ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ন্যায় বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগ-পুলিশ নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে : প্রধান বিচারপতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদৃঢ়করণের অংশ হিসেবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশ বিচার বিভাগ ও বাংলাদেশ পুলিশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ শেষ দিনে রোববার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ প্রতিপাদ্যে গত ৩ জানুয়ারি থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হওয়া ৬ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ন্যায়পরাণতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কয়েক বছর আগেও অবৈধ অস্ত্রধারী ও বিভিন্ন তথাকথিত বাহিনীর অত্যাচারে জনগণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারত না। বাংলাদেশ পুলিশ সেই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের আজকের এই গতিশীল অবস্থানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। মহান মুক্তিযুদ্ধে সূচনালগ্নে দেশ ও মাতৃভূমি রক্ষার্থে বিজয় কেতন ওড়ানোর সুদৃঢ় প্রত্যয়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। বীরদর্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। পাশাপাশি সুনিপুণ রণকৌশল প্রণয়ন ও অস্ত্র সরবরাহ, সাধারণ জনগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও জনমত গঠনের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশ পুলিশ এ দেশের ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল নক্ষত্রপুঞ্জের মতো বিচরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক অতিমারি আমাদের সামষ্টিক সামাজিক জীবনে দুর্বৃত্ত আকার ধারণ করেছে। যখন আপনজনের লাশ থেকে নিজ পরিবারের সদস্যরা দূরে ছিল, তখন আপনারা আপনাদের জীবনের পরোয়া না করে জনমানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছিলেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যদ্রব্য। নিশ্চিত করেছেন ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা। আত্মনিয়োগ করেছেন করোনায় নিহত মানুষের সৎকারে। আপনাদের এ আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও আইন ভঙ্গকারীদের দমনে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ও জীবন উৎসর্গকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ন্যায় বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগ-পুলিশ নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে : প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় : ০২:০৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদৃঢ়করণের অংশ হিসেবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশ বিচার বিভাগ ও বাংলাদেশ পুলিশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ শেষ দিনে রোববার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ প্রতিপাদ্যে গত ৩ জানুয়ারি থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হওয়া ৬ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ন্যায়পরাণতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কয়েক বছর আগেও অবৈধ অস্ত্রধারী ও বিভিন্ন তথাকথিত বাহিনীর অত্যাচারে জনগণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারত না। বাংলাদেশ পুলিশ সেই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের আজকের এই গতিশীল অবস্থানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। মহান মুক্তিযুদ্ধে সূচনালগ্নে দেশ ও মাতৃভূমি রক্ষার্থে বিজয় কেতন ওড়ানোর সুদৃঢ় প্রত্যয়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। বীরদর্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। পাশাপাশি সুনিপুণ রণকৌশল প্রণয়ন ও অস্ত্র সরবরাহ, সাধারণ জনগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও জনমত গঠনের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশ পুলিশ এ দেশের ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল নক্ষত্রপুঞ্জের মতো বিচরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক অতিমারি আমাদের সামষ্টিক সামাজিক জীবনে দুর্বৃত্ত আকার ধারণ করেছে। যখন আপনজনের লাশ থেকে নিজ পরিবারের সদস্যরা দূরে ছিল, তখন আপনারা আপনাদের জীবনের পরোয়া না করে জনমানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছিলেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যদ্রব্য। নিশ্চিত করেছেন ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা। আত্মনিয়োগ করেছেন করোনায় নিহত মানুষের সৎকারে। আপনাদের এ আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও আইন ভঙ্গকারীদের দমনে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ও জীবন উৎসর্গকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার।