ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘুর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় কয়রায় ১১৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// শাহজাহান সিরাজ, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি //

উপকূলীয় জনপদ খুলনার কয়রায় ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবিলায় সাত ইউনিয়নে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা” মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১১৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র। সেখানে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মত মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সরকারী-বে-সরকারী ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গৃহপালিত প্রাণিদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জরুরী সেবা দেওয়ার জন্য ১২ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচীর (সিপিপি)সহ বিভিন্ন স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন। একটি জরুরি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হবে।

উপজেলা সিপিপির টিম লেডার জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সাত ইউনিয়নে ৭৩ টি ইউনিটে ১৪৬০ জন ভলেনটিয়ার স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩০ ও নারী ৭৩০ জন এবং প্রতিটি ইউনিটে সংকেত পতাকা, পতাকা দন্ড, হ্যান্ড মাইক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন সংকেত পেলে সাথে সাথে সংকেত পতাকা উঠিয়ে এবং মাইকে প্রচার করাসহ অসুস্থ ও বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণ ও সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য টিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২ নম্বর কয়রা গ্রামের আক্তারুজ্জামান খোকন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, আম্ফান ও সিত্রাং এর আতংক কেটে গেলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগের আতংক কাটেনি উপকূলীয় জনপদ কয়রাবাসীর। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করেই বসবাস করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মোমিনুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘুণিঝড়ের বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচার করা হয়। দুর্যোগের সময় আশ্রায় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের খাদ্য সরবরাহ এবং চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘুণিঝড়,জলোচ্ছ্বাস বা যে কোন দুর্যোগের সময় মানুষের জান মালের নিরাপত্তার জন্য সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান কারীদের পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে সে জন্য উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় কয়রায় ১১৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

আপডেট সময় : ০৯:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

// শাহজাহান সিরাজ, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি //

উপকূলীয় জনপদ খুলনার কয়রায় ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবিলায় সাত ইউনিয়নে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা” মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১১৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র। সেখানে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মত মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সরকারী-বে-সরকারী ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গৃহপালিত প্রাণিদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জরুরী সেবা দেওয়ার জন্য ১২ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচীর (সিপিপি)সহ বিভিন্ন স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন। একটি জরুরি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হবে।

উপজেলা সিপিপির টিম লেডার জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সাত ইউনিয়নে ৭৩ টি ইউনিটে ১৪৬০ জন ভলেনটিয়ার স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩০ ও নারী ৭৩০ জন এবং প্রতিটি ইউনিটে সংকেত পতাকা, পতাকা দন্ড, হ্যান্ড মাইক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন সংকেত পেলে সাথে সাথে সংকেত পতাকা উঠিয়ে এবং মাইকে প্রচার করাসহ অসুস্থ ও বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণ ও সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য টিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২ নম্বর কয়রা গ্রামের আক্তারুজ্জামান খোকন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, আম্ফান ও সিত্রাং এর আতংক কেটে গেলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগের আতংক কাটেনি উপকূলীয় জনপদ কয়রাবাসীর। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করেই বসবাস করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মোমিনুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘুণিঝড়ের বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচার করা হয়। দুর্যোগের সময় আশ্রায় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের খাদ্য সরবরাহ এবং চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘুণিঝড়,জলোচ্ছ্বাস বা যে কোন দুর্যোগের সময় মানুষের জান মালের নিরাপত্তার জন্য সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান কারীদের পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে সে জন্য উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বা/খ: এসআর।