ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুর্গাপুরে রাতের আঁধারে আবাদী জমিতে চলছে  পুকুর খনন

মাসুদ পারভেজ, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে দুর্গাপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়ায়  প্রায় ২৪ বিঘা আবাদি জমি কেটে পুকুর খননে ব্যস্ত একটি প্রভাবশালী মহল। ওই মহল কৃষক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গভীর রাতে পুকুর খনন করছেন। ওই প্রভাবশালী মহলের নিজেদের কোনো জমি নাই। তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারে পুকুর খননের কাজ করছে।
 গোপন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে উক্ত স্থানে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির চিত্র দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরপর ট্রলারে করে বিভিন্ন ভাটায় চলে যাচ্ছে খননকৃত মাটি এতে করে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা ও পরিবেশ।
জানা গেছে, চক্রটির মূলহোতা রোকন ও রবিউল। তারা  উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ  পুকুর খনন করছে।  মাটি বিক্রির উল্লাস করে যাচ্ছে। যেখানে উচ্চ আদালতের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আছে। সেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পুকুর খনন অব্যাহত রাখছে ওই প্রভাবশালী মহল। কে এই রোকন যে নিজের জমি না হলেও অন্যের জমি খননের দায়িত্ব নিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রশাসন ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুরে পরিণত করছে। এমনকি পুরাতন পুকুরগুলি পাড় বাঁধার কথা বলে সেখানকার খননকৃত মাটি বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করে আসছে।
পুকুর খনন স্থলে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, একদিকে পুকুর খননের মাটি বহনকারী গাড়ি রাস্তা নষ্ট করছে। অপরদিকে পাশের আবাদি জমি’র ফসল নষ্ট করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সারারাত পুকুর খননের কাজ চলমান রাখা হয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
ভেকু ড্রাইভার রোকনের নম্বরে কল দিলে রোকন  মিডিয়া কর্মীদের জানায়, আমি ম্যানেজ করে কাজ করছি । তার কাছে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনুমোদন লাগে না আমাদের৷ আমরা দল করি আমরাই তো সব। অনুমোদন কে দিবে৷ প্রশাসন ম্যানেজ সব ম্যানেজ।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা যেয়ে কোন কিছু পাই নাই , কিন্তু এলাকাবাসীর কথায় আমরা জানতে পারি পুকুরের জমিটা দুর্গাপুর ও পবা থানার মাঝামাঝি এলাকায় । এই বিষয়টা কনফার্ম হওয়ার জন্য আমরা পবা থানায় ফোন করলে ওসি সোহরাওয়ার্দী  তাঁর ফোর্স পাঠায় এবং তারা এসে কনফার্ম করে যায় এটা দুর্গাপুর থানার মধ্যে পড়ছে। দুর্গাপুর থানার কোন ফোর্স না  পাঠিয়ে ওসি বলেন আমি ফোর্স পাঠাইছি কোন কিছু চোখে পড়ে নাই।
কথা বললে দুর্গাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে আপনারা আমাকে তথ্য দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্গাপুরে রাতের আঁধারে আবাদী জমিতে চলছে  পুকুর খনন

আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে দুর্গাপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়ায়  প্রায় ২৪ বিঘা আবাদি জমি কেটে পুকুর খননে ব্যস্ত একটি প্রভাবশালী মহল। ওই মহল কৃষক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গভীর রাতে পুকুর খনন করছেন। ওই প্রভাবশালী মহলের নিজেদের কোনো জমি নাই। তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারে পুকুর খননের কাজ করছে।
 গোপন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে উক্ত স্থানে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির চিত্র দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরপর ট্রলারে করে বিভিন্ন ভাটায় চলে যাচ্ছে খননকৃত মাটি এতে করে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা ও পরিবেশ।
জানা গেছে, চক্রটির মূলহোতা রোকন ও রবিউল। তারা  উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ  পুকুর খনন করছে।  মাটি বিক্রির উল্লাস করে যাচ্ছে। যেখানে উচ্চ আদালতের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আছে। সেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পুকুর খনন অব্যাহত রাখছে ওই প্রভাবশালী মহল। কে এই রোকন যে নিজের জমি না হলেও অন্যের জমি খননের দায়িত্ব নিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রশাসন ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুরে পরিণত করছে। এমনকি পুরাতন পুকুরগুলি পাড় বাঁধার কথা বলে সেখানকার খননকৃত মাটি বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করে আসছে।
পুকুর খনন স্থলে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, একদিকে পুকুর খননের মাটি বহনকারী গাড়ি রাস্তা নষ্ট করছে। অপরদিকে পাশের আবাদি জমি’র ফসল নষ্ট করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সারারাত পুকুর খননের কাজ চলমান রাখা হয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
ভেকু ড্রাইভার রোকনের নম্বরে কল দিলে রোকন  মিডিয়া কর্মীদের জানায়, আমি ম্যানেজ করে কাজ করছি । তার কাছে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনুমোদন লাগে না আমাদের৷ আমরা দল করি আমরাই তো সব। অনুমোদন কে দিবে৷ প্রশাসন ম্যানেজ সব ম্যানেজ।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা যেয়ে কোন কিছু পাই নাই , কিন্তু এলাকাবাসীর কথায় আমরা জানতে পারি পুকুরের জমিটা দুর্গাপুর ও পবা থানার মাঝামাঝি এলাকায় । এই বিষয়টা কনফার্ম হওয়ার জন্য আমরা পবা থানায় ফোন করলে ওসি সোহরাওয়ার্দী  তাঁর ফোর্স পাঠায় এবং তারা এসে কনফার্ম করে যায় এটা দুর্গাপুর থানার মধ্যে পড়ছে। দুর্গাপুর থানার কোন ফোর্স না  পাঠিয়ে ওসি বলেন আমি ফোর্স পাঠাইছি কোন কিছু চোখে পড়ে নাই।
কথা বললে দুর্গাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে আপনারা আমাকে তথ্য দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।