চীন-যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতে চাই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র-চীন উভয় দেশের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কী সম্পর্ক, সেটা তাদের বিষয়। সেটা তাদের মাথাব্যথা,আমাদের নয়।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমরা অন্য কারও ধানে মই দেই না। তাদের সমস্যা থাকতে পারে। এটা তাদের হেডেক। আমরা তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। কী কারণে তাদের অসুবিধা, সেটা আমাদের হেডেক না। এটা তাদের হেডেক। আমরা সুসম্পর্ক রাখতে চাই এবং আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; এ নীতিতে বিশ্বাস করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করেছে চীন। সেই সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, মিয়ানমারে কিছু সমস্যা হচ্ছে, সে কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমরা বলেছি, এই সঙ্কট দীর্ঘায়িত হলে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের প্রশংসা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সম্পৃক্ত থাকার কথা বলেছেন।
ড. মোমেন বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। তিনি ( চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সম্পৃক্ত থাকবে চীন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা উত্তরণে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যের কূটনীতির জন্য অনেক দেশই আমাদের দিকে নজর দিচ্ছেন। আমরা ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছি। এ জন্য তারা আমাদের এখানে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনারা বেশি বেশি আলাপ করেন। নির্বাচন এক বছর পরে হবে। এখনও অনেক দিন বাকি। এগুলো নিয়ে আপনারা বেশি বেশি হইচই করেন। এখন নির্বাচন অনেক সুষ্ঠু হয়।
চীনের নবনিযুক্ত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং সোমবার ( ৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন। যাত্রাবিরতির সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বৈঠকে মিলিত হন।