দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর চালু হলো ট্রেন, কাঁদলেন রেলমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
- / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনার পর লাইন সারিয়ে পুনরায় কবে থেকে ট্রেন চলাচলা শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টা পর বালেশ্বরের রেলপথে আবার গড়াল ট্রেনের চাকা।
রোববার (৪ জুন) রাতে ওই রেলপথ দিয়ে ডাউন লাইনে ট্রেনের পরীক্ষামূলক ট্রায়াল শুরু হয়। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। এর পর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি।
ট্রেন চালুর পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার সকাল থেকে তিনি রয়েছেন বালেশ্বরেই। রেলমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে উৎসাহ দিয়েছেন কর্মীদের কাজে গতি বাড়ানোর। ৫১ ঘণ্টার চেষ্টায় লাইন মেরামত করে আপ ডাউন লাইনে তিনটা মালগাড়ি চালানো হয়েছে।
সোমবার (৫ জুন) ৭টি রেল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় রেলমন্ত্রীর চোখে পানি দেখা যায়।
দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন রেলকর্মীরা। রোববার সন্ধ্যায় রেলমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলপথে রেললাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। ওভারহেড তার লাগানোর কাজ চলছে। সেই কাজ শেষে রোববার ওই রেলপথে ট্রেন চলল।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। মালগাড়ির কামরার উপরে উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন। এই ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও রোববার সকালে মৃতের সংখ্যা ২৭৫ বলে জানিয়েছে ওড়িশা সরকার।
দুর্ঘটনার জেরে ওই পথে ট্রেন পরিষেবা থমকে যায়। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক ট্রেন। শনি ও রবিবারের পর সোম এবং মঙ্গলবারও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন বহু যাত্রী। এই পরিস্থিতিতে ওই রেলপথে যাতে শীঘ্রই পরিষেবা চালু করা যায়, সে দিকে জোর দিয়েছে রেল। সূত্র: আনন্দবাজার