ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টুঙ্গিপাড়া থেকে খুলনার পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদিনের ব্যক্তিগত সফরের প্রথম দিন শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় সড়কপথে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি থেকে জানা যায়, এক ঘণ্টার যাত্রা শেষে বিকেল ৩টার দিকে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় প্রধানমন্ত্রী তার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা দুটি পাট গুদাম পরিদর্শন করবেন। ব্যক্তিগত এ সফরে বোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুরো খুলনা নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে খুলনা সফরে তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন কি না, তা জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর এ খুলনা সফর ফিরে সেখানকার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে খুশির বান ডেকেছে।

আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর কেনা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ৪ বিঘা জমি আছে। সেই সম্পত্তিতে আছে গোডাউন, যা এখন ‘শেখ হাসিনার গোডাউন’ নামে পরিচিত।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাটের গোডাউন ও এক কক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। শেখ হাসিনা এ জমির কথা জানতেন না। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাটের গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউস। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।

এ সফরে নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে রাতেই টুঙ্গিপাড়ায় প্রত্যাবর্তন এবং টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন শেখ হাসিনা।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৮টায় রাজধানীর গণভবন থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বেলা পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছায়।

পরে বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। জিয়ারত শেষে পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন তারা।

এদিকে এই সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এদিন দুপুর ২টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হবে দলের নতুন জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

টুঙ্গিপাড়া থেকে খুলনার পথে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদিনের ব্যক্তিগত সফরের প্রথম দিন শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় সড়কপথে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি থেকে জানা যায়, এক ঘণ্টার যাত্রা শেষে বিকেল ৩টার দিকে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় প্রধানমন্ত্রী তার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা দুটি পাট গুদাম পরিদর্শন করবেন। ব্যক্তিগত এ সফরে বোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুরো খুলনা নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে খুলনা সফরে তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন কি না, তা জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর এ খুলনা সফর ফিরে সেখানকার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে খুশির বান ডেকেছে।

আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর কেনা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ৪ বিঘা জমি আছে। সেই সম্পত্তিতে আছে গোডাউন, যা এখন ‘শেখ হাসিনার গোডাউন’ নামে পরিচিত।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাটের গোডাউন ও এক কক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। শেখ হাসিনা এ জমির কথা জানতেন না। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাটের গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউস। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।

এ সফরে নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে রাতেই টুঙ্গিপাড়ায় প্রত্যাবর্তন এবং টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন শেখ হাসিনা।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৮টায় রাজধানীর গণভবন থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বেলা পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছায়।

পরে বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। জিয়ারত শেষে পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন তারা।

এদিকে এই সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এদিন দুপুর ২টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হবে দলের নতুন জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভা।