ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে স্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ সপ্তাহের ব্যবধানে স্থিতিশীল রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ১ সপ্তাহে রিজার্ভ সামান্য হেরফের হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। ইতোমধ্যে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে বাইরের বড় দায় বা কোনো বিদেশি ঋণও পরিশোধ করা হয়নি। ফলে বিদেশি অর্থের মজুতও ক্ষয় হয়নি।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে স্থিতিশীল

আপডেট সময় : ১০:১৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ সপ্তাহের ব্যবধানে স্থিতিশীল রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ১ সপ্তাহে রিজার্ভ সামান্য হেরফের হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। ইতোমধ্যে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে বাইরের বড় দায় বা কোনো বিদেশি ঋণও পরিশোধ করা হয়নি। ফলে বিদেশি অর্থের মজুতও ক্ষয় হয়নি।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।