ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘জনগণকে রক্ষা নয় বরং তারেক জিয়াকে শাস্তি দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনগণকে রক্ষা নয় বরং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শাস্তি দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই অভিযোগ করেন। ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার’-এর দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের অনেক সম্পদ, জনপদ ও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। দেশে যখন এই চরম সংকট, যখন উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে, পত্রিকায় দেখলাম সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে যিনি বসে আছেন, তাকে আমরা বলতে শুনলাম খারাপ একটি শব্দ ব্যবহার করে… তারেককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। দেশ যখন দুর্যোগে, তখন দেশের মানুষকে বাঁচানো প্রধান কাজ না। জনগণের সম্পদ রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ না। তাদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা।’

তিনি বলেন, ‘কী অপরাধ তারেক রহমানের? একজন বিচারক তাকে একটি মামলায় খালাস দিয়েছিল। ওই বিচার পরে দেশে থাকতে পারেনি। এসকে সিনহার মতো তাকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। উচ্চ আদালতে নিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।’

এই বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, ‘আরেকটি মামলার এজাহারসহ কোথাও তারেক রহমানের নামই ছিল না। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ, তিনি নৌকা মার্কার ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা করছিলেন। তাকে সেখান থেকে এনে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলো। এই কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানকে ১০০ দিনের বেশি রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করে তাকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলানো হলো। সেই মামলায় তারেক রহমান বিদেশে থাকা অবস্থায় সাজা দেওয়া হলো। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। মুফতি হান্নান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ওয়ান সিক্সটি ফোরে বলেছিল… তাকে জোর করে এটা কারানো হয়েছে। আবার এই মামলার রায়ের আগেই কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হলো, সেই প্রশ্নও আসে।’

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, টাকার অবমূল্যায়ন, দুর্নীতি, অনাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক লুট, রাষ্ট্রীয় দেনা বৃদ্ধি, সাবেক সেনা ও পুলিশ প্রধান আন্তর্জাতিক স্যাংশনের মুখে পড়ার পরেও সেগুলো কোনোটাই মূল কাজ নয়। মূল কাজ তারেক রহমানকে এনে শাস্তি দেওয়া।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোসহ অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘জনগণকে রক্ষা নয় বরং তারেক জিয়াকে শাস্তি দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য’

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

জনগণকে রক্ষা নয় বরং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শাস্তি দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই অভিযোগ করেন। ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার’-এর দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের অনেক সম্পদ, জনপদ ও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। দেশে যখন এই চরম সংকট, যখন উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে, পত্রিকায় দেখলাম সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে যিনি বসে আছেন, তাকে আমরা বলতে শুনলাম খারাপ একটি শব্দ ব্যবহার করে… তারেককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। দেশ যখন দুর্যোগে, তখন দেশের মানুষকে বাঁচানো প্রধান কাজ না। জনগণের সম্পদ রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ না। তাদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা।’

তিনি বলেন, ‘কী অপরাধ তারেক রহমানের? একজন বিচারক তাকে একটি মামলায় খালাস দিয়েছিল। ওই বিচার পরে দেশে থাকতে পারেনি। এসকে সিনহার মতো তাকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। উচ্চ আদালতে নিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।’

এই বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, ‘আরেকটি মামলার এজাহারসহ কোথাও তারেক রহমানের নামই ছিল না। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ, তিনি নৌকা মার্কার ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা করছিলেন। তাকে সেখান থেকে এনে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলো। এই কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানকে ১০০ দিনের বেশি রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করে তাকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলানো হলো। সেই মামলায় তারেক রহমান বিদেশে থাকা অবস্থায় সাজা দেওয়া হলো। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। মুফতি হান্নান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ওয়ান সিক্সটি ফোরে বলেছিল… তাকে জোর করে এটা কারানো হয়েছে। আবার এই মামলার রায়ের আগেই কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হলো, সেই প্রশ্নও আসে।’

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, টাকার অবমূল্যায়ন, দুর্নীতি, অনাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক লুট, রাষ্ট্রীয় দেনা বৃদ্ধি, সাবেক সেনা ও পুলিশ প্রধান আন্তর্জাতিক স্যাংশনের মুখে পড়ার পরেও সেগুলো কোনোটাই মূল কাজ নয়। মূল কাজ তারেক রহমানকে এনে শাস্তি দেওয়া।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোসহ অনেকে।