গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবদনের প্রেক্ষিতে এ প্রস্তাব করে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের গণশুনানি শুরু হয়েছে। রোববার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে গনশুনানি শুরু হয়। যা চলবে বিকেল পর্যন্ত।
সোমবার (৯ নভেম্বর) শুনানি শেষ হবে। শুনানি শেষে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে ফল জানানো হবে।
বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী মাসে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। তাই শুনানির পর বেশি সময় নেওয়া হবে না। এ মাসের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম নিয়ে আদেশ ঘোষণা করা হবে।
শুনানির শুরুতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আবেদনের যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা প্রমাণের দায়িত্ব আবেদনকারীর। বিইআরসি জনস্বার্থ ও ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনা করে আদেশ দেবে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমরা একটি খারাপ সময় অতিক্রম করছি। করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। কিছুটা রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দূরদর্শিতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কমিশন এ বিষয়ে সব সময় আন্তরিকতা সঙ্গে সচেষ্ট থেকেছে। তবে আমাদের ব্যর্থতা নেই এটা দাবি করবো না।
তিনি বলেন, কমিশন অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে। কারো কোন অভিযোগ থাকলে ৫৪ ধারায় আবেদন করতে পারেন। গণশুনানিতে কোন ব্যক্তিগত অভিযোগ না উত্থাপনের অনুরোধ করছি।
এছাড়া, বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ট্যারিফের ওপরও শুনানি হবে। কমিশন জানায়, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) বিদ্যুতের সঞ্চালন ট্যারিফ পুনর্র্নিধারণের প্রস্তাবের আবেদনের ওপর এই শুনানি হবে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে পাঁচ প্রতিষ্ঠান।
দাম পুনর্র্নিধারণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ানোর পরও বিদ্যুতের উৎপাদন পর্যায়ে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।
শুনানিতে অংশ নিয়েছেন বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।