ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নোয়াখালীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামে গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) হত্যার দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বামী মঈন উদ্দিনকে (৪২) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ.এন.এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে বখাটেদের মধ্যে মঈন উদ্দিন কৌশলে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাত্র ১ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন ফাতেমা। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট ফাতেমাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে মঈন। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া বেগমগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই বছরের ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মৃতদেহ পানিতে ভাসছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পরদিন তিনি বাদী হয়ে ফাতেমার স্বামী মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এরপর জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায় সে। ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামে গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) হত্যার দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বামী মঈন উদ্দিনকে (৪২) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ.এন.এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে বখাটেদের মধ্যে মঈন উদ্দিন কৌশলে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাত্র ১ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন ফাতেমা। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট ফাতেমাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে মঈন। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া বেগমগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই বছরের ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মৃতদেহ পানিতে ভাসছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পরদিন তিনি বাদী হয়ে ফাতেমার স্বামী মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এরপর জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায় সে। ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

বা/খ:জই