ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকুন্দিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি //

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভা, কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। রবিবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. মেজবাহ উদ্দিন ও মো. মজিবুর রহমান, চন্ডিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুদ্দিন, পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস মো. রায়হান উদ্দিন আকন্দ ও সহকারী শিক্ষক খালেকুল ইসলাম ইদুল প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক তাদেরই দেওয়া হয়, যারা সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালী জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তি বাঙালী জাতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সভায় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকুন্দিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি //

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভা, কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। রবিবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. মেজবাহ উদ্দিন ও মো. মজিবুর রহমান, চন্ডিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুদ্দিন, পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস মো. রায়হান উদ্দিন আকন্দ ও সহকারী শিক্ষক খালেকুল ইসলাম ইদুল প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক তাদেরই দেওয়া হয়, যারা সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালী জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তি বাঙালী জাতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সভায় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।