ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিকলীতে ভুট্টা চাষীদের মুখে হাঁসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের রূপসী হাওর উপজেলা নিকলীতে এবারেই প্রথম ব্যাপক ভাবে জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে । এ অঞ্চলের চাষীরা ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের উপর স্বপ্ন দেখতে বসেছে । এ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে বোরো ধানের পাশা পাশি হাওরে ভূট্টার চাষ করা হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্গম চরাঞ্চল এবং নদীর পাড়ের জমিতে সিংপুর ,দামপাড়া , ছাতিরচর এই তিন ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি ভুট্টার আবাদ করেছে কৃষকেরা । চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫, হাজার ৩৭ শ’ হেক্টর জমিতে ১৩ টি জাতের ভূট্টা চাষ করা হয় । এছাড়াও কৃষি অফিসের ত্বতাবধানে ২৩ টি প্রদর্শনী প্লট রয়েছে । প্রদর্শনী মাঠের কৃষকদেরকে কৃষি অফিস বীজ সার এবং সাইবোর্ড সরবরাহ করেছে ।

নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ,এম রুহুল কুদ্দুস ভুঞা জনি জানান , ‘আমি এ বছর ১৪ একর জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি , আমার প্রতি একরে ভুট্টা উৎপাদন করতে খরচ হবে, জমি লিজ ১২ হাজার , হাল চাষ ৩ হাজার , সার ১৮ হাজার , শ্রমিক মজুরি ৪ হাজার ৮ শ’ , পানি সেঁচ ৫ হাজার , জমি থেকে ভুট্টা উত্তলন ও শুকানো মজুরি ৮ হাজার টাকাসহ সর্বমোট প্রতি একরে খরচ হবে ৫০ হাজার ৮০০ টাকা । এখন পর্যন্ত গাছগুলো বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে এবং ঝড় বৃষ্টিতে গাছের ক্ষয় ক্ষতি না হয়, তাহলে আশা করছি একর প্রতি কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে । জমি দেখে বিভিন্ন ব্যাপারিরা আমাকে একর প্রতি ৯০ হাজার টাকা দিয়ে সমস্ত ভুট্টা ক্রয় করতে প্রস্তাব দিচ্ছে কিন্তু আমি এখনি বিক্রি করবো না, তাদের বলে দিয়েছি ।

এ নিয়ে কথা হয় সিংপুর গ্রামের শান্তি রহমান , দামপাড়া গ্রামের মঞ্জিল , ঘোরাদিঘা গ্রামের রতন গুরুই গ্রামের হাসিম পোড্ডাগ্রামের আলী হোসেনের সাথে কথা হলে বলেন, যে কোন সময়ের তুলনায় এবার ভালো ফলন হবে , যদি সরকার ভুট্টা চাষীদের ঋন প্রদান করে, তবে আমাদের এলাকায় ব্যাপক ভাবে ভুট্ট চাষ হতে পারে ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বেলায়ত হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভূট্টার চাষ অনেকটাই বেড়েছে। এর কারণ হলো অল্প খরচে অধিক লাভ। উৎপাদন খরচের তুলনায় বর্তমানে ভুট্টা অধিক লাভজনক। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ভূট্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় ভুট্টা চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’ চরাঞ্চলে সাধারণত বেলে ও দোআঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় এবং রাসায়নিক সার কম লাগার কারণে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষে খরচের পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে বর্তমানে ভুট্টার আবাদ অনেকটাই বেশি হচ্ছে । ভুট্টা বিক্রি করে কৃষকেরা বোর ধান ঘরে তুলে এ জন্য কৃষকদের কম দামে ধান বিক্রি করতে হয়না । বোর ধান ঘরে রেখে দেয় এবং ধানের মূল্য বৃদ্ধি পেলে তারা ধান বিক্রি করে থাকে ।

বা/খ : এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিকলীতে ভুট্টা চাষীদের মুখে হাঁসি

আপডেট সময় : ১২:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের রূপসী হাওর উপজেলা নিকলীতে এবারেই প্রথম ব্যাপক ভাবে জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে । এ অঞ্চলের চাষীরা ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের উপর স্বপ্ন দেখতে বসেছে । এ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে বোরো ধানের পাশা পাশি হাওরে ভূট্টার চাষ করা হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্গম চরাঞ্চল এবং নদীর পাড়ের জমিতে সিংপুর ,দামপাড়া , ছাতিরচর এই তিন ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি ভুট্টার আবাদ করেছে কৃষকেরা । চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫, হাজার ৩৭ শ’ হেক্টর জমিতে ১৩ টি জাতের ভূট্টা চাষ করা হয় । এছাড়াও কৃষি অফিসের ত্বতাবধানে ২৩ টি প্রদর্শনী প্লট রয়েছে । প্রদর্শনী মাঠের কৃষকদেরকে কৃষি অফিস বীজ সার এবং সাইবোর্ড সরবরাহ করেছে ।

নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ,এম রুহুল কুদ্দুস ভুঞা জনি জানান , ‘আমি এ বছর ১৪ একর জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি , আমার প্রতি একরে ভুট্টা উৎপাদন করতে খরচ হবে, জমি লিজ ১২ হাজার , হাল চাষ ৩ হাজার , সার ১৮ হাজার , শ্রমিক মজুরি ৪ হাজার ৮ শ’ , পানি সেঁচ ৫ হাজার , জমি থেকে ভুট্টা উত্তলন ও শুকানো মজুরি ৮ হাজার টাকাসহ সর্বমোট প্রতি একরে খরচ হবে ৫০ হাজার ৮০০ টাকা । এখন পর্যন্ত গাছগুলো বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে এবং ঝড় বৃষ্টিতে গাছের ক্ষয় ক্ষতি না হয়, তাহলে আশা করছি একর প্রতি কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে । জমি দেখে বিভিন্ন ব্যাপারিরা আমাকে একর প্রতি ৯০ হাজার টাকা দিয়ে সমস্ত ভুট্টা ক্রয় করতে প্রস্তাব দিচ্ছে কিন্তু আমি এখনি বিক্রি করবো না, তাদের বলে দিয়েছি ।

এ নিয়ে কথা হয় সিংপুর গ্রামের শান্তি রহমান , দামপাড়া গ্রামের মঞ্জিল , ঘোরাদিঘা গ্রামের রতন গুরুই গ্রামের হাসিম পোড্ডাগ্রামের আলী হোসেনের সাথে কথা হলে বলেন, যে কোন সময়ের তুলনায় এবার ভালো ফলন হবে , যদি সরকার ভুট্টা চাষীদের ঋন প্রদান করে, তবে আমাদের এলাকায় ব্যাপক ভাবে ভুট্ট চাষ হতে পারে ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বেলায়ত হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভূট্টার চাষ অনেকটাই বেড়েছে। এর কারণ হলো অল্প খরচে অধিক লাভ। উৎপাদন খরচের তুলনায় বর্তমানে ভুট্টা অধিক লাভজনক। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ভূট্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় ভুট্টা চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’ চরাঞ্চলে সাধারণত বেলে ও দোআঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় এবং রাসায়নিক সার কম লাগার কারণে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষে খরচের পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে বর্তমানে ভুট্টার আবাদ অনেকটাই বেশি হচ্ছে । ভুট্টা বিক্রি করে কৃষকেরা বোর ধান ঘরে তুলে এ জন্য কৃষকদের কম দামে ধান বিক্রি করতে হয়না । বোর ধান ঘরে রেখে দেয় এবং ধানের মূল্য বৃদ্ধি পেলে তারা ধান বিক্রি করে থাকে ।

বা/খ : এসআর।