চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত
- আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
চিতলমারী প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের চিতলমারীতে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচন্ড ঠান্ডায় মাঠে নামতে পারছেনা কৃষক। এরফলে ব্যাহত হচ্ছে চলতি মৌসুমের বোরো ধান চাষ। চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। হাসপাতালে সর্দি, জ্বর, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগির সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে রোগে ভূগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। আজ রোববার (৮ জানুয়ারী) ৩ দিন পর দুপুরের পর একটু সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডা কমেনি। উষ্ণতা পেতে মানুষজন খড়-কুটো, ডালপালা জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চলমান শৈত্য প্রবাহের কারণে এখানে নেমে এসেছে কনকনে শীত। শীতের তীব্রতায় কৃষকেরা মাঠে নামতে পারছেন না। ফলে চলতি মৌসুমের বোরো ধান চাষে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শীতের কারণে হাসপাতালে সর্দি, জ্বর, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগির সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে রোগে ভূগছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
ধান চাষি কুরমনি গ্রামের রেজাউল দাড়িয়া, বুদ্ধ বসু, বলরাম বিশ্বাস, খড়মখালী গ্রামের প্রকাশ মজুমদার ও সুরশাইলের শানু শেখ, গাউছ গাজী ও পাটরপাড়ার গ্রামের ইউনুছ বিশ্বাস জানান, গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক শৈত্য প্রবাহের কারণে তারা জমিতে কাজ করতে পারছেন না। ফলে ধান চাষ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ভ্যানচালক মোঃ নবের আলী, বুট পালিশ ওয়ালা রতন রবি দাস, চা দোকানি রিপন বিশ্বাস ও কাঁচামাল বিক্রেতা মোঃ ফয়জুল শিকদার জানান, শীতের তীব্রতায় তাঁরা চরম বিপাকে পড়েছেন। রুজির আশায় শীতকে উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু বাজারে লোক সমাগম কম। তাই আয় না হওয়ায় তাঁরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মারুফ-আল-সিফাত জানান, চলতি বেরো মৌসুমের চারা রোপনের কাজ চলছে। শীতের কারণে চাষিরা মাঠে যেতে পারছেন না। এছাড়া তাঁদেরকে চারা রোপন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ শীতে চারা রোপন করলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে সবজি জাতীয় ফসলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ মামুন হাসান জানান, শীতের কারণে হাসপাতালে সর্দি, জ্বর, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগির সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে রোগে ভূগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অপূর্ব দাস বলেন, ‘শৈত প্রবাহ চলছে। শীতের তীব্রতায় প্রাণীকুল যবুথবু হয়ে পড়েছে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে আমরা কম্বল বিতরণ করেছি। আরও কম্বল বিতরণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন দিয়েছি।’
বা/খ:জই