ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই লাখ ২৭ হাজার কোটির সংশোধিত এডিপি অনুমোদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। চলতি বছর উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা; যা সংশোধিত এডিপিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকায়।

বুধবার (১ মার্চ) শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ফলে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ টাকা খরচ করতে পারেনি। কোনো মন্ত্রণালয় আবার বৈদেশিক ঋণ ছাড়ও করতে পারেনি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সংশোধিত এডিপিতে দুই লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে না। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়নের এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা অপরিবর্তিত থাকছে। তবে বিদেশি সহায়তা থেকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তাতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকায়। বর্তমানে এডিপিতে এক হাজার ৩৬৩টি প্রকল্প আছে।

সংশোধনের ফলে এডিপির আকার কমছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছর উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের অনুমোদিত এডিপি ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সংশোধিত এডিপিতে পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে প্রায় ৬১ হাজার ৮১০ কোটি টাকা (২৭.১৬ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে প্রায় ৩৮ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা (১৬.৮৪ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি সেক্টরে প্রায় ২৫ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা (১১.৪০ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সেক্টরে প্রায় ২০ হাজার ২৩১ কোটি (৮.৮৯ শতাংশ), শিক্ষা সেক্টরে প্রায় ১৮ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা (৮.১০ শতাংশ), স্বাস্থ্য সেক্টরে প্রায় ১২ হাজার ৭৪৫ কোটি (৫.৬০ শতাংশ)। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ: প্রায় ১২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (৫.৫ শতাংশ), কৃষি সেক্টরে প্রায় ৯ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা (৪.১৩ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা: প্রায় ৪ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা (২.০৬ শতাংশ), ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন সেক্টরে প্রায় ৪ হাজার ২৭১ কোটি টাকা (১.৮৮ শতাংশ) বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ হচ্ছে—স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রায় ৩৯ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা (১৭.৬৮ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রায় ২৯ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা (১৩.৩৬ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা (১১.২৮ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১২ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা (৫.৬৩ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১২ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা (৫.৪৭ শতাংশ), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১১ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা (৫.০৭ শতাংশ), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে প্রায় ৯ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা (৪.৩৭ শতাংশ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৭ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (৩.৪৮ শতাংশ), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে প্রায় ৭ হাজার ২১৮ কোটি টাকা (৩.২৩ শতাংশ) এবং সেতু বিভাগে প্রায় ৭ হাজার ৬৭ কোটি টাকা (৩.১৬ শতাংশ)।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই লাখ ২৭ হাজার কোটির সংশোধিত এডিপি অনুমোদন

আপডেট সময় : ০৫:০৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। চলতি বছর উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা; যা সংশোধিত এডিপিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকায়।

বুধবার (১ মার্চ) শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ফলে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ টাকা খরচ করতে পারেনি। কোনো মন্ত্রণালয় আবার বৈদেশিক ঋণ ছাড়ও করতে পারেনি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সংশোধিত এডিপিতে দুই লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে না। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়নের এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা অপরিবর্তিত থাকছে। তবে বিদেশি সহায়তা থেকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তাতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকায়। বর্তমানে এডিপিতে এক হাজার ৩৬৩টি প্রকল্প আছে।

সংশোধনের ফলে এডিপির আকার কমছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছর উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের অনুমোদিত এডিপি ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সংশোধিত এডিপিতে পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে প্রায় ৬১ হাজার ৮১০ কোটি টাকা (২৭.১৬ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে প্রায় ৩৮ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা (১৬.৮৪ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি সেক্টরে প্রায় ২৫ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা (১১.৪০ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সেক্টরে প্রায় ২০ হাজার ২৩১ কোটি (৮.৮৯ শতাংশ), শিক্ষা সেক্টরে প্রায় ১৮ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা (৮.১০ শতাংশ), স্বাস্থ্য সেক্টরে প্রায় ১২ হাজার ৭৪৫ কোটি (৫.৬০ শতাংশ)। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ: প্রায় ১২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (৫.৫ শতাংশ), কৃষি সেক্টরে প্রায় ৯ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা (৪.১৩ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা: প্রায় ৪ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা (২.০৬ শতাংশ), ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন সেক্টরে প্রায় ৪ হাজার ২৭১ কোটি টাকা (১.৮৮ শতাংশ) বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ হচ্ছে—স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রায় ৩৯ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা (১৭.৬৮ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রায় ২৯ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা (১৩.৩৬ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা (১১.২৮ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১২ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা (৫.৬৩ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১২ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা (৫.৪৭ শতাংশ), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১১ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা (৫.০৭ শতাংশ), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে প্রায় ৯ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা (৪.৩৭ শতাংশ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৭ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (৩.৪৮ শতাংশ), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে প্রায় ৭ হাজার ২১৮ কোটি টাকা (৩.২৩ শতাংশ) এবং সেতু বিভাগে প্রায় ৭ হাজার ৬৭ কোটি টাকা (৩.১৬ শতাংশ)।