ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গ্রামেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। জেলা শহরের পাশাপাশি এবার গ্রামেও বাড়ছে প্রকোপ। চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীরা। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যা সাময়িক।

বরগুনায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকলেও জেলা সদর হাসপাতালে নেই কোনো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এতে মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। অনেককে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বরিশালে কিংবা ঢাকায়।

জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বাহাউদ্দিন বলেন, এখানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নাই, যারই ডেঙ্গু ধরা পড়ে সেই বরিশালে ভালো ডাক্তার দেখাতে যায়। তবে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. লোকমান হাকিম।

নরসিংদীতে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। চাপ সামলাতে সদর হাসপাতালে আলাদা দুটি ডেঙ্গু ইউনিট চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে কমছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। তবে হাসপাতালের অনেক ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বলে জানালেন রোগীরা।

ডেঙ্গু রোগী হাসান বলেন, জ্বর হওয়ার পর থেকে অনেক দাম দিয়ে হাসপাতালের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। স্যালাইন সংকটের কথা জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান সোহা।

একই অভিযোগ, রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালের রোগীদের। অনেক পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হচ্ছে বলে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীরা।

ফরিদপুরে দিন দিন জটিল হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সদর হাসাপাতালের হিসাবে জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চার জন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ। পরিস্থিতি এখনো মহামারি ঘোষণা দেবার মতো নয় উল্লেখ করে জ্বর হলে চিকিৎসকের কাছে যাবার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ইনজেশকশনের মাধ্যমে যে স্যালাইন দেয়া হয় তার সংকট যেন না বাড়ে সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রামেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। জেলা শহরের পাশাপাশি এবার গ্রামেও বাড়ছে প্রকোপ। চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীরা। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যা সাময়িক।

বরগুনায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকলেও জেলা সদর হাসপাতালে নেই কোনো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এতে মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। অনেককে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বরিশালে কিংবা ঢাকায়।

জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বাহাউদ্দিন বলেন, এখানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নাই, যারই ডেঙ্গু ধরা পড়ে সেই বরিশালে ভালো ডাক্তার দেখাতে যায়। তবে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. লোকমান হাকিম।

নরসিংদীতে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। চাপ সামলাতে সদর হাসপাতালে আলাদা দুটি ডেঙ্গু ইউনিট চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে কমছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। তবে হাসপাতালের অনেক ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বলে জানালেন রোগীরা।

ডেঙ্গু রোগী হাসান বলেন, জ্বর হওয়ার পর থেকে অনেক দাম দিয়ে হাসপাতালের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। স্যালাইন সংকটের কথা জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান সোহা।

একই অভিযোগ, রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালের রোগীদের। অনেক পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হচ্ছে বলে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীরা।

ফরিদপুরে দিন দিন জটিল হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সদর হাসাপাতালের হিসাবে জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চার জন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ। পরিস্থিতি এখনো মহামারি ঘোষণা দেবার মতো নয় উল্লেখ করে জ্বর হলে চিকিৎসকের কাছে যাবার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ইনজেশকশনের মাধ্যমে যে স্যালাইন দেয়া হয় তার সংকট যেন না বাড়ে সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।