ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঝটিকা অভিযানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেখলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সরকারি কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) ঝটিকা অভিযান চালিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এসময় তিনি সেখানে শত শত কার্টন ভর্তি নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং নানা বিষয়ে অনিয়ম দেখতে পান।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত পুরো প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমকে ডেকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত কোন কর্মকর্তাকে কোথায় যাচ্ছেন তা না জানিয়ে এবং সিএমএসডির কাউকেই আগে থেকে কিছু অবগত না করেই ঝটিকা অভিযানে যান সামন্ত সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিএমএসডিতে গিয়ে প্রায় ৩৫ মিনিট পুরো স্টোরেজ ঘুরে দেখেন এবং সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় সেখানে শত শত কার্টুন ভর্তি নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং নানা বিষয়ে অনিয়ম দেখতে পান। নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবার পণ্য সেখানে অনেক দিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

অনেক জরুরি পণ্য অব্যবহৃত অবস্থায় সেখানে মেয়াদ শেষ হয়ে গেল কীভাবে তা উপস্থিত সিএমএসডিতে কর্মরত ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অধিকাংশ প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি উপস্থিত সিএমএসডি কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব অনিয়ম দেখে স্টোরেজের সব মালামালের তালিকাসহ, কোন মালামাল কত তারিখে ডেলিভারি হয়েছে এবং আগামীতে কোন পণ্য কবে ডেলিভারি করা হবে সেগুলোসহ, কেন এত বিরাট সংখ্যক মালামাল নষ্ট হয়ে পড়ে আছে তার কারন জানিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমকে এই রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ে সংগ্রহ করে রিপোর্ট অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে একটি জরুরি মিটিং করার কথা জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঝটিকা অভিযানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেখলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অনিয়ম

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সরকারি কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) ঝটিকা অভিযান চালিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এসময় তিনি সেখানে শত শত কার্টন ভর্তি নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং নানা বিষয়ে অনিয়ম দেখতে পান।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত পুরো প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমকে ডেকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত কোন কর্মকর্তাকে কোথায় যাচ্ছেন তা না জানিয়ে এবং সিএমএসডির কাউকেই আগে থেকে কিছু অবগত না করেই ঝটিকা অভিযানে যান সামন্ত সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিএমএসডিতে গিয়ে প্রায় ৩৫ মিনিট পুরো স্টোরেজ ঘুরে দেখেন এবং সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় সেখানে শত শত কার্টুন ভর্তি নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং নানা বিষয়ে অনিয়ম দেখতে পান। নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবার পণ্য সেখানে অনেক দিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

অনেক জরুরি পণ্য অব্যবহৃত অবস্থায় সেখানে মেয়াদ শেষ হয়ে গেল কীভাবে তা উপস্থিত সিএমএসডিতে কর্মরত ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অধিকাংশ প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি উপস্থিত সিএমএসডি কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব অনিয়ম দেখে স্টোরেজের সব মালামালের তালিকাসহ, কোন মালামাল কত তারিখে ডেলিভারি হয়েছে এবং আগামীতে কোন পণ্য কবে ডেলিভারি করা হবে সেগুলোসহ, কেন এত বিরাট সংখ্যক মালামাল নষ্ট হয়ে পড়ে আছে তার কারন জানিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমকে এই রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ে সংগ্রহ করে রিপোর্ট অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে একটি জরুরি মিটিং করার কথা জানান।