ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিকলীতে মৃত্যুফাঁদ সেতু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ হেলাল উদ্দিন, নিকলী ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের রূপসী হাওর উপজেলার নিকলীতে নরসুন্দা নদীর ওপর জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন চলছে হাজার হাজার যানবাহন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন গ্রামের পথচারী মানুষেরা। এ অঞ্চলের ছাত্র, ছাত্রীদের আহবানে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেতুর পাটতন, দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়েতে শুরু করেছে , কোথাও কোথাও সেতুর আস্তরণ খসে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে পিলারের রড। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এ সেতুর ওপর দিয়ে চলছে অধিক মালবাহী ট্রাক। এলাকাবাসীর ধারণা এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

উপজেলার সদরের সাথে মহরকোনা, সিংপুর, দামপাড়া ও কামালপুর গ্রামের সংযোগ সেতুটিতে অনেক পূর্বেই ফাটল দেখা দিয়েছে অ্যাবাটমেন্ট ওয়ালে। এ ব্রিজের নিচে দিয়ে প্রত্যেহ বয়ে চলে হাওর গামী শত শত নৌকা। যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে মোহরকোনার সেতুটি। পাড়াপাড়ের সময় উঁচু সেতুতে উঠতে গিয়ে রিকশা ও অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার মত দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটার সংবাদ পাওয়া যায় । এতে পঙ্গু হচ্ছেন অনেকে পথচারী মানুষেরা । ঘটছে প্রাণহানিও।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে এ প্রতিবেদককে জানান, ভারী যানবাহনের চলাচল নিষেধ করা হলেও কেউ আমলে নিচ্ছে না, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মালবাহী ইটের ট্রাকসহ ছোট ছোট যানবাহন। তাই সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা । খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১৯৯৮ সালে ৯৫ মিটার দীর্ঘ এবং মাত্র দেড় মিটার প্রস্থের এই ফুট ওভারব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি। শুধুমাত্র হেঁটে চলাচলের জন্য এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে মানুষের প্রয়োজনে এটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এলজিডি সূত্রে জানা যায় দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া জানান, সেতুটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মানুষকে এ সেতুর ওপর দিয়ে সাবধানে চলাচল করতে উদ্বুদ্ধ করছি। দুই পাশে সতর্কিকরণ সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে একজন লোককে সেতুর দুই পাশের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান আরও জানান, নিকলী – বাজিতপুর আসনের স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেন সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। তিনি এ সেতুটি ভেঙে প্রায় একশ মিটার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। মাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

নিকলীতে মৃত্যুফাঁদ সেতু

আপডেট সময় : ১১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

মোঃ হেলাল উদ্দিন, নিকলী ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের রূপসী হাওর উপজেলার নিকলীতে নরসুন্দা নদীর ওপর জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন চলছে হাজার হাজার যানবাহন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন গ্রামের পথচারী মানুষেরা। এ অঞ্চলের ছাত্র, ছাত্রীদের আহবানে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেতুর পাটতন, দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়েতে শুরু করেছে , কোথাও কোথাও সেতুর আস্তরণ খসে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে পিলারের রড। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এ সেতুর ওপর দিয়ে চলছে অধিক মালবাহী ট্রাক। এলাকাবাসীর ধারণা এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

উপজেলার সদরের সাথে মহরকোনা, সিংপুর, দামপাড়া ও কামালপুর গ্রামের সংযোগ সেতুটিতে অনেক পূর্বেই ফাটল দেখা দিয়েছে অ্যাবাটমেন্ট ওয়ালে। এ ব্রিজের নিচে দিয়ে প্রত্যেহ বয়ে চলে হাওর গামী শত শত নৌকা। যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে মোহরকোনার সেতুটি। পাড়াপাড়ের সময় উঁচু সেতুতে উঠতে গিয়ে রিকশা ও অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার মত দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটার সংবাদ পাওয়া যায় । এতে পঙ্গু হচ্ছেন অনেকে পথচারী মানুষেরা । ঘটছে প্রাণহানিও।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে এ প্রতিবেদককে জানান, ভারী যানবাহনের চলাচল নিষেধ করা হলেও কেউ আমলে নিচ্ছে না, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মালবাহী ইটের ট্রাকসহ ছোট ছোট যানবাহন। তাই সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা । খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১৯৯৮ সালে ৯৫ মিটার দীর্ঘ এবং মাত্র দেড় মিটার প্রস্থের এই ফুট ওভারব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি। শুধুমাত্র হেঁটে চলাচলের জন্য এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে মানুষের প্রয়োজনে এটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এলজিডি সূত্রে জানা যায় দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া জানান, সেতুটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মানুষকে এ সেতুর ওপর দিয়ে সাবধানে চলাচল করতে উদ্বুদ্ধ করছি। দুই পাশে সতর্কিকরণ সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে একজন লোককে সেতুর দুই পাশের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান আরও জানান, নিকলী – বাজিতপুর আসনের স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেন সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। তিনি এ সেতুটি ভেঙে প্রায় একশ মিটার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। মাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

 

বা/খ: জই