ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তাড়াশে শিক্ষক দম্পত্তির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জাতীয় শিক্ষা পদক ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে তুচ্ছ কারনে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষক দম্পত্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধাইন নগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২মার্চ) তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার সোনাপাতিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষা পদক ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা মাধাইনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্ট শেষে নৃত্য ইভেন্টে সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় মাদারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন পুর্ব বিরোধের জের ধরে সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে নিষেধ করা হলে তার স্বামী ওয়াশিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম কোন কিছু না জেনেই চেয়ারের উপর দিয়ে লাফিয়ে এসে কিল, ঘুষি ও মারধর করে জখম করে। এ সময় অন্য শিক্ষকরা ও অভিভাবক এসে আহত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হাজারো শিক্ষক, ছাত্র ও জনতার সামনে ফাতেমা খাতুন ও আবু হাসেম দম্পত্তি আমাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এ কারনে আমি শিক্ষা অফিসারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পত্তি মাদারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন ও ওয়াশিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম এর বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে একজন প্রধান শিক্ষককে মারধর করা চরম অন্যায় করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবী করছি। ভবিষ্যতে যেন এরকম কর্মকান্ড কেউ করতে সাহস না পায়।

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিয়েছি।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

তাড়াশে শিক্ষক দম্পত্তির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:২৪:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জাতীয় শিক্ষা পদক ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে তুচ্ছ কারনে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষক দম্পত্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধাইন নগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২মার্চ) তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার সোনাপাতিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষা পদক ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা মাধাইনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্ট শেষে নৃত্য ইভেন্টে সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় মাদারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন পুর্ব বিরোধের জের ধরে সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে নিষেধ করা হলে তার স্বামী ওয়াশিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম কোন কিছু না জেনেই চেয়ারের উপর দিয়ে লাফিয়ে এসে কিল, ঘুষি ও মারধর করে জখম করে। এ সময় অন্য শিক্ষকরা ও অভিভাবক এসে আহত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হাজারো শিক্ষক, ছাত্র ও জনতার সামনে ফাতেমা খাতুন ও আবু হাসেম দম্পত্তি আমাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এ কারনে আমি শিক্ষা অফিসারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পত্তি মাদারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন ও ওয়াশিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম এর বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে একজন প্রধান শিক্ষককে মারধর করা চরম অন্যায় করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবী করছি। ভবিষ্যতে যেন এরকম কর্মকান্ড কেউ করতে সাহস না পায়।

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিয়েছি।

 

বা/খ: জই