ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তাপদাহে মাঝে শরবতের দোকানে জনসাধারণের ঢল

রাফিউল ইসলাম, ঝিকরগাছা থেকে
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় অতিরিক্ত তাপদাহে জনজীবনে দুর্ভোগ চরমে ভাবে নেমে এসেছে। ফলে, পথচারীসহ সর্ব শ্রেণি-পেশার মানুষ একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে যাচ্ছেন আইসক্রিম , শরবত ও আখের রসের দোকানে।

অতি তাপদাহের মাঝে ঠান্ডা স্বাদ উপভোগ করতে দলে- দলে  ছুটে আসছেন জনসাধারণ ওইসব দোকানগুলিতে। বিক্রেতারা স্বল্প পুঁজিতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও লেবুর শরবত বিক্রি করে অধিক পরিমাণে লাভবান হওয়ায় তাদের মাঝে উৎফুল্লতা দেখা যাচ্ছে। লেবুর শরবত তৈরি করতে এক খন্ড বরফ, পরিমাণ মতো লবন ও চিনি মিশিয়ে প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ১০-১৫টাকায় বিক্রি করে দৈনিক ১-২ হাজার টাকা আয় করছে শরবত বিক্রেতারা। আখের রস বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ থেকে ১৫ টাকা।

অন্যদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কোমল পানি সেবন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ: রাশিদুল আলম তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, অতিরিক্ত তাপদহের কারণে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, সর্দি কাশি, অ্যাজমা, হাঁপানি ও বয়স্ক দের স্টক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে রৌদ্র থেকে ঠান্ডা জায়গায় অবস্থান করা, ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা এবং পিপাসিত হলে সাধারণ পানি পান করার পরামর্শ দেন। বড় ধরনের কোন সমস্যা দেখা দিলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসে চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।  তবে ঠান্ডা স্বাদ উপভোগ করতে  ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার শরবতের দোকানে।এমই একটি চিত্র দেখা গিয়েছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বেসিক ব্যাংকের সামনে।

শরবত বিক্রেতা হেলাল উদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎকারে শরবত বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরমে  ঠান্ডা পানি ও শরবত সকলের খুব প্রিয় হয়ে ওঠে এজন্য গরমে শরবতের চাহিদা বৃদ্ধি পায় আমি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় শরবত বিক্রি করে আসছি।দ্রব্যমূল্যের উৎপাদন খরচ  ও লেবুর ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছর আগে আমি প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ৫টাকা দরে বিক্রি করেছি তবে এখন এই সকল পন্যের দাম বেশি হওয়ায়  শরবতের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভিড় জমানো ক্রেতাদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন,অতি গরমের মাঝে ঠান্ডা স্বাদ অতুলনীয়। রোদের মধ্যে তাপ সহ্য করার নয় এজন্য কাজের অবসর সময়ে শরবতের ঠান্ডা স্বাদ নিতে আসছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

তাপদাহে মাঝে শরবতের দোকানে জনসাধারণের ঢল

আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় অতিরিক্ত তাপদাহে জনজীবনে দুর্ভোগ চরমে ভাবে নেমে এসেছে। ফলে, পথচারীসহ সর্ব শ্রেণি-পেশার মানুষ একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে যাচ্ছেন আইসক্রিম , শরবত ও আখের রসের দোকানে।

অতি তাপদাহের মাঝে ঠান্ডা স্বাদ উপভোগ করতে দলে- দলে  ছুটে আসছেন জনসাধারণ ওইসব দোকানগুলিতে। বিক্রেতারা স্বল্প পুঁজিতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও লেবুর শরবত বিক্রি করে অধিক পরিমাণে লাভবান হওয়ায় তাদের মাঝে উৎফুল্লতা দেখা যাচ্ছে। লেবুর শরবত তৈরি করতে এক খন্ড বরফ, পরিমাণ মতো লবন ও চিনি মিশিয়ে প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ১০-১৫টাকায় বিক্রি করে দৈনিক ১-২ হাজার টাকা আয় করছে শরবত বিক্রেতারা। আখের রস বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ থেকে ১৫ টাকা।

অন্যদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কোমল পানি সেবন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ: রাশিদুল আলম তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, অতিরিক্ত তাপদহের কারণে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, সর্দি কাশি, অ্যাজমা, হাঁপানি ও বয়স্ক দের স্টক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে রৌদ্র থেকে ঠান্ডা জায়গায় অবস্থান করা, ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা এবং পিপাসিত হলে সাধারণ পানি পান করার পরামর্শ দেন। বড় ধরনের কোন সমস্যা দেখা দিলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসে চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।  তবে ঠান্ডা স্বাদ উপভোগ করতে  ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার শরবতের দোকানে।এমই একটি চিত্র দেখা গিয়েছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বেসিক ব্যাংকের সামনে।

শরবত বিক্রেতা হেলাল উদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎকারে শরবত বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরমে  ঠান্ডা পানি ও শরবত সকলের খুব প্রিয় হয়ে ওঠে এজন্য গরমে শরবতের চাহিদা বৃদ্ধি পায় আমি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় শরবত বিক্রি করে আসছি।দ্রব্যমূল্যের উৎপাদন খরচ  ও লেবুর ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছর আগে আমি প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ৫টাকা দরে বিক্রি করেছি তবে এখন এই সকল পন্যের দাম বেশি হওয়ায়  শরবতের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভিড় জমানো ক্রেতাদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন,অতি গরমের মাঝে ঠান্ডা স্বাদ অতুলনীয়। রোদের মধ্যে তাপ সহ্য করার নয় এজন্য কাজের অবসর সময়ে শরবতের ঠান্ডা স্বাদ নিতে আসছি।