ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকুন্দিয়ায় বসতঘরে আগুন : থানায় অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি //
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে নকিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বসত ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের বুরুদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে আধা পাঁকা বসতঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের।

এ ঘটনার ১০ দিন পর আজ রবিবার (১৪ মে) সকালে ক্ষতিগ্রস্থ নকিবুর রহমান বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নকিবুর রহমান ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।

বিবাদীরা হলেন, একই এলাকার মৃত আতাউর রহমান মুর্শিদের ছেলে শফিকুর রহমান মুকুল ও মৃত মালু মিয়ার ছেলে রতন মিয়া।

নকিবুর রহমান জানান, শফিকুর রহমান মুকুল তার আপন চাচা। রতন মিয়া প্রতিবেশী। নকিবুর রহমান ঢাকায় চাকরি করেন। তাই বসত ঘরে তালা দিয়ে তিনি তার বাবা-মাকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। এই সুযোগে চাচা মুকুল তাদের বাড়ির বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা ও পুকুরের মাছ বিক্রি করে এবং জমি-জমা বন্ধক দিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে প্রায় তিন মাস আগে চাচার সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। এ সময় মুকুল ক্ষীপ্ত হয়ে তার বাবা মিজানুর রহমানকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলা হলে মুকুল মিয়া আরও বেশি ক্ষীপ্ত হন। এর জেরে গত ৪ মে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চাচা মুকুল মিয়া রতন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে আগুন নেভায়।

নকিবুর রহমান বলেন, মুঠোফোনে খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে বাড়ি এসে দেখি আমাদের বসত ঘরের খাট, আলমিরা, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ওয়্যারড্রোব, ড্রেসিং টেবিল, স্বর্ণালঙ্কার, নগদটাকা ও জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসাবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে বিচার চাওয়া হয়। এলাকায় বিচার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ দিতে দেরী হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শফিকুর রহমান মুকুলের মুঠোফোনে একাধিক কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকুন্দিয়ায় বসতঘরে আগুন : থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি //
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে নকিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বসত ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের বুরুদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে আধা পাঁকা বসতঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের।

এ ঘটনার ১০ দিন পর আজ রবিবার (১৪ মে) সকালে ক্ষতিগ্রস্থ নকিবুর রহমান বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নকিবুর রহমান ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।

বিবাদীরা হলেন, একই এলাকার মৃত আতাউর রহমান মুর্শিদের ছেলে শফিকুর রহমান মুকুল ও মৃত মালু মিয়ার ছেলে রতন মিয়া।

নকিবুর রহমান জানান, শফিকুর রহমান মুকুল তার আপন চাচা। রতন মিয়া প্রতিবেশী। নকিবুর রহমান ঢাকায় চাকরি করেন। তাই বসত ঘরে তালা দিয়ে তিনি তার বাবা-মাকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। এই সুযোগে চাচা মুকুল তাদের বাড়ির বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা ও পুকুরের মাছ বিক্রি করে এবং জমি-জমা বন্ধক দিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে প্রায় তিন মাস আগে চাচার সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। এ সময় মুকুল ক্ষীপ্ত হয়ে তার বাবা মিজানুর রহমানকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলা হলে মুকুল মিয়া আরও বেশি ক্ষীপ্ত হন। এর জেরে গত ৪ মে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চাচা মুকুল মিয়া রতন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে আগুন নেভায়।

নকিবুর রহমান বলেন, মুঠোফোনে খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে বাড়ি এসে দেখি আমাদের বসত ঘরের খাট, আলমিরা, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ওয়্যারড্রোব, ড্রেসিং টেবিল, স্বর্ণালঙ্কার, নগদটাকা ও জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসাবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে বিচার চাওয়া হয়। এলাকায় বিচার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ দিতে দেরী হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শফিকুর রহমান মুকুলের মুঠোফোনে একাধিক কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

বা/খ: এসআর।