পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ও প্রাঞ্জল রাঙ্গামাটি
- আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
টানা তিন দিনের ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের লীলাভূমি পাহাড়ী কন্যা পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ও প্রাঞ্জলিত হয়ে উঠেছে । রাঙ্গামাটি হ্রদ পাহাড়ের মিতালী দেখে আগত পর্যটকরা খুবই খুশী। জেলায় বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় সরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন স্পট। রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দেশী বিদেশী পর্যটকের ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা রাঙ্গামাটির নৈসর্গিক পাহাড়ের নির্মল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর ফেলছেন।
এলাকাবাসী জানায়, রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিনোদনের জন্য রয়েছে পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজ, সুখী নীলগঞ্জ ও পলওয়েল পার্ক , ডিসি বাংলো, নানিয়ার উপজেলার বুড়িঘাটের বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের স্মৃতিসৌধ, শহরের ভেদভেদির মিনি চিড়িয়াখানা, রাজবন বিহার, কাপ্তাই লেক, সুভলং ঝর্ণা, পেদাটিংটিং, টুকটুক ইকো ভিলেজ, বার্গী লেক, ডিভাইন রিসোর্ট, বেড়াইন্ন্যাসহ কাপ্তাই লেকের পাড়ে গড়ে উঠা বিভিন্ন পর্যটন স্পট। রাঙ্গামাটির বিভিন্ন হোটেলে পর্যটকের আগমন আগের তুলনায় বেড়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অনেক চমৎকার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হওয়ায় অনেক কম টাকা খরচে রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণ করছেন অনেকেই। বর্তমানে টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকে পরিপূর্ণ এখন রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটি শহর ছাড়াও জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতেও বর্তমানে কানায় কানায় পর্যটকে পরিপূর্র্ণ। টানা তিন দিনের বন্ধে ইতোমধ্যে মেঘের রাজ্য সাজেকের ছোট-বড় সব কটেজ শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে পরিকল্পিতভাবে সরকারীভাবে আরো নতুন নতুন পর্যটন স্পট গড়ে তোলাসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া গেলে পর্যটন খাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেই অনেক রাজস্ব অর্জনের পাশাপাশি পার্বত্য জেলা দেশের পর্যটনের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে বলে পর্যটকেরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।