ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। পরোয়ানা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে ইসরাইল। এরমধ্যেই রাফায় স্থল অভিযান চালানোর আগে ওয়াশিংটনের ওয়াশিংটনের পরামর্শ শুনতে সম্মত হয়েছে তেল আবিব। এদিকে পুলিশি বাঁধার মুখে যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে যুক্ত হচ্ছে আরও বিশ্ববিদ্যালয়।

হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। ইতোমধ্যেই এর আভাস দেওয়া হয়েছে ইসরাইল সরকারকে। দেশটির চ্যানেল টুয়েলভের প্রতিবেদনে মিলেছে এই তথ্য।

শুধু নেতানিয়াহুই নয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ও চিফ অফ স্টাফ হার্জি হালেভির বিরুদ্ধেও। বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করছে আইসিসি। তদন্ত শুরুর সময় বিষয়টি তেমন আমলে নেননি নেতানিয়াহু। কারণ এই আদালতকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ইসরাইল। তবে আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর জানান, ফিলিস্তিন আদালতের সদস্য হওয়ায় দেশটির নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হলে তদন্তের এখতিয়ার রাখে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

জাতিসংঘের ট্রাইবুনাল থেকে সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে বেশ চাপে আছেন নেতানিয়াহু। এই পরোয়ানা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে ফোনে চাপ প্রয়োগ করছে ইসরাইল। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে কূটনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে ইসরাইল। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এরইমধ্যে রাফায় স্থল অভিযান চালানোর আগে ওয়াশিংটনের পরামর্শ শুনতে রাজি হয়েছে তেল আবিব।

গাজার উত্তরসহ বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ইসরাইলিদের সঙ্গে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কথা বলবেন। পাশাপাশি রাফায় সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

যদিও এমন সিদ্ধান্তে দুইভাগে বিভক্ত ইসরাইল সরকার। কট্টর ইহুদি রাজনীতিবিদ বেন গাভির জানান, জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে রাফায় অভিযান না চালানোর সিদ্ধান্ত কাল ডেকে আনবে নেতানিয়াহু সরকারের জন্য। অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্তির চুক্তিতে বাধা দিলে সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য ডানপন্থী নেতা বেনি গ্যান্তজের।

এই টানাপড়েনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরের কায়রোতে পৌঁছেছে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। সৌদি আরব সফর শেষে মিশর ও জর্ডানে গাজা ইস্যুতে আলোচনা করতে যাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

এদিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদরে বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হলেও কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না রাজপথে তাদের ঢল। ফিলিস্তিনপন্থী আর ইসরাইলপন্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের জোরালো দাবি, অবিলম্বে কার্যকর হোক গাজায় যুদ্ধবিরতি। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির শঙ্কা

আপডেট সময় : ০২:১৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। পরোয়ানা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে ইসরাইল। এরমধ্যেই রাফায় স্থল অভিযান চালানোর আগে ওয়াশিংটনের ওয়াশিংটনের পরামর্শ শুনতে সম্মত হয়েছে তেল আবিব। এদিকে পুলিশি বাঁধার মুখে যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে যুক্ত হচ্ছে আরও বিশ্ববিদ্যালয়।

হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। ইতোমধ্যেই এর আভাস দেওয়া হয়েছে ইসরাইল সরকারকে। দেশটির চ্যানেল টুয়েলভের প্রতিবেদনে মিলেছে এই তথ্য।

শুধু নেতানিয়াহুই নয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ও চিফ অফ স্টাফ হার্জি হালেভির বিরুদ্ধেও। বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করছে আইসিসি। তদন্ত শুরুর সময় বিষয়টি তেমন আমলে নেননি নেতানিয়াহু। কারণ এই আদালতকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ইসরাইল। তবে আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর জানান, ফিলিস্তিন আদালতের সদস্য হওয়ায় দেশটির নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হলে তদন্তের এখতিয়ার রাখে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

জাতিসংঘের ট্রাইবুনাল থেকে সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে বেশ চাপে আছেন নেতানিয়াহু। এই পরোয়ানা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে ফোনে চাপ প্রয়োগ করছে ইসরাইল। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে কূটনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে ইসরাইল। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এরইমধ্যে রাফায় স্থল অভিযান চালানোর আগে ওয়াশিংটনের পরামর্শ শুনতে রাজি হয়েছে তেল আবিব।

গাজার উত্তরসহ বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ইসরাইলিদের সঙ্গে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কথা বলবেন। পাশাপাশি রাফায় সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

যদিও এমন সিদ্ধান্তে দুইভাগে বিভক্ত ইসরাইল সরকার। কট্টর ইহুদি রাজনীতিবিদ বেন গাভির জানান, জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে রাফায় অভিযান না চালানোর সিদ্ধান্ত কাল ডেকে আনবে নেতানিয়াহু সরকারের জন্য। অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্তির চুক্তিতে বাধা দিলে সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য ডানপন্থী নেতা বেনি গ্যান্তজের।

এই টানাপড়েনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরের কায়রোতে পৌঁছেছে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। সৌদি আরব সফর শেষে মিশর ও জর্ডানে গাজা ইস্যুতে আলোচনা করতে যাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

এদিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদরে বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হলেও কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না রাজপথে তাদের ঢল। ফিলিস্তিনপন্থী আর ইসরাইলপন্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের জোরালো দাবি, অবিলম্বে কার্যকর হোক গাজায় যুদ্ধবিরতি। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে।