ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচন হবে সংবিধানের নিয়মে: তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সাথে কোন আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আজ (বুধবার) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন বিএনপি কোন আদর্শিক দল নয়।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। আর তাদের আমরা সংলাপে ডাকিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বাণিজ্য করে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছিল ৯০০টি। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রথমে দেখলাম একজন মনোনয়ন পেয়েছেন। পরে দেখি, সেটি উল্টে গেছে। আরেকজন পেয়েছেন। তারপর দেখলাম ধানের শীষ বিক্রি করে দিয়েছে। অর্থাৎ এলডিপিকে দিয়ে দিয়েছে। ধানের শীষ এলডিপিকে দেওয়ায় বিএনপির নারী কর্মীরা ঝাড়ু মিছিল করেছে। এ দৃশ্য আমার নির্বাচনী এলাকাতেই।

তিনি বলেন, গত নির্বাচনে সব আসনেই বিএনপি এভাবে মনোনয়ন বেচা-বিক্রি করেছে। একটি মনোনয়ন দেন তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেনটি আরেকটি, রুহুল কবির রিজভীও দেন একটি। এরপর তিনজনের টানাটানিতে যেটি টিকে, সেটি হচ্ছে চূড়ান্ত। এগুলো তাদের নির্বাচনে খারাপ ফল করার পেছনে বড় প্রভাব ফেলেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক দল। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আমলা কিংবা বড়ো ব্যবসায়ীদের আমরা মনোনয়ন দেই না। অনেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে গিয়েছিল। যাদের মধ্যে এমকে আনোয়ারসহ আরও বেশ কয়েকজন আছেন। তারা মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে মন্ত্রী হোন। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের চর্চা বিএনপিই করে।

তার মতে, বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে। রাস্তায় যখন হালুয়া-রুটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন কাক যেমন জড়ো হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কাক আছে। রাজনীতির কাকদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি। মির্জা ফখরুল, রিজভী, খন্দকার মোশাররফ অন্য দল করতেন। এ কারণে তাদের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই। তারা পদ বাণিজ্য করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন হবে সংবিধানের নিয়মে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সাথে কোন আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আজ (বুধবার) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন বিএনপি কোন আদর্শিক দল নয়।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। আর তাদের আমরা সংলাপে ডাকিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বাণিজ্য করে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছিল ৯০০টি। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রথমে দেখলাম একজন মনোনয়ন পেয়েছেন। পরে দেখি, সেটি উল্টে গেছে। আরেকজন পেয়েছেন। তারপর দেখলাম ধানের শীষ বিক্রি করে দিয়েছে। অর্থাৎ এলডিপিকে দিয়ে দিয়েছে। ধানের শীষ এলডিপিকে দেওয়ায় বিএনপির নারী কর্মীরা ঝাড়ু মিছিল করেছে। এ দৃশ্য আমার নির্বাচনী এলাকাতেই।

তিনি বলেন, গত নির্বাচনে সব আসনেই বিএনপি এভাবে মনোনয়ন বেচা-বিক্রি করেছে। একটি মনোনয়ন দেন তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেনটি আরেকটি, রুহুল কবির রিজভীও দেন একটি। এরপর তিনজনের টানাটানিতে যেটি টিকে, সেটি হচ্ছে চূড়ান্ত। এগুলো তাদের নির্বাচনে খারাপ ফল করার পেছনে বড় প্রভাব ফেলেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক দল। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আমলা কিংবা বড়ো ব্যবসায়ীদের আমরা মনোনয়ন দেই না। অনেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে গিয়েছিল। যাদের মধ্যে এমকে আনোয়ারসহ আরও বেশ কয়েকজন আছেন। তারা মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে মন্ত্রী হোন। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের চর্চা বিএনপিই করে।

তার মতে, বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে। রাস্তায় যখন হালুয়া-রুটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন কাক যেমন জড়ো হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কাক আছে। রাজনীতির কাকদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি। মির্জা ফখরুল, রিজভী, খন্দকার মোশাররফ অন্য দল করতেন। এ কারণে তাদের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই। তারা পদ বাণিজ্য করেন।