ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দখল-দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আত্রাই নদী

শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দখল-দূষণে মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে আত্রাই নদী। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে নদী সিকস্তি ও নদী পয়স্তি জমির জাল কাগজমুলে আত্রাই ভরাট করে নির্মাণ করেছে অসংখ্য ভবনসহ আধাপাঁকা দোকান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদীর তলদেশ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করায় ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদীর চিহৃ অনেক জায়গায় মুছে গেছে। এককালের স্রোতস্বীনি নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।

সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নে ইছামতির স্রোত থেকে আত্রাই নদীর উৎপত্তি। এ নদীটি সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগর এই ৩টি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাসুমদিয়া ইউনিয়নে বাদাই নদীর সাথে মিলিত হয়ে যমুনায় মিশেছে। তবে সাঁথিয়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদীর বেশিরভাগ অংশই দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা। পাবনা-ঢাকা, কাজিরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত জেলার অন্যতম ব্যবসাস্থল কাশিনাথপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আত্রাই নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া তুলছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কাশিনাথপুর ট্রফিক মোড় থেকে কাশিনাথপুর হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার নদী দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় এখানে নদীর কোন অস্তিত্ব আর নেই। কাশিনাথপুর হাটের একাংশে নদীর মাঝখানে নির্মিত ছোট্র ব্রিজের দুই দিকে নদীর এপার ওপার পর্যন্ত পাঁকা সড়কের দু’পাশ ভরাট করে ৪০-৪৫টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে বোঝার উপায় নেই যে এটা এক সময়ের স্রোতস্বীনি আত্রাই নদী। এখানে নদীর মধ্যে বহুতল ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট, আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এ ধারা এখনও চলছে। অন্যদিকে আত্রাই নদীর বদ্ধ জলাশয়টি হাট বাজার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, আত্রাই দখলের শুরু হয় ২০০৩ সালের দিকে। ওই সময় সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারি অর্থে আত্রাই নদীর ওপর ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ শেষ হওয়ার পরপরই রাস্তার দু’পাশে অবৈধভাবে কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। এরপরই দখলের হিড়িক পড়ে যায়। কাশিনাথপুর মোড় থেকে হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত নদীর দু’পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবনসহ শতাধিক পাঁকা ও আধা পাঁকা স্থাপনা। বেশির ভাগ স্থাপনাতেই রয়েছে দোকান, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শতাধিক এ স্থাপনার মালিক হচ্ছে ২০-২৫ জন বলে স্থানীয় প্রভাবশালী।

এলাকাবাসী জানান, ৮০ দশকেও প্রবাহমান আত্রাই নদীর বুকে পাল তোলা পণ্যবোঝাই নৌকার সাড়ি যাতায়াত করতো। বাঘুলপুর, বাদাই, ভাটিকয়া, সাগতা, রানীনগর, মাসুমদিয়া, আমিনপুরসহ বিশাল অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম ছিল আত্রাই নদী। কিন্তু এখন সে সবই অতীত। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনে যৌবণ হারিয়ে এ নদীটি এখন বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।

কাশিনাথপুরের রোস্তম আলী জানান, এক সময় নদীটি চওড়া ও খরস্রোতা থাকলেও এখন কোথাও কোথাও নদীর চিহৃ পর্যন্ত নেই। এখন প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা নিয়ে একটি বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে আত্রাই নদী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কাশিনাথপুরের উজান থেকে নন্দনপুর পর্যন্ত সেঁচ ক্যনেল নির্মাণ করায় আত্রাই নদী স্রোত হারিয়ে মজা পুকুরে রুপ নেয়। অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে সেঁচ ক্যনেল নির্মাণ করায় আত্রাই নদী নব্যতা হারাতে থাকে। এলাকার বয়োবৃদ্ধ জালাল, সুজা মিয়া জানান, প্রায় দুই শতাধিক বছরের পুরনো এ আত্রাই নদীতে ইলিশসহ প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ উঠতো। সে সব এখন অতীত। তারা জানান, প্রশাসনের নজরদারির অভাব ও আইন প্রয়োগ না করায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীর বুকে নির্মাণ করেছে অসংখ্য বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। আবার কোথাও কোথাও ফসলের আবাদ করা হচ্ছে। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকলেও তার প্রয়োগ না থাকায় প্রভাবশালীরা তাই অবাধে নদী দখল করছে।

নদীর জায়গায় স্থাপনাকারী মোহাব্বত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যে জায়গায় সে বাড়ি ও দোকান করেছেন সেটি ১৯৯০ সালে কেনা। জায়গাটি অনেক আগে হাটের জায়গা হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল তবে আগের মালিক আদালতে মামলা করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা হিসেবে রায় পান। আর নদী দখলের অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ নদী তার স্থাপনা থেকে অন্তত ৩০ ফুট দূরে।

সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুরের জালালউদ্দিন মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নদীর ওপর যে সড়ক ও ব্রিজের কথা বলা হচ্ছে তা পুরোপুরি সরকারি। এসএ, ডিএসসহ সরকারি বিভিন্ন রেকর্ডে সড়ক হিসেবে এর উল্লেখ আছে আর সেখানে আমি পৈত্রিক সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মাণ করেছি, নদীর এক ফুট জায়গাও দখল করিনি। তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে নদী দখলের মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন বলে তিনি দাবি করছেন।

এদিকে নদীর ঠিক কি পরিমাণ জায়গা দখল হয়েছে, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। কাশিনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, স্থাপনা নির্মাণের কারণে নদী ছোট হয়ে গেছে এ কথা ঠিক। তবে সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন অংশে সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে। এদিকে কি পরিমাণ জায়গা দখল হয়েছে সে তথ্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নেই বলে তিনি জানান।

সাঁথিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ রিফাতুল হক জানান, যেভাবে নদীটি দখল করা হয়েছে তা দেখে মর্মাহত হয়েছি। নদীটি দখলমুক্ত করতে অতি দ্রুত প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

দখল-দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আত্রাই নদী

আপডেট সময় : ০৬:৩১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

দখল-দূষণে মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে আত্রাই নদী। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে নদী সিকস্তি ও নদী পয়স্তি জমির জাল কাগজমুলে আত্রাই ভরাট করে নির্মাণ করেছে অসংখ্য ভবনসহ আধাপাঁকা দোকান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদীর তলদেশ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করায় ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদীর চিহৃ অনেক জায়গায় মুছে গেছে। এককালের স্রোতস্বীনি নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।

সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নে ইছামতির স্রোত থেকে আত্রাই নদীর উৎপত্তি। এ নদীটি সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগর এই ৩টি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাসুমদিয়া ইউনিয়নে বাদাই নদীর সাথে মিলিত হয়ে যমুনায় মিশেছে। তবে সাঁথিয়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদীর বেশিরভাগ অংশই দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা। পাবনা-ঢাকা, কাজিরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত জেলার অন্যতম ব্যবসাস্থল কাশিনাথপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আত্রাই নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া তুলছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কাশিনাথপুর ট্রফিক মোড় থেকে কাশিনাথপুর হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার নদী দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় এখানে নদীর কোন অস্তিত্ব আর নেই। কাশিনাথপুর হাটের একাংশে নদীর মাঝখানে নির্মিত ছোট্র ব্রিজের দুই দিকে নদীর এপার ওপার পর্যন্ত পাঁকা সড়কের দু’পাশ ভরাট করে ৪০-৪৫টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে বোঝার উপায় নেই যে এটা এক সময়ের স্রোতস্বীনি আত্রাই নদী। এখানে নদীর মধ্যে বহুতল ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট, আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এ ধারা এখনও চলছে। অন্যদিকে আত্রাই নদীর বদ্ধ জলাশয়টি হাট বাজার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, আত্রাই দখলের শুরু হয় ২০০৩ সালের দিকে। ওই সময় সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারি অর্থে আত্রাই নদীর ওপর ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ শেষ হওয়ার পরপরই রাস্তার দু’পাশে অবৈধভাবে কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। এরপরই দখলের হিড়িক পড়ে যায়। কাশিনাথপুর মোড় থেকে হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত নদীর দু’পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবনসহ শতাধিক পাঁকা ও আধা পাঁকা স্থাপনা। বেশির ভাগ স্থাপনাতেই রয়েছে দোকান, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শতাধিক এ স্থাপনার মালিক হচ্ছে ২০-২৫ জন বলে স্থানীয় প্রভাবশালী।

এলাকাবাসী জানান, ৮০ দশকেও প্রবাহমান আত্রাই নদীর বুকে পাল তোলা পণ্যবোঝাই নৌকার সাড়ি যাতায়াত করতো। বাঘুলপুর, বাদাই, ভাটিকয়া, সাগতা, রানীনগর, মাসুমদিয়া, আমিনপুরসহ বিশাল অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম ছিল আত্রাই নদী। কিন্তু এখন সে সবই অতীত। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনে যৌবণ হারিয়ে এ নদীটি এখন বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।

কাশিনাথপুরের রোস্তম আলী জানান, এক সময় নদীটি চওড়া ও খরস্রোতা থাকলেও এখন কোথাও কোথাও নদীর চিহৃ পর্যন্ত নেই। এখন প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা নিয়ে একটি বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে আত্রাই নদী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কাশিনাথপুরের উজান থেকে নন্দনপুর পর্যন্ত সেঁচ ক্যনেল নির্মাণ করায় আত্রাই নদী স্রোত হারিয়ে মজা পুকুরে রুপ নেয়। অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে সেঁচ ক্যনেল নির্মাণ করায় আত্রাই নদী নব্যতা হারাতে থাকে। এলাকার বয়োবৃদ্ধ জালাল, সুজা মিয়া জানান, প্রায় দুই শতাধিক বছরের পুরনো এ আত্রাই নদীতে ইলিশসহ প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ উঠতো। সে সব এখন অতীত। তারা জানান, প্রশাসনের নজরদারির অভাব ও আইন প্রয়োগ না করায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীর বুকে নির্মাণ করেছে অসংখ্য বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। আবার কোথাও কোথাও ফসলের আবাদ করা হচ্ছে। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকলেও তার প্রয়োগ না থাকায় প্রভাবশালীরা তাই অবাধে নদী দখল করছে।

নদীর জায়গায় স্থাপনাকারী মোহাব্বত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যে জায়গায় সে বাড়ি ও দোকান করেছেন সেটি ১৯৯০ সালে কেনা। জায়গাটি অনেক আগে হাটের জায়গা হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল তবে আগের মালিক আদালতে মামলা করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা হিসেবে রায় পান। আর নদী দখলের অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ নদী তার স্থাপনা থেকে অন্তত ৩০ ফুট দূরে।

সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুরের জালালউদ্দিন মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নদীর ওপর যে সড়ক ও ব্রিজের কথা বলা হচ্ছে তা পুরোপুরি সরকারি। এসএ, ডিএসসহ সরকারি বিভিন্ন রেকর্ডে সড়ক হিসেবে এর উল্লেখ আছে আর সেখানে আমি পৈত্রিক সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মাণ করেছি, নদীর এক ফুট জায়গাও দখল করিনি। তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে নদী দখলের মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন বলে তিনি দাবি করছেন।

এদিকে নদীর ঠিক কি পরিমাণ জায়গা দখল হয়েছে, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। কাশিনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, স্থাপনা নির্মাণের কারণে নদী ছোট হয়ে গেছে এ কথা ঠিক। তবে সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন অংশে সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে। এদিকে কি পরিমাণ জায়গা দখল হয়েছে সে তথ্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নেই বলে তিনি জানান।

সাঁথিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ রিফাতুল হক জানান, যেভাবে নদীটি দখল করা হয়েছে তা দেখে মর্মাহত হয়েছি। নদীটি দখলমুক্ত করতে অতি দ্রুত প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।