ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ

রাজশাহী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা ৩ মেয়াদে এমপি থাকাকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। লাখ টাকার গাড়ি থেকে হয়েছে কোটি টাকার গাড়ি। ঢাকা- রাজশাহীতে ৩টি বাড়িসহ মোট সম্পদ প্রায় ৯০ কোটি টাকার। এছাড়া স্ত্রী ও সন্তানদের নামে আছে সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পদ। এ সব তথ্য উঠে এসেছে নির্বাচনি হলফনামা থেকে। সম্পদ বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ বিশ্লেষকদের।

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে লড়ছেন তিনি।

২০০৮ সালে শাহরিয়ার আলমের ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা নগদ অর্থসহ মোট সম্পদ ছিল ৩ কোটি টাকার। এছাড়া ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এছাড়া স্ত্রীর নামে ছিল ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ।

এবারের হলফনামায় শাহরিয়ার আলমের নগদ অর্থ ২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ আছে ৬৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার। এছাড়া ঢাকার গুলশানে ২টি ও রাজশাহীতে একটি বাড়ির মোট মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ১ কোটি টাকা দামের গাড়িসহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি।

হলফনামায় শাহরিয়ার আলমের স্ত্রীর ১৭৫ ভরি স্বর্ণসহ ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং দুই সন্তানের নামে ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে।

রাজনীতিবিদেরা বলছেন, কোনো প্রার্থীর সম্পদ বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক হলে তা খতিয়ে দেখা উচিত। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. চিন্ময় কান্তি বলেন, ‘হলফনামায় তথ্য দেওয়া মানেই এটা নয় যে, সেটা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না। বিভিন্ন সংস্থা আছে, তারা যদি দেখে যে আয়গুলো বৈধ না, তাহলে তারা সেভাবে ব্যবস্থা নেবে। তথ্য দিয়েছেন, ডেফিনেটলি আমরা মনে করি তাদের সেই ধরনের কাগজপত্র রয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা বলছেন, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর কারও সম্পদ হঠাৎ করে বাড়লে, সে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আমলে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারত্বের আহ্বান তাদের।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একরাম উল্যাহ বলেন, ‘একজনের সারা জীবনের আয় ২০ লাখ টাকা। কিন্তু একবার বা দুইবার ক্ষমতায় থাকার পর দেখা গেল তার আয় ১০ কোটি টাকা। নিঃসন্দেহে আমরা ভাবতে পারি, তার টাকার মধ্যে অবৈধ কোনো সূত্র আছে। সেই অবৈধ সূত্রকে রাষ্ট্রের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে বন্ধ করা উচিত।’

শাহরিয়ার আলম রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ

আপডেট সময় : ১২:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

টানা ৩ মেয়াদে এমপি থাকাকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। লাখ টাকার গাড়ি থেকে হয়েছে কোটি টাকার গাড়ি। ঢাকা- রাজশাহীতে ৩টি বাড়িসহ মোট সম্পদ প্রায় ৯০ কোটি টাকার। এছাড়া স্ত্রী ও সন্তানদের নামে আছে সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পদ। এ সব তথ্য উঠে এসেছে নির্বাচনি হলফনামা থেকে। সম্পদ বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ বিশ্লেষকদের।

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে লড়ছেন তিনি।

২০০৮ সালে শাহরিয়ার আলমের ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা নগদ অর্থসহ মোট সম্পদ ছিল ৩ কোটি টাকার। এছাড়া ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এছাড়া স্ত্রীর নামে ছিল ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ।

এবারের হলফনামায় শাহরিয়ার আলমের নগদ অর্থ ২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ আছে ৬৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার। এছাড়া ঢাকার গুলশানে ২টি ও রাজশাহীতে একটি বাড়ির মোট মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ১ কোটি টাকা দামের গাড়িসহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি।

হলফনামায় শাহরিয়ার আলমের স্ত্রীর ১৭৫ ভরি স্বর্ণসহ ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং দুই সন্তানের নামে ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে।

রাজনীতিবিদেরা বলছেন, কোনো প্রার্থীর সম্পদ বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক হলে তা খতিয়ে দেখা উচিত। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. চিন্ময় কান্তি বলেন, ‘হলফনামায় তথ্য দেওয়া মানেই এটা নয় যে, সেটা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না। বিভিন্ন সংস্থা আছে, তারা যদি দেখে যে আয়গুলো বৈধ না, তাহলে তারা সেভাবে ব্যবস্থা নেবে। তথ্য দিয়েছেন, ডেফিনেটলি আমরা মনে করি তাদের সেই ধরনের কাগজপত্র রয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা বলছেন, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর কারও সম্পদ হঠাৎ করে বাড়লে, সে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আমলে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারত্বের আহ্বান তাদের।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একরাম উল্যাহ বলেন, ‘একজনের সারা জীবনের আয় ২০ লাখ টাকা। কিন্তু একবার বা দুইবার ক্ষমতায় থাকার পর দেখা গেল তার আয় ১০ কোটি টাকা। নিঃসন্দেহে আমরা ভাবতে পারি, তার টাকার মধ্যে অবৈধ কোনো সূত্র আছে। সেই অবৈধ সূত্রকে রাষ্ট্রের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে বন্ধ করা উচিত।’

শাহরিয়ার আলম রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।