ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাইকগাছায় প্রভাষক ও তার ৪র্থ স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল: বহিঃষ্কারের দাবী এলাকাবাসির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি //
খুলনার পাইকগাছা সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক ও তার ৪র্থ স্ত্রীর পাল্টা-পাল্টি মামলা এবং নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে ভাইরাল হওয়ায় ঘটনাটি এখন টক অব দি টাউনে পরিনত হয়েছে। পাইকগাছা সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু একটি নয় দুটি নয় চার চারটি বিবাহ করেছেন। ইতিপূর্বে তার ২য় স্ত্রী এনজিও কর্মী নাজমা কে বিয়ে করার কারণে ১ম স্ত্রী রেবা আক্তার কুসুম তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। কিছুদিন পর ২য় স্ত্রী এনজিও কর্মী নাজমা কে তাড়িয়ে দিয়ে কুসুম কে বুঝিয়ে পুনরায় বাড়িতে তোলেন। বিতাড়িত ২য় স্ত্রী এনজিও কর্মী নাজমা তখন কোন উপায়ন্ত না পেয়ে মন্টু’র বিরুদ্ধে মামলা করেন। এভাবেই চলতে থাকে কিছু দিন। এর ফাঁকে তিনি তার কলেজ ছাত্রীদের পটিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ভোগের চেষ্টা করেন। যা নিয়ে কলেজ ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি হয়। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে নেন প্রভাষক মন্টু।
তবে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রন হলেও তিনি তার স্বভাব কে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেননি। এরপর তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে একই কলেজের সহকর্মী সুলতানা রহমান পান্নার প্রেমে হাবু ডুবু খেতে থাকেন। বিষয়টি জানা জানি হলে মন্টুর সংসারে জ্বলে ওঠে দাবানল। এক পর্যায়ে মন্টু বিয়ে করে পান্না কে নিয়ে বাড়ি তুললে ১ম স্ত্রী কুসুম মন্টু’র সাথে তুমুল ঝগড়া করে চলে যান পিতৃালয়ে। পরবর্তীতে আপোষ রফা করে মন্টু তার ১ম স্ত্রী কুসুম ও ৩য় স্ত্রী পান্না কে নিয়ে বসবাস করতে থাকে নিজ বাড়ীতে। এভাবে চলতে চলতে ফাঁদে ফেলে তিনি বাগেরহাটের আকলিমা আক্তার আখিকে প্রেমের ফাঁদে আটকিয়ে ফেলেন। স্বামী ত্যাক্তা আখিও ভবিষ্যৎ সুখ স্বপ্নে বিভোর হয়ে গভীর প্রেমে মত্ত হন মন্টু’র প্রেমে। এক পর্যায়ে কলেমা পড়ে বিবাহ বন্ধনে ফ্রেমে আবদ্ধ হন এই প্রেমিক জুটি। ওই সময় সুকৌশলে আখির কাছ থেকে মন্টু হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। অভিযোগ রয়েছে মন্টু নাজমা,পান্না ও আখির কাছ থেকে বহু অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নির্মান করেছেন ৩ তলা বিলাশ বহুল বাড়ী ও কিনেছন মোটর গাড়ি। তিন স্ত্রী থাকার পরেও মন্টু ১০লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ করেন আখিকে। বিয়ের পর ৪র্থ স্ত্রী আখি কে নিয়ে হানিমুন করেছেন কক্সবাজার ও কুয়াকাটা।
৪র্থ স্ত্রী আখি জানান, ওই সময় মন্টু তার দেহ ভোগে ক্ষান্ত হননি; তুলেছেন তাদের নগ্ন ছবি এবং ধারন করেছেন নগ্ন ভিডিও চিত্র। অতঃপর মন্টুর বিলাশ বহুল বাড়ির নির্মান কাজ সমাপ্ত করার জন্য যৌতুক দাবি করেন আখির কাছে। আখি যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় মন্টু আখির নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে তালাক দেয় তাকে। তালাক দিয়ে মন্টু মামলা করে আখির বিরুদ্ধে। তখন আখি ও মামলা করে মন্টুর বিরুদ্ধে। এ অবস্হায় গত সপ্তাহ খানেক এ ঘটনা,নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হওয়ায় এলাকার লোকজন ছিঃ ছিঃ করছে মন্টু কে। অনেকেই শিক্ষক নামের কলংঙ্ক মন্টুর চাকুরি চ্যুত করার দাবি তুলেছেন। কলেজের কিছু ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবক মন্টুর বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতি ও নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মন্টুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সবকিছু সত্যি নয়, আর আদালতে মামলা চলছে সেখানেই প্রমান হবে।
এদিকে অভিযোগকারী আখির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, স্ত্রীর মর্যদা ও স্বামীর অধিকারের দাবিতে মন্টুর বাড়ীতে অনশন ও অবস্থান ধর্মঘাট করবেন।
এ বিষয়ে পাইকগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরন মন্ডল জানান,বিষয়টি আমি লোক পরস্পর জেনেছি তবে এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করেন নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, বিষয়টি আমি জানা মাত্রই কলেজের অধ্যক্ষকে গভর্ণিং বডির মিটিং ডেকে অভিযুক্তকে শো’কজ করতে বলি। অভিযুক্তকে শো’কজ করা হয়েছে এবং সে জবাব ও দিয়েছে আর জবাবটি পর্যালোচনা করে রেজুলেশন করে মাউশি কে পাঠানোর জন্য কলেজের অধ্যক্ষ কে বলেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাইকগাছায় প্রভাষক ও তার ৪র্থ স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল: বহিঃষ্কারের দাবী এলাকাবাসির

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
// পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি //
খুলনার পাইকগাছা সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক ও তার ৪র্থ স্ত্রীর পাল্টা-পাল্টি মামলা এবং নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে ভাইরাল হওয়ায় ঘটনাটি এখন টক অব দি টাউনে পরিনত হয়েছে। পাইকগাছা সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু একটি নয় দুটি নয় চার চারটি বিবাহ করেছেন। ইতিপূর্বে তার ২য় স্ত্রী এনজিও কর্মী নাজমা কে বিয়ে করার কারণে ১ম স্ত্রী রেবা আক্তার কুসুম তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। কিছুদিন পর ২য় স্ত্রী এনজিও কর্মী নাজমা কে তাড়িয়ে দিয়ে কুসুম কে বুঝিয়ে পুনরায় বাড়িতে তোলেন। বিতাড়িত ২য় স্ত্রী এনজিও কর্মী নাজমা তখন কোন উপায়ন্ত না পেয়ে মন্টু’র বিরুদ্ধে মামলা করেন। এভাবেই চলতে থাকে কিছু দিন। এর ফাঁকে তিনি তার কলেজ ছাত্রীদের পটিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ভোগের চেষ্টা করেন। যা নিয়ে কলেজ ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি হয়। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে নেন প্রভাষক মন্টু।
তবে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রন হলেও তিনি তার স্বভাব কে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেননি। এরপর তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে একই কলেজের সহকর্মী সুলতানা রহমান পান্নার প্রেমে হাবু ডুবু খেতে থাকেন। বিষয়টি জানা জানি হলে মন্টুর সংসারে জ্বলে ওঠে দাবানল। এক পর্যায়ে মন্টু বিয়ে করে পান্না কে নিয়ে বাড়ি তুললে ১ম স্ত্রী কুসুম মন্টু’র সাথে তুমুল ঝগড়া করে চলে যান পিতৃালয়ে। পরবর্তীতে আপোষ রফা করে মন্টু তার ১ম স্ত্রী কুসুম ও ৩য় স্ত্রী পান্না কে নিয়ে বসবাস করতে থাকে নিজ বাড়ীতে। এভাবে চলতে চলতে ফাঁদে ফেলে তিনি বাগেরহাটের আকলিমা আক্তার আখিকে প্রেমের ফাঁদে আটকিয়ে ফেলেন। স্বামী ত্যাক্তা আখিও ভবিষ্যৎ সুখ স্বপ্নে বিভোর হয়ে গভীর প্রেমে মত্ত হন মন্টু’র প্রেমে। এক পর্যায়ে কলেমা পড়ে বিবাহ বন্ধনে ফ্রেমে আবদ্ধ হন এই প্রেমিক জুটি। ওই সময় সুকৌশলে আখির কাছ থেকে মন্টু হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। অভিযোগ রয়েছে মন্টু নাজমা,পান্না ও আখির কাছ থেকে বহু অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নির্মান করেছেন ৩ তলা বিলাশ বহুল বাড়ী ও কিনেছন মোটর গাড়ি। তিন স্ত্রী থাকার পরেও মন্টু ১০লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ করেন আখিকে। বিয়ের পর ৪র্থ স্ত্রী আখি কে নিয়ে হানিমুন করেছেন কক্সবাজার ও কুয়াকাটা।
৪র্থ স্ত্রী আখি জানান, ওই সময় মন্টু তার দেহ ভোগে ক্ষান্ত হননি; তুলেছেন তাদের নগ্ন ছবি এবং ধারন করেছেন নগ্ন ভিডিও চিত্র। অতঃপর মন্টুর বিলাশ বহুল বাড়ির নির্মান কাজ সমাপ্ত করার জন্য যৌতুক দাবি করেন আখির কাছে। আখি যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় মন্টু আখির নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে তালাক দেয় তাকে। তালাক দিয়ে মন্টু মামলা করে আখির বিরুদ্ধে। তখন আখি ও মামলা করে মন্টুর বিরুদ্ধে। এ অবস্হায় গত সপ্তাহ খানেক এ ঘটনা,নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হওয়ায় এলাকার লোকজন ছিঃ ছিঃ করছে মন্টু কে। অনেকেই শিক্ষক নামের কলংঙ্ক মন্টুর চাকুরি চ্যুত করার দাবি তুলেছেন। কলেজের কিছু ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবক মন্টুর বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতি ও নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মন্টুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সবকিছু সত্যি নয়, আর আদালতে মামলা চলছে সেখানেই প্রমান হবে।
এদিকে অভিযোগকারী আখির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, স্ত্রীর মর্যদা ও স্বামীর অধিকারের দাবিতে মন্টুর বাড়ীতে অনশন ও অবস্থান ধর্মঘাট করবেন।
এ বিষয়ে পাইকগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরন মন্ডল জানান,বিষয়টি আমি লোক পরস্পর জেনেছি তবে এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করেন নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, বিষয়টি আমি জানা মাত্রই কলেজের অধ্যক্ষকে গভর্ণিং বডির মিটিং ডেকে অভিযুক্তকে শো’কজ করতে বলি। অভিযুক্তকে শো’কজ করা হয়েছে এবং সে জবাব ও দিয়েছে আর জবাবটি পর্যালোচনা করে রেজুলেশন করে মাউশি কে পাঠানোর জন্য কলেজের অধ্যক্ষ কে বলেছি।