ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাপুয়া নিউ গিনিতে দাঙ্গা, নিহত ১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৮২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বেতন নিয়ে পুলিশ ধর্মঘটের সুযোগে পাপুয়া নিউ গিনির দুটি শহরে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার থেকে এ দাঙ্গা শুরু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউ গিনির পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং বলেন, রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে দাঙ্গায় আটজন নিহত হয়েছেন। এদিকে লে শহরে মারা গেছেন আরও সাতজন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার বেতন নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা ধর্মঘটে যাওয়ার পর শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এসময় দোকান ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, লুটপাটের শিকার হয় সুপারমার্কেটগুলো। পরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সরকার।

পোর্ট মোরেসবির গভর্নর পাওয়েস পার্কপ এক রেডিও বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, কিছু ‘সুবিধাবাদী’ লোক লুটপাট চালিয়েছে। তিবি বলেন, আমাদের শহর ও দেশের ইতিহাসে আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এ সংঘর্ষ অভুতপূর্ব।

পাপুয়া নিউ গিনির সংসদের বাইরে বুধবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পুলিশ ও অন্যান্য সরকারী কর্মচারীরা। বেতন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোয় তারা এদিন ধর্মঘট পালন করে। এরপরই সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে জানিয়েছেন, কম্পিউটারে ত্রুটির কারণে সরকারী কর্মচারীদের বেতনের চেক থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত কাটা পড়ে। বিক্ষোভকারীরা যেমনটা দাবি করছেন সে অনুযায়ী করও বাড়াচ্ছে না সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর পর অনেক লোক সেই সুযোগ নিয়েছিল।

টিভি ফুটেজে শহর জুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও লুটপাটের দৃশ্য দেখা গেছে। মার্কিন দূতাবাসের কাছেও গুলির ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পাপুয়া নিউ গিনির প্রতিবেশী ও প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার অস্ট্রেলিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাপুয়া নিউ গিনিতে দাঙ্গা, নিহত ১৫

আপডেট সময় : ০১:০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

বেতন নিয়ে পুলিশ ধর্মঘটের সুযোগে পাপুয়া নিউ গিনির দুটি শহরে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার থেকে এ দাঙ্গা শুরু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউ গিনির পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং বলেন, রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে দাঙ্গায় আটজন নিহত হয়েছেন। এদিকে লে শহরে মারা গেছেন আরও সাতজন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার বেতন নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা ধর্মঘটে যাওয়ার পর শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এসময় দোকান ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, লুটপাটের শিকার হয় সুপারমার্কেটগুলো। পরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সরকার।

পোর্ট মোরেসবির গভর্নর পাওয়েস পার্কপ এক রেডিও বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, কিছু ‘সুবিধাবাদী’ লোক লুটপাট চালিয়েছে। তিবি বলেন, আমাদের শহর ও দেশের ইতিহাসে আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এ সংঘর্ষ অভুতপূর্ব।

পাপুয়া নিউ গিনির সংসদের বাইরে বুধবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পুলিশ ও অন্যান্য সরকারী কর্মচারীরা। বেতন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোয় তারা এদিন ধর্মঘট পালন করে। এরপরই সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে জানিয়েছেন, কম্পিউটারে ত্রুটির কারণে সরকারী কর্মচারীদের বেতনের চেক থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত কাটা পড়ে। বিক্ষোভকারীরা যেমনটা দাবি করছেন সে অনুযায়ী করও বাড়াচ্ছে না সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর পর অনেক লোক সেই সুযোগ নিয়েছিল।

টিভি ফুটেজে শহর জুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও লুটপাটের দৃশ্য দেখা গেছে। মার্কিন দূতাবাসের কাছেও গুলির ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পাপুয়া নিউ গিনির প্রতিবেশী ও প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার অস্ট্রেলিয়া।