ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত, সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সম পর্যায়ের বিচারকদের জন্য ১০ ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে এমন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবী জানাচ্ছে তা উচ্চ আদালত অনেক আগেই অবৈধ ঘোষণা করেছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে হলে যে সমস্ত দফতর দায়িত্ব পালন করে তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে দুজন বিচারক অপসারণের বিষয়ে কড়া প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কারো চাপের মুখে বিচারক অপসারণ করা হবে না। দেশের আইন ব্যবস্থা স্বাধীন। তাই বিচারক নিয়োগ ও বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাই নেবে।

আইনমন্ত্রী বিচারকদের আশ্বস্ত করে বলেন, যারা অপরাধ করেছেন তাদের বিচার হবে। যারা নির্দোষ তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারও দাবির মুখে কোনও বিচারককে বদলি করা হবে না। এটা আমরা কিছুতেই করবো না। কারণ এতে ন্যায় বিচার ব্যাহত হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে আইনজীবী ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও তার ক্লায়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হন। কারণ বিচারকের হাতে কলম থাকে। এটা আইনজীবীদের মাথায় রাখতে হবে। এ কারণে বিচারকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

তিনি বলেন বার ও বেঞ্চ একটি পরিবার। এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে স্বাভাবিক। এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি একজন আইনজীবী। আমি মনে করি একজন বিচারকের প্রতি সম্মান এটা স্বাভাবিকভাবে আসা উচিত। বার ও বেঞ্চের ভালো সম্পর্ক ছাড়া সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পায় না। সম্প্রতি বার ও বেঞ্চের মধ্যে কিছুটা অসহিংসতা লক্ষ্য করছি। এটা কাম্য নয়।

তিনি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, সমস্যা সমাধানে বিচারকদের বড় ভাইয়ের ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে সমস্যা কমে আসবে। সমস্যা হলে তা ব্যক্তি পর্যায়ে সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ।

কর্মশালার উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রপতির তালিকায় আইনমন্ত্রীর নাম আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনও গুজবে কান দেবেন না।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে কর্মশালায় আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য রাখেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত, সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সম পর্যায়ের বিচারকদের জন্য ১০ ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে এমন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবী জানাচ্ছে তা উচ্চ আদালত অনেক আগেই অবৈধ ঘোষণা করেছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে হলে যে সমস্ত দফতর দায়িত্ব পালন করে তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে দুজন বিচারক অপসারণের বিষয়ে কড়া প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কারো চাপের মুখে বিচারক অপসারণ করা হবে না। দেশের আইন ব্যবস্থা স্বাধীন। তাই বিচারক নিয়োগ ও বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাই নেবে।

আইনমন্ত্রী বিচারকদের আশ্বস্ত করে বলেন, যারা অপরাধ করেছেন তাদের বিচার হবে। যারা নির্দোষ তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারও দাবির মুখে কোনও বিচারককে বদলি করা হবে না। এটা আমরা কিছুতেই করবো না। কারণ এতে ন্যায় বিচার ব্যাহত হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে আইনজীবী ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও তার ক্লায়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হন। কারণ বিচারকের হাতে কলম থাকে। এটা আইনজীবীদের মাথায় রাখতে হবে। এ কারণে বিচারকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

তিনি বলেন বার ও বেঞ্চ একটি পরিবার। এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে স্বাভাবিক। এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি একজন আইনজীবী। আমি মনে করি একজন বিচারকের প্রতি সম্মান এটা স্বাভাবিকভাবে আসা উচিত। বার ও বেঞ্চের ভালো সম্পর্ক ছাড়া সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পায় না। সম্প্রতি বার ও বেঞ্চের মধ্যে কিছুটা অসহিংসতা লক্ষ্য করছি। এটা কাম্য নয়।

তিনি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, সমস্যা সমাধানে বিচারকদের বড় ভাইয়ের ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে সমস্যা কমে আসবে। সমস্যা হলে তা ব্যক্তি পর্যায়ে সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ।

কর্মশালার উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রপতির তালিকায় আইনমন্ত্রীর নাম আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনও গুজবে কান দেবেন না।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে কর্মশালায় আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য রাখেন।