ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্যাতন যত হবে, আন্দোলনের গতি ততই বাড়বে: মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে বর্তমান সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রতিদিন অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছে, যত নির্যাতন হবে তত আন্দোলনের গতি বাড়বে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। ইতোমধ্যে দেখেছেন, আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন পুলিশের গুলিতে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনে। গত ১৫ বছরে আমাদের প্রায় ৬শ’র অধিক নেতা গুম হয়েছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, ৩৫-৪০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এখনো কারাগারে আছেন আমাদের শীর্ষ নেতা আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক মিয়া, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ প্রায় এক হাজারের ওপরে নেতাকর্মী। আমাদের ১৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। এ ১০ দফার মাধ্যমে আমরা সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সেই চেতনাকে আওয়ামী লীগ বেমালুম গিলে ফেলেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিরোধী দল ও ভিন্ন মত দমনে অত্যাচার-নির্যাতনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তারা (আ.লীগ) সমগ্র দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে ফেলেছে।

‘আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে বিএনপির জ্বালা ধরে যায়’ -প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এতো মিথ্যা কথা, এতো মিথ্যাচার করেন অনির্বাচিত উনার (প্রধানমন্ত্রী) কথা উত্তর দিতে আমাদের রুচিতে বাধে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল, আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এখন আবারও বিভক্তির রাজনীতির মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করতে নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আওয়ামী লীগ আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন।

জিয়াউর রহমানকে একজন ক্ষণজন্মা নেতা দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষক নন, তিনি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ছিলেন। হতাশাগস্ত জাতিকে জেগে উঠতে সফলতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আজকে দেশের যতটুকু অর্থনৈতিক অর্জন তার শুরু তিনিই করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকই শুধু নন, তিনি এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একজন নেতা। সেজন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে তার এ জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। যে নেতা আমাদের পথ দেখিয়েছিলেন তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, আসুন একটা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের একটা নিরাপদ আবাসস্থল নির্মাণের জন্য, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য আমরা এদিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করি।

জিয়াউর রহমান বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আজকে দুর্ভাগ্যজনক এবং ইচ্ছেকৃত ভাবে আওয়ামী লীগ সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে একদলীয় শাষন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা মুক্ত সমাজ, একটা গণতান্ত্রিক সমাজ। সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি। সেই সংগ্রামে ইতিমধ্যে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাৎ বরণ করেছেন।

আর্থিকখাতে দুর্নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার অর্থনীতিখাত ফোকলা করে দিয়েছে, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ। বিচারবিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। এ কারণেই রাজনৈতিক দলগুলো ১০ দফা ঘোষণা করেছে। ১০ দফার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চায় বিএনপি।

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, এই অনির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হচ্ছেন।

যুগপৎ আন্দোলনে ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি নির্ধারণে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৬ জানুয়ারি ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সব কারাবন্দির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, কাজী রফিক, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তফা কামাল, জাহাঙ্গীর আলম, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আবুল হোসেন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্যাতন যত হবে, আন্দোলনের গতি ততই বাড়বে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে বর্তমান সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রতিদিন অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছে, যত নির্যাতন হবে তত আন্দোলনের গতি বাড়বে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। ইতোমধ্যে দেখেছেন, আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন পুলিশের গুলিতে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনে। গত ১৫ বছরে আমাদের প্রায় ৬শ’র অধিক নেতা গুম হয়েছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, ৩৫-৪০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এখনো কারাগারে আছেন আমাদের শীর্ষ নেতা আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক মিয়া, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ প্রায় এক হাজারের ওপরে নেতাকর্মী। আমাদের ১৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। এ ১০ দফার মাধ্যমে আমরা সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সেই চেতনাকে আওয়ামী লীগ বেমালুম গিলে ফেলেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিরোধী দল ও ভিন্ন মত দমনে অত্যাচার-নির্যাতনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তারা (আ.লীগ) সমগ্র দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে ফেলেছে।

‘আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে বিএনপির জ্বালা ধরে যায়’ -প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এতো মিথ্যা কথা, এতো মিথ্যাচার করেন অনির্বাচিত উনার (প্রধানমন্ত্রী) কথা উত্তর দিতে আমাদের রুচিতে বাধে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল, আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এখন আবারও বিভক্তির রাজনীতির মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করতে নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আওয়ামী লীগ আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন।

জিয়াউর রহমানকে একজন ক্ষণজন্মা নেতা দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষক নন, তিনি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ছিলেন। হতাশাগস্ত জাতিকে জেগে উঠতে সফলতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আজকে দেশের যতটুকু অর্থনৈতিক অর্জন তার শুরু তিনিই করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকই শুধু নন, তিনি এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একজন নেতা। সেজন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে তার এ জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। যে নেতা আমাদের পথ দেখিয়েছিলেন তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, আসুন একটা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের একটা নিরাপদ আবাসস্থল নির্মাণের জন্য, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য আমরা এদিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করি।

জিয়াউর রহমান বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আজকে দুর্ভাগ্যজনক এবং ইচ্ছেকৃত ভাবে আওয়ামী লীগ সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে একদলীয় শাষন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা মুক্ত সমাজ, একটা গণতান্ত্রিক সমাজ। সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি। সেই সংগ্রামে ইতিমধ্যে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাৎ বরণ করেছেন।

আর্থিকখাতে দুর্নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার অর্থনীতিখাত ফোকলা করে দিয়েছে, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ। বিচারবিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। এ কারণেই রাজনৈতিক দলগুলো ১০ দফা ঘোষণা করেছে। ১০ দফার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চায় বিএনপি।

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, এই অনির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হচ্ছেন।

যুগপৎ আন্দোলনে ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি নির্ধারণে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৬ জানুয়ারি ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সব কারাবন্দির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, কাজী রফিক, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তফা কামাল, জাহাঙ্গীর আলম, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আবুল হোসেন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।