নিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহে রবি  ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিন কাশিনাথপুর বাজারে হাইওয়ে রাস্তার পাশে বসে পেঁয়াজের হাট। এখানে যানজট খুব পরিচিত এক শব্দ। বর্তমানে কাঁশিনাথপুর বাজারে পেঁয়াজের হাটের কারণে সৃষ্ট যানজটের কারণে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ- দুর্গতি বেড়েছে। যত্রতত্র যানবাহন স্ট্যান্ড করানোও যানজটের আরেক কারণ বলে এলাকাবাসী জানায়।

জানা গেছে, মহাসড়কের পাশে পেঁয়াজের হাট বসায় সৃষ্ট যানজটের কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয় । এ স্থানে ইমারজেন্সি মুহূর্তে কোন গাড়ি পারাপার হতে পারে না। তাছাড়াও, ফুটপাত দখল করে বসে আছে রাস্তার চারপাশের দোকানিরা । মহাসড়কে অতিরিক্ত থ্রি-হুইলার নিজের ইচ্ছামত চলাচলের কারণে কাশিনাথপুর বাজারে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে যানজট। যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারন মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের । ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আর রাস্তার ধারণক্ষমতার চেয়ে যানবাহন চলাচলের মাত্রাও কয়েকগুণ বেশি। যান চলাচলে শৃঙ্খলার অভাব, নিয়মকানুন সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং অসচেতনতার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে নগরবাসীর মূল্যবান সময়ের অপচয় হয়।

যানযট নিয়ে পাবনা এক্সপেস এর গাড়ি চালক শামসুল জানান, সপ্তাহে দুই দিন বৃহস্পতিবার রবিবার রাস্তার উপরে পেয়াজ হাট বসায় গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়। এতে করে আমরা সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনা। এ যানজটে আমাদের সময় ক্ষেপণ হয়। তিনি বলেন দ্রুত রাস্তা থেকে যেন পেঁয়াজ হাট সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে, কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের শিক্ষার্থী পরশ বলেন, রাস্তার উপর হাট বসার কারণে আমরা সময়মত স্কুলে যেতে পারিনা। এছারাও জ্যামে গাড়ি আটকে থাকলে সহজে জ্যাম না ছারায় এ বাজার থেকে ফুলবাগানে আমাদের হেঁটে যেতে হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হলে যানজট অনেকখানি নিরসন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা করেন।

বিজ্ঞমহলের মতে, জ্যাম থেকে মুক্তির জন্য জনগণ ও প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে ফুটপাত ও রাস্তা থেকে হকারি বা দোকানির সরিয়ে ফেলতে হবে।