তি ও অনুপ্রেরণা থাকলেই বাইরের কাজে সাফল্য আসে।

দীপু মনি বলেন, অনেক নারীকে ‘কি করেন’ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি কিছুই করি না। তার মানে তিনি সবচেয়ে বড়, জরুরি ও সবচেয়ে কঠিন কাজ সারা দিন করেন। সেটা হচ্ছে ঘর, সংসার সামলানো। আজ নারীদের জয় সর্বত্র। নারীরা আজ সব জায়গায় কাজ করছেন। নারীরা এগিয়ে গেছে। একটি সমাজ বা রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে হলে নারীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, কোনো একটি সমাজ, রাষ্ট্রকে এগিয়ে যেতে হলে সেখানে নারী পুরুষের সমান অংশীদার লাগে। সমান অংশগ্রহণ লাগে। অর্ধেক মানুষকে পেছনে ফেলে একটা সমাজ কখনো তার যে সম্ভাবনা আছে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে পারে না।

পুনাকের নানা কার্যক্রমের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুনাক নানা ধরনের সামাজিক কাজ করছে। জনসচেতনতার জন্য কাজ করছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। এতে অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী মিসেস লুৎফুল তাহমিনা খান, পুনাকের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আমিন, পুনাকের সহ-সভাপতি মুনমুন আহসান, শারমিন আক্তার খান, মাহমুদা দিদার, দিলরুবা খুরশীদ প্রমুখ।