ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইতালিতে রাজশাহীর পেয়ারা ও বরই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাজশাহী ব্যুরো :
কুল বা বরই হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। দেশের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি কুল চাষ হয়। তবে রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বগুড়া, ময়মনসিংহে  ভালো  ও  উন্নত  জাতের কুল চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে অনেক জায়গায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে কুল চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
বরই কাঁচা অবস্থায় সবুজ, আর পাকলে লাল, এ ফলটি প্রায় সবারই খুব প্রিয়। এটি এমন একটি ফল, যেটা কাঁচা হোক বা পাকা হোক, যে কোনো অবস্থাতেই খাওয়ার যায়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, পুষ্টির দিক থেকে প্রায় ১০ প্রকার উপকারিতা রয়েছে এই ফলে। এ কারণে দেশের গন্ডি পেরিয়ে এবার স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আমের পর পেয়ারা ও বরই রপ্তানি শরু হয়েছে।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, গত ৫-৬ বছর ধরে বাঘার আম রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সসহ রাশিয়াতে। সম্পূর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত এই আম ইতোমধ্যে বাঘার সুনাম বয়ে এনেছে। আমের পর এবার রপ্তানি শুরু হয়েছে পেয়ারা ও বরই। আর এটি সম্ভব হয়েছে স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টায়।
সর্বশেষ সোমবার (১৬ জানুয়ারী) এ উপজেলা থেকে ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান “মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনাল ’’এর মাধ্যমে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের সফল শিক্ষিত কৃষক শফিকুল ইসলাম সানা ৫শ’ কেজি পেয়ারা রপ্তানি করেন ইটালিতে। এর পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐ একই কম্পানীর মাধ্যমে শফিকুল ইসলাম সানা ও বাউসা এলাকার তরুন উদ্যোক্তা শাহিন ইকবালের বাগান থেকে রপ্তানি হয় দেড়’শ কেজি করে মোট তিন’শ কেজি থাই বরই।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করা হয়। তারমধ্যে কুল বা বরই হচ্ছে বাংলাদেশে অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। অন্যান্য জেলার চেয়ে স্বাদে ও গুণে ভরপুর বাঘার কুল বরই।কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যাওয়ার কারণে বিদেশে রপ্তানির উপযোগী আম, পেয়ারা ও বরই বাঘায় উৎপাদিত হচ্ছে। এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করেছেন। এর মধ্যে বাঘার পলাশীর চরে ৩০ বিঘা জমিতে পেয়ারা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একসময় চরের এই বালুচটকা জমিতে কোনো আবাদ হতো না। তাঁরা এসব জমি ইজারা নিয়ে ধীরে ধীরে পরিচর্যা করে আবাদে তুলেছেন। এখন এসব জমিতে আম, বরই ও পেয়ারা চাষ করা হচ্ছে। ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। চরের এসব জমিতে পেয়ারা চাষ হওয়ার কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেইসাথে একশ্রেণির মানুষ আধুনিক চাষ শিখে নিয়েছেন।
বা/খ : জই

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইতালিতে রাজশাহীর পেয়ারা ও বরই

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
রাজশাহী ব্যুরো :
কুল বা বরই হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। দেশের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি কুল চাষ হয়। তবে রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বগুড়া, ময়মনসিংহে  ভালো  ও  উন্নত  জাতের কুল চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে অনেক জায়গায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে কুল চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
বরই কাঁচা অবস্থায় সবুজ, আর পাকলে লাল, এ ফলটি প্রায় সবারই খুব প্রিয়। এটি এমন একটি ফল, যেটা কাঁচা হোক বা পাকা হোক, যে কোনো অবস্থাতেই খাওয়ার যায়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, পুষ্টির দিক থেকে প্রায় ১০ প্রকার উপকারিতা রয়েছে এই ফলে। এ কারণে দেশের গন্ডি পেরিয়ে এবার স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আমের পর পেয়ারা ও বরই রপ্তানি শরু হয়েছে।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, গত ৫-৬ বছর ধরে বাঘার আম রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সসহ রাশিয়াতে। সম্পূর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত এই আম ইতোমধ্যে বাঘার সুনাম বয়ে এনেছে। আমের পর এবার রপ্তানি শুরু হয়েছে পেয়ারা ও বরই। আর এটি সম্ভব হয়েছে স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টায়।
সর্বশেষ সোমবার (১৬ জানুয়ারী) এ উপজেলা থেকে ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান “মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনাল ’’এর মাধ্যমে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের সফল শিক্ষিত কৃষক শফিকুল ইসলাম সানা ৫শ’ কেজি পেয়ারা রপ্তানি করেন ইটালিতে। এর পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐ একই কম্পানীর মাধ্যমে শফিকুল ইসলাম সানা ও বাউসা এলাকার তরুন উদ্যোক্তা শাহিন ইকবালের বাগান থেকে রপ্তানি হয় দেড়’শ কেজি করে মোট তিন’শ কেজি থাই বরই।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করা হয়। তারমধ্যে কুল বা বরই হচ্ছে বাংলাদেশে অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। অন্যান্য জেলার চেয়ে স্বাদে ও গুণে ভরপুর বাঘার কুল বরই।কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যাওয়ার কারণে বিদেশে রপ্তানির উপযোগী আম, পেয়ারা ও বরই বাঘায় উৎপাদিত হচ্ছে। এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করেছেন। এর মধ্যে বাঘার পলাশীর চরে ৩০ বিঘা জমিতে পেয়ারা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একসময় চরের এই বালুচটকা জমিতে কোনো আবাদ হতো না। তাঁরা এসব জমি ইজারা নিয়ে ধীরে ধীরে পরিচর্যা করে আবাদে তুলেছেন। এখন এসব জমিতে আম, বরই ও পেয়ারা চাষ করা হচ্ছে। ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। চরের এসব জমিতে পেয়ারা চাষ হওয়ার কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেইসাথে একশ্রেণির মানুষ আধুনিক চাষ শিখে নিয়েছেন।
বা/খ : জই