ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে হুমকিতে রপ্তানিমুখী শিল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে নারায়ণগঞ্জের বেশিরভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন কমে গেছে। ইতিমধ্যেই বন্ধের পথে অনেক টেক্সটাইল মিল, নিটিং কারখানা ও গার্মেন্টস। তৈরী পোষাক শিল্পের নীটওয়্যার খাতের উৎপাদন ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে গেছে। সংকট কাটানো না গেলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন রাখতে সরকারের সহযোগিতা চান উদ্যোক্তারা।

গেল দুই মাসে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাকখাত থেকে। এই খাতের অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ। এই শিল্পনগরীর ফতুল্লা বিসিক, আদমজী, কাঁচপুরসহ আশপাশের এলাকায় কয়েক হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয় রপ্তানিমুখী পোশাক।

গত কয়েক মাসের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে এ শিল্পের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ফতুল্লার বিসিক শিল্প অঞ্চল। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে পাঁচশতাধিক গার্মেন্টস, টেক্সটাইল নিটিং ও ডাই কারখানাতে উৎপাদন কমে গেছে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ। ডিজেল ব্যবহার করে বড় কারখানাগুলো চললেও ছোটগুলো চালানো যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গ্যাস ও বিদ্যুৎ স্বল্পতায় গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান গুলো সংকটে থাকায় নিটিং কারখানাও বিপাকে পড়েছে। সংকট নিরসনে তিতাসসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিক বার আলোচনা হলেও মেলেনি সমাধান। এভাবে চলতে থাকলে নারায়ণগঞ্জের রপ্তানিমুখি শিল্প থমকে যাবে বলে আশঙ্কায় উদ্যোক্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে হুমকিতে রপ্তানিমুখী শিল্প

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে নারায়ণগঞ্জের বেশিরভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন কমে গেছে। ইতিমধ্যেই বন্ধের পথে অনেক টেক্সটাইল মিল, নিটিং কারখানা ও গার্মেন্টস। তৈরী পোষাক শিল্পের নীটওয়্যার খাতের উৎপাদন ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে গেছে। সংকট কাটানো না গেলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন রাখতে সরকারের সহযোগিতা চান উদ্যোক্তারা।

গেল দুই মাসে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাকখাত থেকে। এই খাতের অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ। এই শিল্পনগরীর ফতুল্লা বিসিক, আদমজী, কাঁচপুরসহ আশপাশের এলাকায় কয়েক হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয় রপ্তানিমুখী পোশাক।

গত কয়েক মাসের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে এ শিল্পের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ফতুল্লার বিসিক শিল্প অঞ্চল। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে পাঁচশতাধিক গার্মেন্টস, টেক্সটাইল নিটিং ও ডাই কারখানাতে উৎপাদন কমে গেছে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ। ডিজেল ব্যবহার করে বড় কারখানাগুলো চললেও ছোটগুলো চালানো যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গ্যাস ও বিদ্যুৎ স্বল্পতায় গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান গুলো সংকটে থাকায় নিটিং কারখানাও বিপাকে পড়েছে। সংকট নিরসনে তিতাসসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিক বার আলোচনা হলেও মেলেনি সমাধান। এভাবে চলতে থাকলে নারায়ণগঞ্জের রপ্তানিমুখি শিল্প থমকে যাবে বলে আশঙ্কায় উদ্যোক্তারা।