ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পঞ্চগড়ে বন্ধ হওয়া সুগার মিল চালুর সম্ভাবনা

আবু তাহের আনসারী, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড়ের বন্ধ হওয়া সুগার মিল চালুর সম্ভাবনা, শ্রমিকরা ফিরে পাবে কর্মসংস্থান এবং সচল হবে জেলার অর্থনৈতিক অবস্থা। পঞ্চগড়ের এক মাত্র ইতিহাস আর ঐতিহ্যর প্রতিক সরকারী ভারি শিল্প সুগার মিল। ২০২০ সালের দিকে আখ মাড়াইসহ মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে মিল সংশ্লিষ্ঠ হাজারও শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। প্রভাব পড়েছে জেলার অর্থনিতিতে। এছাড়াও অন্য জেলায় আখ সরবরাহের কারনে চাষিরা পড়ে ভোগান্তিতে। ফলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। তবে তিন বছর পর পূণরায় সুগার মিলটি চালুর সম্ভবনার খবরে স্বস্তি ফিরেছে চাষী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পঞ্চগড় জেলায় স্বাধীনতার পুর্বে ও পরের ইতিহাসে আর ঐতিহ্যের প্রতিক হিসেবে দ্বাড়িয়ে আছে পঞ্চগড়ের সুগার মিলটি। এ জেলায় এক মাত্র সরকারি ভারি শিল্প সুগার মিলটি। ১৯৬৬ সালে মিলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০২০ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে এই মিলে আখ মারাই বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জেলায় আখ চাষ হয়েছিলো প্রায় ৫’শ হেক্টর জমিতে আর ২৩-২৪ আর্থ বছরে আখ চাষ হয়েছে প্রায় ৭’শ হেক্টর জমিতে। তবে মিল চালুর জন্য আখ চাষের প্রয়োজন কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমি।

তবে এই কয়েক বছরে মিলের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আখ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত আখ চলে যাচ্ছে পার্শবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে। এক সময় এ জেলায় আখ চাষে চাষীদের ব্যাপক আগ্রহ উৎসাহ থাকলেও সাম্প্রতিক কালে আখের দাম ভালো পেলেও ভোগান্তির কারনে এই চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। আর চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরাও কর্ম হারিয়ে বেকারত্ব জীবন যাপন করছে।এদিকে বন্ধ হওয়া সুগার মিলটি পুণঃরায় চালু হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরলে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ করা যায়।মিলটি চালু হলে কৃষকরা আগ্রহী হবে আখ চাষে ,সেই সাথে শ্রমিকরাও ফিরে পাবে তাদের কর্মস্থল। আশার প্রতিফলন ঘটবে জেলাবাসির,এমন প্রত্যাশা জনপ্রতিনিধি সহ জেলাবাসির।

সুগার মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক শ্রমিক নেতা মাহবুব আলম বুলেট জানান, পঞ্চগড় জেলার একমাত্র সরকারি ভারিশিল্প সুগার মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিক ও চাষীরা। তবে মিলটি পুণরায় চালু হলে কৃষক, শ্রমকিও ব্যবসায়ীসহ জেলাবাসি উপকৃত হবে।

এদিকে স্থানীয় সাংসদ জানান, মিল চালুর ব্যাপারে সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আইনি কোন বাধা নেই, তবে মিলের শর্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষমাত্রা পৌছালে ২৬ সালের মধ্যে আবারও মিলটি চালু হবে বলে তিনি আশা করছেন। তাই আখ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষককে আখ চাষে আগ্রহী হতে হবে।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

পঞ্চগড়ে বন্ধ হওয়া সুগার মিল চালুর সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ১২:৩১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

পঞ্চগড়ের বন্ধ হওয়া সুগার মিল চালুর সম্ভাবনা, শ্রমিকরা ফিরে পাবে কর্মসংস্থান এবং সচল হবে জেলার অর্থনৈতিক অবস্থা। পঞ্চগড়ের এক মাত্র ইতিহাস আর ঐতিহ্যর প্রতিক সরকারী ভারি শিল্প সুগার মিল। ২০২০ সালের দিকে আখ মাড়াইসহ মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে মিল সংশ্লিষ্ঠ হাজারও শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। প্রভাব পড়েছে জেলার অর্থনিতিতে। এছাড়াও অন্য জেলায় আখ সরবরাহের কারনে চাষিরা পড়ে ভোগান্তিতে। ফলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। তবে তিন বছর পর পূণরায় সুগার মিলটি চালুর সম্ভবনার খবরে স্বস্তি ফিরেছে চাষী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পঞ্চগড় জেলায় স্বাধীনতার পুর্বে ও পরের ইতিহাসে আর ঐতিহ্যের প্রতিক হিসেবে দ্বাড়িয়ে আছে পঞ্চগড়ের সুগার মিলটি। এ জেলায় এক মাত্র সরকারি ভারি শিল্প সুগার মিলটি। ১৯৬৬ সালে মিলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০২০ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে এই মিলে আখ মারাই বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জেলায় আখ চাষ হয়েছিলো প্রায় ৫’শ হেক্টর জমিতে আর ২৩-২৪ আর্থ বছরে আখ চাষ হয়েছে প্রায় ৭’শ হেক্টর জমিতে। তবে মিল চালুর জন্য আখ চাষের প্রয়োজন কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমি।

তবে এই কয়েক বছরে মিলের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আখ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত আখ চলে যাচ্ছে পার্শবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে। এক সময় এ জেলায় আখ চাষে চাষীদের ব্যাপক আগ্রহ উৎসাহ থাকলেও সাম্প্রতিক কালে আখের দাম ভালো পেলেও ভোগান্তির কারনে এই চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। আর চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরাও কর্ম হারিয়ে বেকারত্ব জীবন যাপন করছে।এদিকে বন্ধ হওয়া সুগার মিলটি পুণঃরায় চালু হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরলে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ করা যায়।মিলটি চালু হলে কৃষকরা আগ্রহী হবে আখ চাষে ,সেই সাথে শ্রমিকরাও ফিরে পাবে তাদের কর্মস্থল। আশার প্রতিফলন ঘটবে জেলাবাসির,এমন প্রত্যাশা জনপ্রতিনিধি সহ জেলাবাসির।

সুগার মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক শ্রমিক নেতা মাহবুব আলম বুলেট জানান, পঞ্চগড় জেলার একমাত্র সরকারি ভারিশিল্প সুগার মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিক ও চাষীরা। তবে মিলটি পুণরায় চালু হলে কৃষক, শ্রমকিও ব্যবসায়ীসহ জেলাবাসি উপকৃত হবে।

এদিকে স্থানীয় সাংসদ জানান, মিল চালুর ব্যাপারে সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আইনি কোন বাধা নেই, তবে মিলের শর্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষমাত্রা পৌছালে ২৬ সালের মধ্যে আবারও মিলটি চালু হবে বলে তিনি আশা করছেন। তাই আখ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষককে আখ চাষে আগ্রহী হতে হবে।

 

বাখ//আর