ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের যে অবস্থা, নিষেধাজ্ঞা আসা স্বাভাবিক: খসরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের ওপর আরো বিদেশি নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের যে অবস্থা তাতে নিষেধাজ্ঞা আসবে সেটা স্বাভাবিক। কারণ এখানে ভালো কিছু হচ্ছে না।

রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক সভায় তিনি এই সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারাদেশে গুম ও খুন চলছে। দূতাবাসের কাজ হলো জনগণের পক্ষে কাজ করা। নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর কাজ তাদের না। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যত কালো আইন আছে সবই বাতিল করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় আমীর খসরু বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের হাত থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করতে হলে একটা ট্র্যাকে আনতে হবে। সেজন্যই তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয় যারা শিক্ষিত ও দক্ষ, অভিজ্ঞ তাদের সমন্বয়ে উচ্চ কক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে করে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফার রূপরেখা সম্পর্কে দেশের জনগণকে পরিষ্কার করে জানাতে হবে। কেননা এই ২৭ দফার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে।

আমির খসরু বলেন, আমাদের ২৭ দফা দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে ২৭ দফার প্রয়োজনীয়তা। কারণ তারা জানতে চাইছে, বর্তমান সরকার চলে গেলে কী হবে? সেই জন্যই কিন্তু আমরা ২৭ দফা রূপরেখা দিয়েছি। এই দফাগুলো আমাদের আন্দোলনের অংশ। এর মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে।

দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২৭ দফা বাস্তবায়ন না হলে দেশ সঠিক পথে চলবে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই রূপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমান নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বিশ্বের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, সুশীল সমাজের মধ্যে আবার কুশীল আছেন। তারা যে উচ্চ কক্ষে চলে যাবে না তার কোনও গ্যারান্টি আছে? এটা নিয়ে একটা প্রশ্ন আসবে না?, এটা জানা দরকার। স্বাভাবিকভাবে আমার মনেও এই প্রশ্নটা আসবে। সেখানে যদি কুশীল, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী যেখানে চলে যায়, তাহলেও আর উচ্চ কক্ষের দাম থাকবে না। এজন্য নির্বাচনে আগে প্রত্যেক দলকে তাদের প্যানেল থেকে কারা উচ্চ কক্ষে যাবেন সেটা ঘোষণা করতে হবে যে, আমাদের প্যানেলে এরা আছে। অর্থাৎ বিএনপি জয়ী হলে কারা উচ্চ কক্ষে যাবেন তা জনগণকে জানাতে হবে নির্বাচনের আগে। সেখানে খেলাধুলা করলে চলবে না। নির্বাচনের আগে জানাতে হবে। এটা হচ্ছে স্বচ্ছতা।

বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, চিরস্থায়ী দুর্বৃত্তায়ন ব্যবস্থা চালু করছে তারা (সরকার)। সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে কী, কী দরকার? রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করা। রাষ্ট্রের ব্যাংক, শেয়ারবাজার দখল করা। মেঘা প্রজেক্টের নামে টাকা লুট করা। কারণ তারা অর্থ ও পেশীশক্তি দিয়ে ক্ষমতা থাকতে হবে। তার জন্য একটি গোষ্ঠী দরকার। এই গোষ্ঠীর মধ্যে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী রয়েছে। এরা সবাই মিলে একটি র‌্যাজিম সৃষ্টি করেছে।

একটা কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য স্বাস্থ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ১ শতাংশ জিডিপির ব্যবহার নেই বললেই চলে। কারণ এখানে সরকারের দুর্নীতি বেশি। ফলে দেশের মানুষকে নিজের টাকা খরচ করেই চিকিৎসা নিতে হয়, যা আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ। এসব বিষয়ে সারা দেশে সেমিনার করা জরুরি। কারণ একটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হলে তার প্রাথমিক রোগপ্রতিরোধ শুরু হয়ে যায়। যদি একটি পরিবারের ৫ হাজার টাকা সেভ করা যায় ওই পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যাবে। সেই টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় খরচ করতে পারবে। দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাব সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সরকার মাহবুব আহমেদ শামীমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান।

ঢাকা উত্তর ড্যাবের মহাসচিব ডা. এএসএম মো. মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি হারুন আল রশিদ, মহাসচিব মো. আবদুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের যে অবস্থা, নিষেধাজ্ঞা আসা স্বাভাবিক: খসরু

আপডেট সময় : ০৪:২০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের ওপর আরো বিদেশি নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের যে অবস্থা তাতে নিষেধাজ্ঞা আসবে সেটা স্বাভাবিক। কারণ এখানে ভালো কিছু হচ্ছে না।

রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক সভায় তিনি এই সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারাদেশে গুম ও খুন চলছে। দূতাবাসের কাজ হলো জনগণের পক্ষে কাজ করা। নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর কাজ তাদের না। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যত কালো আইন আছে সবই বাতিল করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় আমীর খসরু বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের হাত থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করতে হলে একটা ট্র্যাকে আনতে হবে। সেজন্যই তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয় যারা শিক্ষিত ও দক্ষ, অভিজ্ঞ তাদের সমন্বয়ে উচ্চ কক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে করে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফার রূপরেখা সম্পর্কে দেশের জনগণকে পরিষ্কার করে জানাতে হবে। কেননা এই ২৭ দফার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে।

আমির খসরু বলেন, আমাদের ২৭ দফা দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে ২৭ দফার প্রয়োজনীয়তা। কারণ তারা জানতে চাইছে, বর্তমান সরকার চলে গেলে কী হবে? সেই জন্যই কিন্তু আমরা ২৭ দফা রূপরেখা দিয়েছি। এই দফাগুলো আমাদের আন্দোলনের অংশ। এর মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে।

দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২৭ দফা বাস্তবায়ন না হলে দেশ সঠিক পথে চলবে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই রূপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমান নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বিশ্বের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, সুশীল সমাজের মধ্যে আবার কুশীল আছেন। তারা যে উচ্চ কক্ষে চলে যাবে না তার কোনও গ্যারান্টি আছে? এটা নিয়ে একটা প্রশ্ন আসবে না?, এটা জানা দরকার। স্বাভাবিকভাবে আমার মনেও এই প্রশ্নটা আসবে। সেখানে যদি কুশীল, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী যেখানে চলে যায়, তাহলেও আর উচ্চ কক্ষের দাম থাকবে না। এজন্য নির্বাচনে আগে প্রত্যেক দলকে তাদের প্যানেল থেকে কারা উচ্চ কক্ষে যাবেন সেটা ঘোষণা করতে হবে যে, আমাদের প্যানেলে এরা আছে। অর্থাৎ বিএনপি জয়ী হলে কারা উচ্চ কক্ষে যাবেন তা জনগণকে জানাতে হবে নির্বাচনের আগে। সেখানে খেলাধুলা করলে চলবে না। নির্বাচনের আগে জানাতে হবে। এটা হচ্ছে স্বচ্ছতা।

বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, চিরস্থায়ী দুর্বৃত্তায়ন ব্যবস্থা চালু করছে তারা (সরকার)। সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে কী, কী দরকার? রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করা। রাষ্ট্রের ব্যাংক, শেয়ারবাজার দখল করা। মেঘা প্রজেক্টের নামে টাকা লুট করা। কারণ তারা অর্থ ও পেশীশক্তি দিয়ে ক্ষমতা থাকতে হবে। তার জন্য একটি গোষ্ঠী দরকার। এই গোষ্ঠীর মধ্যে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী রয়েছে। এরা সবাই মিলে একটি র‌্যাজিম সৃষ্টি করেছে।

একটা কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য স্বাস্থ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ১ শতাংশ জিডিপির ব্যবহার নেই বললেই চলে। কারণ এখানে সরকারের দুর্নীতি বেশি। ফলে দেশের মানুষকে নিজের টাকা খরচ করেই চিকিৎসা নিতে হয়, যা আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ। এসব বিষয়ে সারা দেশে সেমিনার করা জরুরি। কারণ একটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হলে তার প্রাথমিক রোগপ্রতিরোধ শুরু হয়ে যায়। যদি একটি পরিবারের ৫ হাজার টাকা সেভ করা যায় ওই পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যাবে। সেই টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় খরচ করতে পারবে। দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাব সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সরকার মাহবুব আহমেদ শামীমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান।

ঢাকা উত্তর ড্যাবের মহাসচিব ডা. এএসএম মো. মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি হারুন আল রশিদ, মহাসচিব মো. আবদুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।