ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ, বাড়বে লোডশেডিং

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়লার অভাবে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালীর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আজ সোমবার বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে দেশের বৃহত্তম এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়। আজ দুপুরে পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম।

তিনি বলেন, বকেয়ার ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এতে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর আস্থা রেখে কয়লা সরবরাহ শুরু করতে যাচ্ছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। যত দ্রুত কয়লা আনা যায়, তার চেষ্টা চলছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডলার-সংকটে বিল বকেয়া থাকায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের। নতুন করে কয়লা এলে চলতি জুন মাসের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আবার উৎপাদনে ফিরতে পারে।

তিন বছর আগে উৎপাদনে আসে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। তারপর এবারই প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। এতে লোডশেডিং আরও বাড়বে। এর আগে ডলার-সংকটে কয়লা কিনতে না পেরে দুই দফায় বন্ধ হয়েছিল বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন উৎপাদনে রয়েছে।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, কয়লা আসতে অন্তত ২৫ দিন সময় লাগতে পারে। সে হিসাবে জুনের শেষ সপ্তাহে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে পারে। কয়লা আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। আগামী ১২ জুন জাহাজে কয়লা তোলার কথা।

বিসিপিসির দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে এই কেন্দ্র দিনে গড়ে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল। কয়লা না থাকায় গত ২৫ মে কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়। এতে দেশব্যাপী লোডশেডিং বেড়ে যায়।

এরপর ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাকি ইউনিট থেকে দিনে ৩০০ থেকে ৬২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল। এভাবে ২ জুন পর্যন্ত চালানোর কথা ছিল। তবে উৎপাদন কমিয়ে দুই দিন বাড়তি চালানো হয়। এখন উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। এতে লোডশেডিং আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, রোববার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, জ্বালানী সংকটের কারণে সারাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে গ্রাহকদের শংকিত না হয়ে ধৈর্য ধারনের আহ্বান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ, বাড়বে লোডশেডিং

আপডেট সময় : ০৩:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়লার অভাবে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালীর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আজ সোমবার বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে দেশের বৃহত্তম এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়। আজ দুপুরে পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম।

তিনি বলেন, বকেয়ার ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এতে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর আস্থা রেখে কয়লা সরবরাহ শুরু করতে যাচ্ছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। যত দ্রুত কয়লা আনা যায়, তার চেষ্টা চলছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডলার-সংকটে বিল বকেয়া থাকায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের। নতুন করে কয়লা এলে চলতি জুন মাসের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আবার উৎপাদনে ফিরতে পারে।

তিন বছর আগে উৎপাদনে আসে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। তারপর এবারই প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। এতে লোডশেডিং আরও বাড়বে। এর আগে ডলার-সংকটে কয়লা কিনতে না পেরে দুই দফায় বন্ধ হয়েছিল বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন উৎপাদনে রয়েছে।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, কয়লা আসতে অন্তত ২৫ দিন সময় লাগতে পারে। সে হিসাবে জুনের শেষ সপ্তাহে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে পারে। কয়লা আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। আগামী ১২ জুন জাহাজে কয়লা তোলার কথা।

বিসিপিসির দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে এই কেন্দ্র দিনে গড়ে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল। কয়লা না থাকায় গত ২৫ মে কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়। এতে দেশব্যাপী লোডশেডিং বেড়ে যায়।

এরপর ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাকি ইউনিট থেকে দিনে ৩০০ থেকে ৬২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল। এভাবে ২ জুন পর্যন্ত চালানোর কথা ছিল। তবে উৎপাদন কমিয়ে দুই দিন বাড়তি চালানো হয়। এখন উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। এতে লোডশেডিং আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, রোববার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, জ্বালানী সংকটের কারণে সারাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে গ্রাহকদের শংকিত না হয়ে ধৈর্য ধারনের আহ্বান জানান তিনি।