ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শারদীয় দুর্গাপূজায় হাতি নাচের খরচ দিতে হতো প্রজাদের

তাঁতিবন্দ জমিদার বিজয় গোবিন্দ সিপাহী বিদ্রোহে ইংরেজদের সাহায্য করেছিল

শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঔপনিবেশিক শাসনামলে জমিদারগণ বিভিন্ন প্রয়োজনে গ্রামাঞ্চলে নতুন প্রাসাদ্যেপম ভবন নির্মাণ করতেন। এর ফলে বিকাশ লাভ করে নতুন ধরনের স্থাপত্য, যা বৈশিষ্ঠ ও বৈচিত্রে তখনকার দিনে ছিল অভিনব। তাতে যুগ যুগ ধরে চর্চিত বাংলার স্থাপত্যরীতির সঙ্গেযুক্ত হয় মুঘল ও নিওক্লসিক্যাল স্থপত্যশিল্প। পাবনা জেলার তাঁতিবন্দের জমিদার বাড়ি অনুরুপ এটি স্থাপত্য নিদর্শন। আসলে এসব ভবন ছিল জমিদারদের নিজ নিজ এলাকার শাসনকাজ পরিচালনার কেন্দ্রস্থল।

বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর সময়ে তাঁতিবন্দের জমিদারী বেশি সুখ্যাতি অর্জন করে। তিনি ছিলেন একজন সৌখিন মেজাজের জমিদার। বিজয় বাবু প্রখ্যাত একজন শিকারী ছিলেন। ইংরেজদের সাথে তাঁর গভীর সখ্য ছিল। তার আমন্ত্রনে ভারতের গভর্ণর জেনারেল লর্ডমেন্ড (১৮৬৯-৭২) শিকারে এসেছিলেন তাঁতিবন্দে। বিজয় গোবিন্দের সময়কালে শারদীয় পূজায় তাঁর কাচারি বাড়িতে হাতির নাচ হতো। তিনি ’হাতি নাচের খরচ’ আদায় করতেন প্রজাদের কাছ থেকে।

সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিজয় গোবিন্দ ইংরেজ সরকারকে সাহায্য করেছিলেন। যে কারণে গভর্ণর ফ্রেডারিক হ্যালিডে (১৮৫৪-১৮৫৮) তাকে প্রশংসিত করেছিলেন। নীল কমিশনের সময়ে বিনা পাসে দু’টি কামান ও বন্দুক রাখার সরকারী অনুমোদন লাভ করেন।

তাঁতিবন্দের জমিদারির সমৃদ্ধির সময়ে পাবনা অঞ্চলের প্রতিচ্ছবি প্রত্যক্ষ করা যেত, যা কবিতাতে স্থান করে নিয়েছে। পাবনার পরিচয় দেশের গৌরব ভূমি/বঙ্গের আদর্শ পল্লী , বিজয়ের বাসভূমি।

কালের বিবর্তনে তাঁতিবন্দের জমিদার বাড়ি আজ ধ্বংসস্তুপে পরিনত হচ্ছে। প্রবীণ লোকজন বলে, বিজয় গোবিন্দের বৈমাত্রেয় ভাই অভয় গোবিন্দ এই বাড়ির সামনে একটি সুউঁচ্চ দোলমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন , যা প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে দৃষ্টিগোচর হতো। ইদানিং তার কোন স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না।

ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে জানা যায় ,পাবনা সদর থেকে ১২ মাইল পূর্বে সুজানগর থানার উত্তর-পূর্ব দিকে তাঁতিবন্দ জমিদারবাড়ি অবস্থিত। তাঁতিবন্দের জমিদারদের আদি বাসস্থান ছিল চাটমোহরের বোঁথড় গ্রামে। উপেন্দ্রনারায়ন চৌধুরির বাবার নাম রাধাবল্লব। উপধি ছিল স্যান্যাল। এক সময় দারিদ্রের তাড়নায় চাটমোহর হতে সুজানগরের চন্ডিপুর গ্রামে বসতি গড়ে তোলে। উপেন্দ্র নারায়ণ বিভিন্ন ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করে এবং নাটোর কালেক্টরির সেরেস্তাদার হন। তাঁর পুত্র এবং পৌত্র যথাক্রমে গঙ্গা গোবিন্দ ও গুরু গোবন্দি চৌধরী তাঁতিবন্দের ভবানীপুরের নন্দী ও হেমরাজপুরের সরকার উপাধিধারী কায়স্থ জমিদারদের সকল সম্পত্তি ক্রয় করে নেন। সে সময় থেকে হেমরাজপুরের সরকারবাড়ির শিবমূর্তি দুটি তাঁতিবন্দের জমিদারবাড়ির প্রবেশপথে স্থাপন করা হয়। এ মূর্তি দুটি নিঃসন্দেহে প্রবেশদ্বারের শোভা বর্ধন করেছিল।

এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা উপেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী শেষ জীবন গোবিন্দ জিউর পূজা ও সেবায় আত্মনিয়োগ করে যান। তিনি এই গোবিন্দ বিগ্রহের –’নাম ও রুপ হৃদয়ে জাগরুক রাখবার জন্য তাঁহার বংশীয়গণের নামের সহিত প্রিয়তম আরাধ্য দেবতা ’গোবিন্দ’ বিগ্রহের নাম যোগ করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সেই থেকে বংশীয় প্রত্যেকের নামের শেষে গোবিন্দ নাম সংযুক্ত আছে।

এ-জমিদার বংশে বহু বিবাহ প্রথাও চালু ছিল। উপেন্দ্রনারায়ণ ও তাঁর বংশধররা অনেক কুলীন ব্রাক্ষণকে স্থাবর সম্পত্তি দান করে এবং বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে তাঁতিবন্দে লাহিড়ী, বাগচী, রায়, মৈত্রী উপাধিক ব্রাক্ষণদের আবাসভূমি গড়ে তোলেন।

গঙ্গা গোবিন্দ চৌধুরী তাঁর তিন পুত্রের মাধ্যেই প্রথম জমিদারী বন্টন করেন। গঙ্গা গোবিন্দের প্রথম পক্ষের পুত্র বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর বংশধর বড় তরফ , দ্বিতীয় পক্ষের অভয় গোবিন্দের বংশধর খুজা তরফ এবং দূর্গা গোবিন্দের বংশধর মধ্যম তরফ ও বরদা গোবিন্দ চৌধুরীর বংশধর ছোট তরফ বলে চিহ্নিত ।

তবে পুুত্র তিন জনের মধ্যে বরদা গোবিন্দ ও দূর্গা গোবিন্দ ছিলেন নিঃসন্তান। তাদের বিধবা স্ত্রী চন্দ্রামণি ও মনমোহনীর সাথে গৃহীত দত্তকদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমায় জমিদার বংশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বিজয় গোবিন্দের বৈমাত্রেয় ভাই অভয় গোবিন্দ চৌধুরী পাবনা শহরে রাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে সিলভার জুবিলী পূর্তিতে (১৮৮৭) একটি আদর্শ জলাশয়ের জন্যে যে স্থান দান করেন তা লক্ষীনাথ প্রামানিকের অর্থে খনন করা হয়। বর্তমানে এটি’ লক্ষীসাগর বা জুবলী ট্যাঙ্ক’ নামে পরিচিত।

অভয় চৌধুরী মহাশয়ের দানে পাবনা হাসপাতালের কলেরা ওয়ার্ড এবং নিজ বাসভবনে ১২৯০ বঙ্গাব্দে ’পাবনা ব্যাংক লিমিটেড’ নামে প্রথম ব্যাংক চালু করেন। ১৮৬৯ সালে এক হাজার টাকা ব্যয়ে চৌধুরী বাবুরা দোগাছী থেকে তাঁতিবন্দ পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মান করেন।

উপেন্দ্রনারায়ণের দৌহিত্র বরদা গোবিন্দ চৌধুরীর দত্তকপুত্র অন্নদা গোবিন্দ চৌধুরী (১৮৯০) তের শতক জায়গার ওপর নিজ নামে পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করেন। যা কালের ইতিহাসে এক অবিস্বরণীয় সেতু বন্ধন তৈরী করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অন্নদা আত্মজীবনী ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাঁতিবন্দের জমিদার বংশের বিদ্যানুরাগী অন্নদা গোবিন্দের প্রতিষ্ঠিত এক তলার দু’ কক্ষ বিশিষ্ট লাইব্রেরী ভবনটি সংস্কার করা হয়। ২৫, নভেম্বর ২০০২ সালে চতুর্থ তলা বিশিষ্ট নব নির্মিত ভবনের সমস্ত ব্যয় বহন করেন তৎকালীন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরী। পাবনা শহরে এই জমিদার পরিবারের অনেক অবদান দৃশ্যমান এবং লক্ষনীয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শারদীয় দুর্গাপূজায় হাতি নাচের খরচ দিতে হতো প্রজাদের

তাঁতিবন্দ জমিদার বিজয় গোবিন্দ সিপাহী বিদ্রোহে ইংরেজদের সাহায্য করেছিল

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

ঔপনিবেশিক শাসনামলে জমিদারগণ বিভিন্ন প্রয়োজনে গ্রামাঞ্চলে নতুন প্রাসাদ্যেপম ভবন নির্মাণ করতেন। এর ফলে বিকাশ লাভ করে নতুন ধরনের স্থাপত্য, যা বৈশিষ্ঠ ও বৈচিত্রে তখনকার দিনে ছিল অভিনব। তাতে যুগ যুগ ধরে চর্চিত বাংলার স্থাপত্যরীতির সঙ্গেযুক্ত হয় মুঘল ও নিওক্লসিক্যাল স্থপত্যশিল্প। পাবনা জেলার তাঁতিবন্দের জমিদার বাড়ি অনুরুপ এটি স্থাপত্য নিদর্শন। আসলে এসব ভবন ছিল জমিদারদের নিজ নিজ এলাকার শাসনকাজ পরিচালনার কেন্দ্রস্থল।

বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর সময়ে তাঁতিবন্দের জমিদারী বেশি সুখ্যাতি অর্জন করে। তিনি ছিলেন একজন সৌখিন মেজাজের জমিদার। বিজয় বাবু প্রখ্যাত একজন শিকারী ছিলেন। ইংরেজদের সাথে তাঁর গভীর সখ্য ছিল। তার আমন্ত্রনে ভারতের গভর্ণর জেনারেল লর্ডমেন্ড (১৮৬৯-৭২) শিকারে এসেছিলেন তাঁতিবন্দে। বিজয় গোবিন্দের সময়কালে শারদীয় পূজায় তাঁর কাচারি বাড়িতে হাতির নাচ হতো। তিনি ’হাতি নাচের খরচ’ আদায় করতেন প্রজাদের কাছ থেকে।

সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিজয় গোবিন্দ ইংরেজ সরকারকে সাহায্য করেছিলেন। যে কারণে গভর্ণর ফ্রেডারিক হ্যালিডে (১৮৫৪-১৮৫৮) তাকে প্রশংসিত করেছিলেন। নীল কমিশনের সময়ে বিনা পাসে দু’টি কামান ও বন্দুক রাখার সরকারী অনুমোদন লাভ করেন।

তাঁতিবন্দের জমিদারির সমৃদ্ধির সময়ে পাবনা অঞ্চলের প্রতিচ্ছবি প্রত্যক্ষ করা যেত, যা কবিতাতে স্থান করে নিয়েছে। পাবনার পরিচয় দেশের গৌরব ভূমি/বঙ্গের আদর্শ পল্লী , বিজয়ের বাসভূমি।

কালের বিবর্তনে তাঁতিবন্দের জমিদার বাড়ি আজ ধ্বংসস্তুপে পরিনত হচ্ছে। প্রবীণ লোকজন বলে, বিজয় গোবিন্দের বৈমাত্রেয় ভাই অভয় গোবিন্দ এই বাড়ির সামনে একটি সুউঁচ্চ দোলমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন , যা প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে দৃষ্টিগোচর হতো। ইদানিং তার কোন স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না।

ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে জানা যায় ,পাবনা সদর থেকে ১২ মাইল পূর্বে সুজানগর থানার উত্তর-পূর্ব দিকে তাঁতিবন্দ জমিদারবাড়ি অবস্থিত। তাঁতিবন্দের জমিদারদের আদি বাসস্থান ছিল চাটমোহরের বোঁথড় গ্রামে। উপেন্দ্রনারায়ন চৌধুরির বাবার নাম রাধাবল্লব। উপধি ছিল স্যান্যাল। এক সময় দারিদ্রের তাড়নায় চাটমোহর হতে সুজানগরের চন্ডিপুর গ্রামে বসতি গড়ে তোলে। উপেন্দ্র নারায়ণ বিভিন্ন ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করে এবং নাটোর কালেক্টরির সেরেস্তাদার হন। তাঁর পুত্র এবং পৌত্র যথাক্রমে গঙ্গা গোবিন্দ ও গুরু গোবন্দি চৌধরী তাঁতিবন্দের ভবানীপুরের নন্দী ও হেমরাজপুরের সরকার উপাধিধারী কায়স্থ জমিদারদের সকল সম্পত্তি ক্রয় করে নেন। সে সময় থেকে হেমরাজপুরের সরকারবাড়ির শিবমূর্তি দুটি তাঁতিবন্দের জমিদারবাড়ির প্রবেশপথে স্থাপন করা হয়। এ মূর্তি দুটি নিঃসন্দেহে প্রবেশদ্বারের শোভা বর্ধন করেছিল।

এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা উপেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী শেষ জীবন গোবিন্দ জিউর পূজা ও সেবায় আত্মনিয়োগ করে যান। তিনি এই গোবিন্দ বিগ্রহের –’নাম ও রুপ হৃদয়ে জাগরুক রাখবার জন্য তাঁহার বংশীয়গণের নামের সহিত প্রিয়তম আরাধ্য দেবতা ’গোবিন্দ’ বিগ্রহের নাম যোগ করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সেই থেকে বংশীয় প্রত্যেকের নামের শেষে গোবিন্দ নাম সংযুক্ত আছে।

এ-জমিদার বংশে বহু বিবাহ প্রথাও চালু ছিল। উপেন্দ্রনারায়ণ ও তাঁর বংশধররা অনেক কুলীন ব্রাক্ষণকে স্থাবর সম্পত্তি দান করে এবং বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে তাঁতিবন্দে লাহিড়ী, বাগচী, রায়, মৈত্রী উপাধিক ব্রাক্ষণদের আবাসভূমি গড়ে তোলেন।

গঙ্গা গোবিন্দ চৌধুরী তাঁর তিন পুত্রের মাধ্যেই প্রথম জমিদারী বন্টন করেন। গঙ্গা গোবিন্দের প্রথম পক্ষের পুত্র বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর বংশধর বড় তরফ , দ্বিতীয় পক্ষের অভয় গোবিন্দের বংশধর খুজা তরফ এবং দূর্গা গোবিন্দের বংশধর মধ্যম তরফ ও বরদা গোবিন্দ চৌধুরীর বংশধর ছোট তরফ বলে চিহ্নিত ।

তবে পুুত্র তিন জনের মধ্যে বরদা গোবিন্দ ও দূর্গা গোবিন্দ ছিলেন নিঃসন্তান। তাদের বিধবা স্ত্রী চন্দ্রামণি ও মনমোহনীর সাথে গৃহীত দত্তকদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমায় জমিদার বংশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বিজয় গোবিন্দের বৈমাত্রেয় ভাই অভয় গোবিন্দ চৌধুরী পাবনা শহরে রাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে সিলভার জুবিলী পূর্তিতে (১৮৮৭) একটি আদর্শ জলাশয়ের জন্যে যে স্থান দান করেন তা লক্ষীনাথ প্রামানিকের অর্থে খনন করা হয়। বর্তমানে এটি’ লক্ষীসাগর বা জুবলী ট্যাঙ্ক’ নামে পরিচিত।

অভয় চৌধুরী মহাশয়ের দানে পাবনা হাসপাতালের কলেরা ওয়ার্ড এবং নিজ বাসভবনে ১২৯০ বঙ্গাব্দে ’পাবনা ব্যাংক লিমিটেড’ নামে প্রথম ব্যাংক চালু করেন। ১৮৬৯ সালে এক হাজার টাকা ব্যয়ে চৌধুরী বাবুরা দোগাছী থেকে তাঁতিবন্দ পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মান করেন।

উপেন্দ্রনারায়ণের দৌহিত্র বরদা গোবিন্দ চৌধুরীর দত্তকপুত্র অন্নদা গোবিন্দ চৌধুরী (১৮৯০) তের শতক জায়গার ওপর নিজ নামে পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করেন। যা কালের ইতিহাসে এক অবিস্বরণীয় সেতু বন্ধন তৈরী করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অন্নদা আত্মজীবনী ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাঁতিবন্দের জমিদার বংশের বিদ্যানুরাগী অন্নদা গোবিন্দের প্রতিষ্ঠিত এক তলার দু’ কক্ষ বিশিষ্ট লাইব্রেরী ভবনটি সংস্কার করা হয়। ২৫, নভেম্বর ২০০২ সালে চতুর্থ তলা বিশিষ্ট নব নির্মিত ভবনের সমস্ত ব্যয় বহন করেন তৎকালীন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরী। পাবনা শহরে এই জমিদার পরিবারের অনেক অবদান দৃশ্যমান এবং লক্ষনীয়।