ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিকলীতে নৌকাতেই জীবনের অবসান 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : 
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার প্রত্যন্ত হাওর এলাকার ভাটি বরাটিয়া গ্রামের তাহের আলীর স্ত্রী পারভীন বেগম, আজ (১২) এপ্রিল পৃথিবীর সকল দুঃখ কষ্ট আর যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাযিউন)। ধনু নদীর ভাঙ্গনে ভিটা মাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত  হয়ে আবু তাহের অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে আশ্রয় নেয় ছোট্র একটি নৌকায় সেই ২০১৭ সালে। বছরের পর বছর জলে ভেসেই কাটিয়েছে  জীবন। ঝড়, বৃষ্টি কাল বৈশাখীর তান্ডব আর তীব্র শীত সহ সকল প্রতিকূল আবহাওয়ার মোকাবেলা করে প্রায় সাত বছর ধরেই পারভিন বেগম প্যারালাইসিস সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন । অর্ধাহারে অনাহারে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে ধীরে ধীরে নিভে গেলো তার জীবন প্রদীপ। এক সময় এ পরিবারটির নৌকায় বসবাস নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে সাড়া জাগায়। মিডিয়ার লোকজন এ নিয়ে  নিকলীর  প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের নজরে আনলে আবু তাহেরের পরিবারকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং সহায়তা বিজিএফ কার্ড দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে  আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে তাহেরের সাথে কথা হলে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমর দুঃখ হলো ২১৪ বর্গ কিলোমিটারের সরকারি ঘরটিতে আমার স্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেনি।  পারভিনরা সাড়ে তিনহাত ঘরে আমাকে একা করে চলে গেলো। জানিনা আমিও সে স্বপনের ঘরে বসবাস করতে পারবো কিনা। আল্লাহর দরবারে আমি একজন হতভাগা স্বামী হিসেবে আমার স্ত্রীর সকল ভুলের ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

নিকলীতে নৌকাতেই জীবনের অবসান 

আপডেট সময় : ১২:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : 
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার প্রত্যন্ত হাওর এলাকার ভাটি বরাটিয়া গ্রামের তাহের আলীর স্ত্রী পারভীন বেগম, আজ (১২) এপ্রিল পৃথিবীর সকল দুঃখ কষ্ট আর যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাযিউন)। ধনু নদীর ভাঙ্গনে ভিটা মাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত  হয়ে আবু তাহের অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে আশ্রয় নেয় ছোট্র একটি নৌকায় সেই ২০১৭ সালে। বছরের পর বছর জলে ভেসেই কাটিয়েছে  জীবন। ঝড়, বৃষ্টি কাল বৈশাখীর তান্ডব আর তীব্র শীত সহ সকল প্রতিকূল আবহাওয়ার মোকাবেলা করে প্রায় সাত বছর ধরেই পারভিন বেগম প্যারালাইসিস সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন । অর্ধাহারে অনাহারে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে ধীরে ধীরে নিভে গেলো তার জীবন প্রদীপ। এক সময় এ পরিবারটির নৌকায় বসবাস নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে সাড়া জাগায়। মিডিয়ার লোকজন এ নিয়ে  নিকলীর  প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের নজরে আনলে আবু তাহেরের পরিবারকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং সহায়তা বিজিএফ কার্ড দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে  আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে তাহেরের সাথে কথা হলে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমর দুঃখ হলো ২১৪ বর্গ কিলোমিটারের সরকারি ঘরটিতে আমার স্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেনি।  পারভিনরা সাড়ে তিনহাত ঘরে আমাকে একা করে চলে গেলো। জানিনা আমিও সে স্বপনের ঘরে বসবাস করতে পারবো কিনা। আল্লাহর দরবারে আমি একজন হতভাগা স্বামী হিসেবে আমার স্ত্রীর সকল ভুলের ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
বা/খ: জই