চীনে করোনার ঢেউ মোকাবিলায় সহায়তার প্রস্তাব তাইওয়ানের
- আপডেট সময় : ০৩:০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চীনে নতুন করে করোনাভাইরাস ক্রমেই বাড়ছে। মূলত জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দেশটির কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীনকে প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। একইসঙ্গে নিজ ভূখণ্ডের কাছে চীনা সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়েও সরব হয়েছে তাইপেই।
রোববার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হিসেবে দাবি করে আসলেও তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে তাইপে। দ্বীপটিতে মার্কিন কর্মকর্তাদের আনাগোনা ও সামরিক সহায়তা নিয়ে ক্ষুব্ধ বেইজিং। এ নিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক চরমে পৌঁছেছে চীনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় সহায়তা করতে রোববার চীনকে ‘প্রয়োজনীয় সহায়তা’ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। একইসঙ্গে দ্বীপের কাছে চীনা সামরিক কার্যকলাপ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উপকারী নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তার ঐতিহ্যবাহী নতুন বছরের বার্তায় বলেন, চীনে করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি সবাই দেখেছে। তিনি বলেছেন, ‘মানবিক প্রয়োজনের অবস্থানের ভিত্তিতে যতদিন দরকার হয়, ততদিন আমরা আরও বেশি লোককে মহামারি থেকে বের করে আনতে এবং স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ নতুন বছর কাটাতে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক।
অবশ্য করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় চীনকে তাইওয়ান ঠিক কী ধরনের সহায়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে বিশদ কোনও বিবরণ দেননি প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তবে অতীতে কোভিডের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে নিজ নিজ ব্যবস্থা নিয়ে বারবারই বিতর্কে জড়িয়েছে তাইওয়ান এবং চীন।
গত মাস থেকে চীনে প্রতিদিনই লাখ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও চীন জানিয়েছে, নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য দেবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্য গোপন করছে চীন।
চীনারা এখন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ব্যবহার করছেন সংক্রমণ শনাক্তের জন্য। এই পরীক্ষার ফলাফল কর্তৃপক্ষকে জানানোর বাধ্যবাধকতা নেই। একই সঙ্গে সরকার উপসর্গ থাকা দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিলের দিকে যাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স।