ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সড়ক ভবনের মিলনায়তনে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল সমিতির ৩০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু। এটা নিয়ে হাঁকডাক কেউ পছন্দ করে না। রংপুরে আমাদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে, তারপরও আমরা মেনে নিয়েছি। সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচন করুন। জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই। তবে বিএনপির আন্দোলন অশ্বডিম্বের মতো। ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি ঘোড়ার ডিম পেড়েছে, সামনে একই হবে।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হাঁকডাকে ঘোড়াও হাসে। ১১ জানুয়ারি বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে স্বাগত জানায় সরকার। তবে আন্দালনের নামে সহিংস আচরণ করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আমরা হাঁকডাক, হুমকি-ধামকি ভয় করি না। শেখ হাসিনাও ভয় পান না। শেখ হাসিনা আল্লাহপাক ছাড়া কাউকে ভয় পান না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটা রাজনৈতিক দল, যে দল ঘরে যেমন গণতন্ত্রের চর্চা করে, রাজনৈতিক মাঠেও একই। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। তবে বিরোধিতার নামে জ্বালাও-পোড়াও কোনো গণতন্ত্র নয়। তবে বিরোধীদলের শান্তিপ্র্ণূ আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই।

সবাইকে সততার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভালো কাজ করতে হবে। যে অপকর্ম করবে, মানসম্মত কাজ করবে না, তার ব্যর্থতাতার ভার মৃত্যুর পর তাকে বহন করতে হবে। খারাপ কাজের ব্যর্থতা ছেলে-মেয়েদের বহন করতে হবে। সৎ থাকার চেষ্টা করতে হবে, একটা মানুষের জন্য কত টাকা দরকার? আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করার সময় এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ সফর নয়। কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। তাদের আরও টাকা দরকার। কেউ কেউ কষ্টের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের আমরা ঘৃণা করি। দেশ উন্নত করতে দুর্নীতি ও টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক করার জন্য সড়ক পরিবহন আইন করা হলেও বিধিমালা না হওয়ায় সেটা কার্যকর করা যায়নি। এখন বিধিমালা হয়েছে। নতুন বছর থেকে সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা কার্যকর হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে টাকা দেয়নি। আর বিশ্ব ব্যাংক আজকে বলছে, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন গাঁথা সেটা সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিন। আজকে এটা সম্ভব হয়েছে, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, শত সড়ক, শত সেতু, আন্ডার পাস, ওভার পাসের কারণে। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ আকাশ পাতাল পার্থক্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশে উজ্জ্বল ছবি। আজকে এখানে এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। সার্ভিস লেনসহ ছয় লেন হচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, পাহাড়ে আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নতি দৃশ্যমান। ব্যাবসার প্রসার হচ্ছে। পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য পচে যেত। সেই দূর দিন এখন আর নেই। দিনে দিনে পাহাড়ের পণ্য চলে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে সিলেট, যশোর থেকে খুলনা, পদ্মা সেতু থেকে বেনাপোলসহ আরো বেশ কয়েকটি চারলেন সড়ক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নতুন বছরে আমাদের এরক আরো বেশ কিছু কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে স্মার্ট যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে স্মার্ট সড়ক করতে হবে। জনবলের ঘাটতি ক্রমে ক্রমে কমে যাবে। রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে স্মার্ট প্রকৌশলী তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই প্রতিকূল অবস্থাতেও দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। দেশের সড়ক যতই এগিয়ে যাবে উন্নয়নের পথকে ততই উজ্জ্বল করতে পারবো। সড়ক বিভাগে অনেক ভালো মানুষ আছেন। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা ফাঁকি দেন। আসলে তারা নিজেকে ফাঁকি দিচ্ছেন দেশকে ফাঁকি দিচ্ছেন। তাদের জীবনের ব্যার্থতা চিরকাল বইতে হবে। তাই সত্য থাকার চেষ্টা আমাদের করতে হবে। একটা মানুষের কত টাকা দরকার। আমাদের বিবেককে জিজ্ঞেস করার সময় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সরকারি অফিসারদের প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমন আমাদের ভাবায়। কোনো একটা কারণে বিদেশ যেতে হবে, কেন? অপ্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ কেন, কেন যেতে হবে? বাস্তবতাটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছুই বুঝে না। তাদের আরো টাকা দরকার আরো সম্পদ দরকার। কেউ কেউ দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেন। এদের আমরা ঘৃণা করি। এদেশ আরো উন্নতি হবে যদি আমরা সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি চুরি পাচার এগুলো বন্ধ করতে পারি।

সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মঈনুল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইসহাক ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই : কাদের

আপডেট সময় : ০১:২২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সড়ক ভবনের মিলনায়তনে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল সমিতির ৩০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু। এটা নিয়ে হাঁকডাক কেউ পছন্দ করে না। রংপুরে আমাদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে, তারপরও আমরা মেনে নিয়েছি। সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচন করুন। জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই। তবে বিএনপির আন্দোলন অশ্বডিম্বের মতো। ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি ঘোড়ার ডিম পেড়েছে, সামনে একই হবে।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হাঁকডাকে ঘোড়াও হাসে। ১১ জানুয়ারি বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে স্বাগত জানায় সরকার। তবে আন্দালনের নামে সহিংস আচরণ করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আমরা হাঁকডাক, হুমকি-ধামকি ভয় করি না। শেখ হাসিনাও ভয় পান না। শেখ হাসিনা আল্লাহপাক ছাড়া কাউকে ভয় পান না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটা রাজনৈতিক দল, যে দল ঘরে যেমন গণতন্ত্রের চর্চা করে, রাজনৈতিক মাঠেও একই। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। তবে বিরোধিতার নামে জ্বালাও-পোড়াও কোনো গণতন্ত্র নয়। তবে বিরোধীদলের শান্তিপ্র্ণূ আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই।

সবাইকে সততার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভালো কাজ করতে হবে। যে অপকর্ম করবে, মানসম্মত কাজ করবে না, তার ব্যর্থতাতার ভার মৃত্যুর পর তাকে বহন করতে হবে। খারাপ কাজের ব্যর্থতা ছেলে-মেয়েদের বহন করতে হবে। সৎ থাকার চেষ্টা করতে হবে, একটা মানুষের জন্য কত টাকা দরকার? আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করার সময় এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ সফর নয়। কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। তাদের আরও টাকা দরকার। কেউ কেউ কষ্টের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের আমরা ঘৃণা করি। দেশ উন্নত করতে দুর্নীতি ও টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক করার জন্য সড়ক পরিবহন আইন করা হলেও বিধিমালা না হওয়ায় সেটা কার্যকর করা যায়নি। এখন বিধিমালা হয়েছে। নতুন বছর থেকে সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা কার্যকর হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে টাকা দেয়নি। আর বিশ্ব ব্যাংক আজকে বলছে, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন গাঁথা সেটা সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিন। আজকে এটা সম্ভব হয়েছে, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, শত সড়ক, শত সেতু, আন্ডার পাস, ওভার পাসের কারণে। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ আকাশ পাতাল পার্থক্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশে উজ্জ্বল ছবি। আজকে এখানে এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। সার্ভিস লেনসহ ছয় লেন হচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, পাহাড়ে আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নতি দৃশ্যমান। ব্যাবসার প্রসার হচ্ছে। পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য পচে যেত। সেই দূর দিন এখন আর নেই। দিনে দিনে পাহাড়ের পণ্য চলে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে সিলেট, যশোর থেকে খুলনা, পদ্মা সেতু থেকে বেনাপোলসহ আরো বেশ কয়েকটি চারলেন সড়ক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নতুন বছরে আমাদের এরক আরো বেশ কিছু কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে স্মার্ট যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে স্মার্ট সড়ক করতে হবে। জনবলের ঘাটতি ক্রমে ক্রমে কমে যাবে। রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে স্মার্ট প্রকৌশলী তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই প্রতিকূল অবস্থাতেও দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। দেশের সড়ক যতই এগিয়ে যাবে উন্নয়নের পথকে ততই উজ্জ্বল করতে পারবো। সড়ক বিভাগে অনেক ভালো মানুষ আছেন। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা ফাঁকি দেন। আসলে তারা নিজেকে ফাঁকি দিচ্ছেন দেশকে ফাঁকি দিচ্ছেন। তাদের জীবনের ব্যার্থতা চিরকাল বইতে হবে। তাই সত্য থাকার চেষ্টা আমাদের করতে হবে। একটা মানুষের কত টাকা দরকার। আমাদের বিবেককে জিজ্ঞেস করার সময় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সরকারি অফিসারদের প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমন আমাদের ভাবায়। কোনো একটা কারণে বিদেশ যেতে হবে, কেন? অপ্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ কেন, কেন যেতে হবে? বাস্তবতাটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছুই বুঝে না। তাদের আরো টাকা দরকার আরো সম্পদ দরকার। কেউ কেউ দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেন। এদের আমরা ঘৃণা করি। এদেশ আরো উন্নতি হবে যদি আমরা সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি চুরি পাচার এগুলো বন্ধ করতে পারি।

সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মঈনুল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইসহাক ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।