ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পদ্মা রেল সংযোগের সাথে যুক্ত হলো ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবশেষে পদ্মা রেল সংযোগের সাথে যুক্ত হলো রাজধানী ঢাকা। গেন্ডারিয়া, জুরাইন ও কেরাণীগঞ্জের অবশিষ্ট কিছু জায়গায় রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে আজ বুধবার। এর ফলে ঢাকা-মাওয়া অংশের রেল লাইনের কাজ পুরোপুরি দৃশ্যমান হলো। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেল লাইন এখন প্রন্তুত।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সেপ্টেম্বরে ট্রেন চালানোর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। রেল লাইন প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন ঢালাই ও স্টেশনের কাজ চলছে। এই পথে অক্টোবর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের এমনটাই জানালেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে খুলনা, যশোর রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে চালানোর পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের। প্রয়োজনে এই পথে বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যা।

ট্রেনে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব এখন ৩৮১ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে যে নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার।

১১ ঘন্টার বদলে চার ঘন্টাতেই যাওয়া যাবে খুলনা। কমবে পণ্য পরিবহনের খরচও। এমন নানামুখী সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প।

নতুন ব্রডগেজ রেললাইনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কেরানীগঞ্জ, শ্রীনগর, মাওয়া, পদ্মা সেতু, জাজিরা, ভাঙ্গা, কাশিয়ানী, নড়াইল, জামদিয়া পর্যন্ত যাওয়ার পর এর একটি শাখা যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত, অন্যটি খুলনার সিংগিয়া রেলস্টেশনে যুক্ত হবে।

পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথ চালু হলে বেনাপোল স্থলবন্দরের মালামাল ট্রেনে পরিবহন করা যাবে। ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশের সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কে আনতে চায় সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

পদ্মা রেল সংযোগের সাথে যুক্ত হলো ঢাকা

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

অবশেষে পদ্মা রেল সংযোগের সাথে যুক্ত হলো রাজধানী ঢাকা। গেন্ডারিয়া, জুরাইন ও কেরাণীগঞ্জের অবশিষ্ট কিছু জায়গায় রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে আজ বুধবার। এর ফলে ঢাকা-মাওয়া অংশের রেল লাইনের কাজ পুরোপুরি দৃশ্যমান হলো। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেল লাইন এখন প্রন্তুত।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সেপ্টেম্বরে ট্রেন চালানোর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। রেল লাইন প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন ঢালাই ও স্টেশনের কাজ চলছে। এই পথে অক্টোবর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের এমনটাই জানালেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে খুলনা, যশোর রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে চালানোর পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের। প্রয়োজনে এই পথে বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যা।

ট্রেনে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব এখন ৩৮১ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে যে নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার।

১১ ঘন্টার বদলে চার ঘন্টাতেই যাওয়া যাবে খুলনা। কমবে পণ্য পরিবহনের খরচও। এমন নানামুখী সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প।

নতুন ব্রডগেজ রেললাইনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কেরানীগঞ্জ, শ্রীনগর, মাওয়া, পদ্মা সেতু, জাজিরা, ভাঙ্গা, কাশিয়ানী, নড়াইল, জামদিয়া পর্যন্ত যাওয়ার পর এর একটি শাখা যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত, অন্যটি খুলনার সিংগিয়া রেলস্টেশনে যুক্ত হবে।

পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথ চালু হলে বেনাপোল স্থলবন্দরের মালামাল ট্রেনে পরিবহন করা যাবে। ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশের সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কে আনতে চায় সরকার।