তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না : মীর্জা ফখরুল
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী ব্যুরো :
তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। সেই তত্ববধায়ক সরকারের অধিনে পাচটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এখন সেই তত্ববাধায়ক সরকারকে তারা ভয় পায়। শনিবার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে এ সব কথা বলেন মীর্জ ফখরুল।
নির্ধারিত সময়ের সাড়ে চার ঘন্টা আগে শনিবার স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় সমাবেশে। দুপুর দেড়টার দিকে মঞ্চে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। নেতারা মঞ্চে আসলে কড়তালিতে মুখর হয়ে উঠে সমাবেশস্থল। এর আগে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা মাঠে জড় হয়। দুপুরের মধ্যে অর্ধেকের বেশী পুর্ণ হয়ে যায় মাঠ। বিকেল চারটার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মীর্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, এবারের আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে সমস্ত দল অংশগ্রহণ করবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে। নির্বাচনে জয়ী দলের সমন্বয়ে তারেক রহমানের জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণাও দেন তিনি ।
আগামি ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের নিজের প্রতি আস্থা নাই, জনগণের প্রতিও আস্থা নাই। এজন্য তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিতে চায়না। তারা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ দেখে ভয় পেয়েছে। আমরা তাদের বলতে চাই, বিএনপির বহু সমাবেশ নয়াপল্টনে করেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সমাবেশ করেছি। তখন তো কোনো সমস্যা হয়নি।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশার সভাপতিত্বে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী টুকু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
সমাবেশে হলুদ টুপি উচিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে হলুদ কার্ড দেখানোর ঘোষণা দিয়ে “এবার খেলা হবে” বলে উল্লেখ্য করেন বিএনপি নেতারা। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন আরও বেগমান করার জন্য কর্মীদের প্রতি আহবান জানান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বা/খ:জই