ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক : বিদেশি পর্যবেক্ষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা টেরি এল ইসলে। দেশের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করে না বলেও মত দেন এই বিদেশি পর্যবেক্ষক।

আজ রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের বৈঠক শেষে সংগঠনটির বিদেশি প্রতিনিধি টেরি এল ইলসে সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে জানিয়ে ইলসে বলেন, যদিও এটি ভালো আইডিয়া হয়ে থাকে, যদি তারা (ইসি) এটা করতেও চায়, তারা এটা করতে পারবে না। কারণ এটি করার কোনো আইনি কাঠামো নেই, এই মুহূর্তে এটা করা সম্ভব নয়।’

আমেরিকা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না উল্লেখ করে টেরি এল ইসলে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দলের সদস্য হিসেবে আমরা মনে করি, এই সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।’

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচন সম্পর্কে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা জানতে চেয়েছেন বলে জানান ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আসতে চাইছেন। এ বিষয়ে ইসির বিধিমালা জানতে চেয়েছেন। ইসি আশ্বস্ত করেছে পর্যবেক্ষকরা ভোটের আগে ও পরে আসতে পারবেন। কমিশন থেকে কোনো বাধা নেই।’

আবেদ আলী আরও বলেন, ‘প্রতিনিধিরা ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের ওপরে হামলায় ইসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন। কমিশন এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যারা হামলা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেহেতু অসাংবিধানিক, সেই বিষয়ে (প্রতিনিধি) ওনাদের কোনো আগ্রহ নেই জানিয়ে আবেদ আলী বলেন, ‘উনারা বলেছেন সংবিধানে যেটা আছে সেইটার আলোকেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কমিশনের যে আইন আছে, সেটার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন ইসিকে সাপোর্ট দেয় এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করলে, এই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এটা ওনারা আশা প্রকাশ করেছেন।’

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সাক্ষাতকে সৌজন্য সাক্ষাৎ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন কি না, আসতে হলে তাদের কী করণীয়, এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত আলোচনা হয়েছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন আয়োজন করবে, কীভাবে কাজ করবে, অতি সম্প্রতি একটি সিটি করপোরেশন ও একটি সংসদের উপনির্বাচনে ছোটখাটো যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে প্রার্থীদেরকে আক্রমণ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে এই বিষয়গুলো তারা জানতে চেয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যদি আসতে চায়, তাহলে স্বাগত জানানো হবে। তবে অবশ্যই তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে হবে।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রতিনিধি দলে জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু ও চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক : বিদেশি পর্যবেক্ষক

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা টেরি এল ইসলে। দেশের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করে না বলেও মত দেন এই বিদেশি পর্যবেক্ষক।

আজ রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের বৈঠক শেষে সংগঠনটির বিদেশি প্রতিনিধি টেরি এল ইলসে সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে জানিয়ে ইলসে বলেন, যদিও এটি ভালো আইডিয়া হয়ে থাকে, যদি তারা (ইসি) এটা করতেও চায়, তারা এটা করতে পারবে না। কারণ এটি করার কোনো আইনি কাঠামো নেই, এই মুহূর্তে এটা করা সম্ভব নয়।’

আমেরিকা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না উল্লেখ করে টেরি এল ইসলে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দলের সদস্য হিসেবে আমরা মনে করি, এই সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।’

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচন সম্পর্কে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা জানতে চেয়েছেন বলে জানান ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আসতে চাইছেন। এ বিষয়ে ইসির বিধিমালা জানতে চেয়েছেন। ইসি আশ্বস্ত করেছে পর্যবেক্ষকরা ভোটের আগে ও পরে আসতে পারবেন। কমিশন থেকে কোনো বাধা নেই।’

আবেদ আলী আরও বলেন, ‘প্রতিনিধিরা ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের ওপরে হামলায় ইসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন। কমিশন এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যারা হামলা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেহেতু অসাংবিধানিক, সেই বিষয়ে (প্রতিনিধি) ওনাদের কোনো আগ্রহ নেই জানিয়ে আবেদ আলী বলেন, ‘উনারা বলেছেন সংবিধানে যেটা আছে সেইটার আলোকেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কমিশনের যে আইন আছে, সেটার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন ইসিকে সাপোর্ট দেয় এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করলে, এই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এটা ওনারা আশা প্রকাশ করেছেন।’

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সাক্ষাতকে সৌজন্য সাক্ষাৎ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন কি না, আসতে হলে তাদের কী করণীয়, এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত আলোচনা হয়েছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন আয়োজন করবে, কীভাবে কাজ করবে, অতি সম্প্রতি একটি সিটি করপোরেশন ও একটি সংসদের উপনির্বাচনে ছোটখাটো যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে প্রার্থীদেরকে আক্রমণ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে এই বিষয়গুলো তারা জানতে চেয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যদি আসতে চায়, তাহলে স্বাগত জানানো হবে। তবে অবশ্যই তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে হবে।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রতিনিধি দলে জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু ও চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।